ইনসাইড এডুকেশন

কেটে গেল ২৭ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

দেশের প্রাচীনতম ও সবোর্চ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালের জুনে। এরপর দুই যুগেরও বেশি সময় ডাকসু নির্বাচন বন্ধ রয়েছে নানা জটিলতায়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল বাকি সব সংগঠনের নির্বাচন নিয়মিতই হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নির্বাচন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচন হয়। সিনেট, সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের নির্বাচনও হচ্ছে। এতে কোনো ধরণের সমস্যা হচ্ছে না।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সরেজমিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে উৎসবমূখর পরিবেশে। ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে প্রশাসনিক ভবনসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। অথচ যে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, তাদের নির্বাচনই অপেক্ষার প্রহর গুনছে।

দীর্ঘদিন ধরে ডাকসু নির্বান হচ্ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন ইজ মাস্ট। এটা না হলে ভবিষ্যতে নেতৃত্বে শূন্যতা সৃষ্টি হবে।’

রাষ্ট্রপতির এমন বক্তব্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র ডাকসু নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সবাই ভেবেছিলেন এবার হয়তো নির্বাচন হবেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেসময়ের ভিসি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকও গণমাধ্যমকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান। কিন্তু সেই পদক্ষেপ আর নেওয়া হয়নি। পরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নতুন ভিসি আখতারুজ্জামান ।

সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ২৫ নভেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবন সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তনে অনশন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ আশরাফ। দীর্ঘ দুই সপ্তাহ পর উপাচার্যের আশ্বাসে তিনি অনশন ভাঙেন।

এ ঘটনার প্রায় এক মাস হতে চলল। এখনো পর্যন্ত নির্বাচন হওয়ার কোনো প্রস্তুতি দেখা যায়নি।

ঘুমন্ত ডাকসু ভবনে তারুণ্যের হাহাকার
দুই তলাবিশিষ্ট ডাকসু ভবনের নিচ তলার এক পাশে ডাকসু সংগ্রহশালা, অন্যদিকে ডাকসু ক্যাফেটেরিয়া। দ্বিতীয় তলাটি ডাকসু কার্যলয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে থাকা ৮টি কক্ষের মধ্যে ভিপি-জিএসের কক্ষদুটিতে তালা ঝুলছে দীর্ঘদিন ধরে। বাকি ৬টির মধ্যে পরিচালকের কক্ষ একটি, তরুণ দাস নামে একজন ভাস্কর উপাচার্যের অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করছেন আরেক কক্ষ। অন্য একটি কক্ষে বিভিন্ন সংগঠন সভা-সেমিনার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। আর এক সময় সরগরম থাকা ডাকসুর সম্পাদকদের জন্য নির্ধারিত কক্ষ এখন নিরিবিলি পত্রিকা পড়ান জায়গা। বাকি কক্ষ দুটি তালা দেওয়া। কখনো কখনো কক্ষগুলো কোনো সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খুলে দেয়া হয়। উইপোকা ধরেছে প্রতাপশালী ভিপির কক্ষের হার্ডবোর্ডে। এক সময়ের উত্তাল, তারুণ্যে ভরা ডাকসু এভাবেই হাহাকার করে সময় পার করছে ২৭ বছর ধরে।

উপাচার্যের আশ্বাসের পর নির্বাচনের জন্য কোনো ধরনের নির্দেশনা পাননি বলে জানিয়েছেন ডাকসু কার্যালয়ের সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আসেনি।

ডাকসু নিয়ে শিক্ষার্থীরা যা বলছে
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ঢাবির এক সাবেক ছাত্র বলেন, ’৫২-এর পর থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিদ্যমান ছিল। তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতন্ত্রের চর্চা ছিল। এর ফলে ডাকসুসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সময় মতো নির্বাচন হত। আর এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে একচেটিয়াভাবে। বড় সংগঠনগুলো তাদের নিজের স্বার্থের কারণে নির্বাচন দিতে চাইছে না।

তিনি আরও বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির ঘোষণার পরও যেহেতু নির্বাচন হয়নি, সেক্ষেত্রে আগামী এক বছরে নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম খান বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, দীর্ঘ সময় ডাকসু নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণতান্ত্রিক পরিবেশ এখন উঠে গেছে। এখন সবাই নেতামুখী। নেতারা কর্মী কিংবা শিক্ষার্থীমুখী নন। এই ২৭ বছরে যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে তারা কেউই নিজেদের ছাত্র সংগঠনের প্রভাব হারানোর ভয়ে নির্বাচন দেয়ার সাহস দেখায়নি। ফলে এখান থেকে যে ছাত্র নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে তারা একচেটিয়া মানসিকতার অধিকারী হয়ে বের হচ্ছে। তারা যখন জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করবে, তখনও তাদের মধ্যে এই অভ্যাসটি থেকে যাবে। ফলে দেশের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব বেড়ে উঠেছে।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মীর আরশেদুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে বিরাজনীতিকরণ চলছে। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচনের কথা ভুলেই গেছেন।
ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী শামান্তা শারমিন বলেন, অপমানের জীবন ভাঙেন। একজন শ্রমিকও তার অধিকারের জন্য কথা বলে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও তারা নিজের অধিকার নিয়ে কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। মানুষ রাজনীতি করে সম্মানের জীবনের জন্য। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার কোনো অধিকার নেই। সব কিছুই চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। হলে ঘুমানোর জায়গা নেই। অথচ দাবি করা হচ্ছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড! রিডিং রুমে বসার জায়গা নেই, পালা করে পড়তে হয়। যা যথেষ্ট অপমানজনক। নতজানু রাজনীতি ছাড়ুন। ডাকসুর পক্ষে কথা বলুন।

ডাকসু নির্বাচন না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গণতন্ত্র অনুপস্থিত। এরই অংশ হিসেবে ডাকসু নির্বাচন হয়নি। সবাই চাওয়ার পরও ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে না। কারণ, ডাকসু নির্বাচন হলে সরকারি ছাত্র সংগঠনের একচেটিয়া ভূমিকাটা আর থাকে না। নির্বাচন হলে সবার অধিকার থাকবে। এতে উপাচার্য কিছুটা অসুবিধায় পড়বেন। কিন্তু ডাকসু নির্বাচন না করার ফলে সিনেট অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছে।

উপাচার্য যা বললেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে। এই নির্বাচন দেওয়ার জন্য কিছু অনুষঙ্গ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে ডাকসু নির্বাচনের জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো’। তবে কবে নাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে?- এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ/টিবি

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

২৬ দিনের ছুটিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশ: ০৭:০৩ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রমজানের ঈদ আসতে আরও বাকি ১৪দিন। এর আগেই ছুটি শুরু হয়ে গেছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ থাকার ঘোষণা। সে অনুযায়ী মোট ২৬ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, রমজান, স্বাধীনতা দিবস, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি সমন্বয় করে আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে ছুটি থাকবে। ১৯ ও ২০ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ২১ এপ্রিল থেকে যথারীতি ক্লাস শুরু হবে।

১০ মার্চ থেকে প্রাথমিক ও মাদ্রাসায় এবং ১১ মার্চ থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টানা প্রায় এক মাসের ছুটি শুরুর কথা ছিল। কিন্তু শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে ২৫ মার্চ এবং রোজার প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

সরকারের এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করেন একজন অভিভাবক। হাইকোর্ট সরকারের সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে আদেশ দেয়।

এই আদেশের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আপিল বিভাগে যায়। আপিল বিভাগ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছুটি সমন্বয় করে রোজায় ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার পক্ষে রায় দেন। আর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ দিনের ছুটি কমানো হয়।

এই হিসেবে, ২১ মার্চ পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চালু ছিল। ২২ মার্চ থেকে ছুটি শুরু হয়েছে। ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে।

উল্লেখ্য, দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে ২৫ মার্চ থেকে ছুটি শুরু হয়েছে। মাদ্রাসার ছুটি শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   ঈদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের তারিখ ঘোষণা

প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে ফরম পূরণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।

ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।


এইচএসসি-২০২৪   ফরম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত থাকছে না প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ২১ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো আর কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। 

গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।

যেহেতু এ বছর প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে আর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে। 


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষাক্রম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

চলতি বছরের মাঝামাঝিতে হচ্ছে এইচএসসি!

প্রকাশ: ০৭:১৪ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শীঘ্রই রুটিনসংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বুধবার (২০ মার্চ) এসব তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

সাধারণত করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।

২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। ওই বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।

আর ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।


এইচএসসি   শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে বুয়েটের ওয়েবসাইট ও নোটিস বোর্ডে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

বুয়েটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কমিটির সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জীবন পোদ্দারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৩০৯ জন ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ তালিকায় স্থান পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত ৯ মার্চ বুয়েটের চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষা (মডিউল ‘এ’: গ্রুপ ‘ক’ এবং ‘খ’ উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা এবং (মডিউল বি: ‘খ’ গ্রুপ মুক্তহস্ত অঙ্কন এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি) দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

বুয়েটে কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস কৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদসমূহের অধীনে ১৩টি বিভাগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য তিনটি ও স্থাপত্য বিভাগে একটি সংরক্ষিত আসনসহ মোট ১ হাজার ৩০৯টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

এই আসনের বিপরীতে অংশ প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মোট ৬ হাজার ৭০৬ জন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়   বুয়েট   ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন