ইনসাইড বাংলাদেশ

ফিরে দেখা লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৫৮ এএম, ২৫ মে, ২০১৭


Thumbnail

জৈষ্ঠের তাপদাহে অতিষ্ট জনজীবন। তার ওপর লোডশেডিং। হাঁসফাঁস অবস্থা। অসহনীয় হয়ে উঠছে জীবন। বর্তমান অবস্থা দেখে মানুষ ভুলে গেছে বিগত বছরগুলোতে লোডশেডিংয়ের কথা।

২০০১-২০০৬ সালের কথা মনে আছে? বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ অলিখিত এক দ্বৈত শাসনের কবলে পড়েছিল। বিশেষভাবে, ক্ষমতাশীল হাওয়া ভবনের অবৈধ হস্তক্ষেপ, চাঁদাবাজি ও স্বজনপ্রীতির কারণে অনেক পরিকল্পনার মত সাময়িক বিদ্যুৎ পরিকল্পনার বেশিরভাগ টাকাও লুঠপাট হয়েছিল। সারাদিনে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ যেত হয়তো অনেকে ভুলে গেছেন। মনে করিয়ে দেই, বিএনপি আমলে বিদ্যুৎ একটু আসলেই ঈদের নতুন জামা পাওয়ার মতো আনন্দ লাগতো মানুষের ঘরে।

জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানির সমস্যা যে কত ভয়াবহ হয়েছিল তা সকলের জানা । তারপরও জানানো ভালো, ২০০৫ সালে সারাদেশে প্রতিদিন ৯শ’মেগাওয়াট লোডশেডিং হতো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতহীন অবস্থা সারাদেশে জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। ২০০১-২০০৬ সালের মাঝামাখি মাত্র ১৬% উৎপাদন বৃদ্ধি পায় অথচ আমরা সবাই জানি, বিগত কয় বছরে জনসংখ্যা এবং বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের ফলে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। গত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই করুণ অবস্থার ফল বর্তমান অবস্থাকে অনেকটাই প্রভাবিত করেছে তা বলাটা ভুল হবে কি?

বিএনপি সরকারের আমলে রাজধানীর শনির আখড়ায় বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে রাস্তায় নেমে আসা সাধারণ মানুষের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচতে হয়েছে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ স্থানীয় সাংসদ সালাহ উদ্দিন আহমেদকে। রমজানে দেশের বিভিন্ন স্থানেই বিদ্যুতের দাবিতে রাস্তায় নেমে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ মানুষ।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর বড় কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে তাদের পাঁচ বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন খাতে। বিতরণ ও সঞ্চালনের ওই পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল অপ্রয়োজনীয় ও পরিকল্পনার বাইরে। সে সময় একটি মাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র যেটি টঙ্গিতে স্থাপন করা হয়েছিল সেই ৮০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্র স্থাপনেও বিপুল পরিমাণ টাকা লুটপাট হয়। নিম্নমানের কাজ ও দুর্বল মেশিনপত্রের কারণে কেন্দ্রটি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনের মাত্র ছয় ঘণ্টা পর বন্ধ হয়ে যায়। কেন্দ্রটি সেই সময় ৮১ বার বন্ধ হয়েছে এবং এখনও বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পুরো জোট আমলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মানোন্নয়ন ও মেরামত বাবদ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে। মূলত কাজের কাজ কিছুই করা হয়নি। খুলনা শিকলবাহা কেন্দ্রটি মেরামতের নামে কয়েক বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত খুলনা ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে তিন কিস্তিতে ৪৪৭ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। খুলনা ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩শ’ কোটিটাকার মেরামত কাজ হয়েছে। শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২৪ কোটি টাকা খরচ করে দু দফা মানোন্নয়ন করাহলেও উৎপাদন এক মেগাওয়াটও বাড়েনি। বরং ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে পাঁচ লাখের বেশি খুঁটি কেনা হয় এবং তা ছিল দুর্নীতির একটি বড়খাত। বিএনপি সরকার ৫ বছর শুধু খাম্বা কিনেছে, বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যর্থ হয়ে জোট সরকার বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে অতিরিক্ত ১ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা গচ্চা দিয়েছে। রাজধানীতে ডেসার বিদ্যুৎ উপসঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার সংস্কার প্রকল্পে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

বর্তমান অবস্থা একটু ভালোভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে দেশে সর্বমোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৫,৬২২ মিলিয়ন কিলোওয়াট আওয়ার। সারাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৮৮.৪৪ শতাংশই আসে গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো থেকে। এছাড়া শতকরা ৪.০২ ভাগ আসে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি থেকে, শতকরা ৩.৮৯ ভাগ ফার্নেস অয়েল চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি থেকে, শতকরা ২.০৪ ভাগ ডিজেল তেলনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি থেকে এবং ১.৬১ ভাগ আসে পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি থেকে।


২০১১ সালে পিডিবির গ্রাহকসংখ্যা ছিল ২,১৫৯.৮৭৯। এর মধ্যে গৃহস্থালী গ্রাহক ৪২.৭%, বাণিজ্যিক ৮.১৭%,শিল্প ৪১.০২%, কৃষি (সেচ) ৫.৬১% এবং অন্যান্য ২.৫%। ২০০৯ সালে পিডিবির গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১,৯২২,৩৬১। ২০১০-১১ অর্থ বছরে পিডিবির রাজস্ব আয় ছিল ১৫৭.১১৭ মিলিয়ন টাকা। ১৯৯৯ সালে আয় হয় মাত্র ২৩,৮৬২ মিলিয়ন টাকা।

২০১৬ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় রেকর্ড সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৩৪৮ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৭৩০ মেগাওয়াট। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১০ হাজার ৪৭১ মেগাওয়াট। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট থেকে ২০১৫তে তা ১১ হাজার ২৭১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে এই সরকার।

এটা অস্বীকার করা যায় না যে, বর্তমানে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কিন্তু এটাও মানতে হবে বিএনপির আমল থেকে আওয়ামী লীগের সময় বিদ্যুতের যন্ত্রণা অনেকটাই কম পাচ্ছে সাধারণ জনগণ।

বাংলা ইনসাইডার/টিআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে কারখানায় আগুন

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের বায়েজিদে একটি জুতার সোল তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে বায়েজিদের একটি জুতা সোল তৈরি কারখানায় আগুনের সংবাদ পাই। এরপর ওই স্থানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। 

চট্টগ্রাম   কারখানায় আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেনের টিকিট কিনতে এক ঘণ্টায় ২ কোটি হিট

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ দিনের মতো অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়। এদিন বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটে রেকর্ড ১ কোটি ৩০ লাখ বার টিকিট কাটার জন্য ওয়েবসাইটে চেষ্টা (হিট) চালানো হয়েছে। প্রথম ১ ঘণ্টায় ২ কোটির মতো হিট হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জন্য) ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭ হাজার ১৯৪টি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আধা ঘণ্টায় বিক্রি হয় ১২ হাজার ৭৮৩টি টিকিট। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নির্ধারিত প্রায় সব টিকিট শেষ হয়ে যায়।

বেলা ২টা থেকে রেলের পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের টিকিট বিক্রি হবে। এ অঞ্চলের জন্য টিকিট ছাড়া হবে ১৬ হাজার ৬৯৬টি।

রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, এদিন পূর্বাঞ্চলের টিকিটের চাহিদাও খুব বেশি থাকবে। আগামীকাল সর্বশেষ দিন ৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

ট্রেনের টিকিট   অগ্রিম টিকিট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিএসএমএমইউ'র নবনিযুক্ত উপাচার্যের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন তিনি। মোনাজাত শেষে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য।

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডীন  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক ও বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক দীন ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। তাকে ব্যান্ড বাজিয়ে, নেচেগেয়ে, ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক   বিএসএমএমইউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজার আমন্ত্রণে ভুটানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে ভুটান সফর করছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ভুটানের মহামহিম রাজার সফরসঙ্গী হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ভুটান যান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

এদিন ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গেলেফু সিটিতে অবস্থান করেন ভুটানের রাজা ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে অবস্থানকালে ভুটানের রাজা বেশকিছু সময় ধরে প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গেলেফু সিটি ঘুরে দেখান এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত আইকনিক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গেলেফু সিটি থেকে ভুটানের রাজার সঙ্গে বিমানযোগে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তথ্য প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়।

পরে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে যান ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। ভুটান সফর শেষে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

রাজার ভুটান   ভুটান   তথ্য প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লিবিয়ায় চার বাংলাদেশি জিম্মি, নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।       

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। 

অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে। 

‌স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


লিবিয়া   বাংলাদেশি   জিম্মি   নির্যাতন   ভিডিও   মুক্তিপণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন