ইনসাইড এডুকেশন

‘শিক্ষায় দুর্বৃত্তায়নের কারণে প্রশ্ন ফাঁস’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:১১ এএম, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

‘বর্তমানে আমাদের দেশের সরকার শিক্ষার জন্য নানা কার্যক্রম গ্রহণ করছে। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় যখন শহর থেকে গ্রামে শিক্ষার কার্যক্রম বিস্তার লাভ করছে, ঠিক সেই সময়ে শিক্ষার যাবতীয় অর্জনকে ম্লান করতে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে কিছু দুর্বৃত্ত প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটাচ্ছেন। শিক্ষায় এই দুর্বৃত্তায়নের কারণেই প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে।’

চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, প্রশ্ন ফাঁসের মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। প্রশ্ন ফাঁসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থী। প্রশ্ন ফাঁস বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের সময় উল্লিখিত কথাগুলো বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

বর্তমানে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। প্রশ্ন ফাঁসের কারণে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীর উপর কি প্রভাব পড়ছে বলে আপনি মনে করেন? 

বাংলাদেশে প্রাথমিক থেকে উচ্চতর শিক্ষা পর্যন্ত বিশাল এক জনগোষ্ঠী জড়িত। শিক্ষাকে একটি দেশের জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচনায় করা হয়। বিগত কয়েক বছরে আমরা দেখেছি, শিক্ষাকে কেন্দ্র করে শুধু বাণিজ্য না অসাধু প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যার ফলে প্রাথমিক থেকে শুরু করে এসসসি, এইচএসসি ও অন্যান্য পরীক্ষায়, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাগুলো যতটা আনন্দদায়ক হওয়ার কথা ছিল, তা হয় না। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে নকল রোধ করা গেলেও, নতুন করে আরেকটি বিষাক্ত বিষয় প্রশ্ন ফাঁস যুক্ত হয়েছে পরীক্ষাগুলোতে। প্রশ্ন তৈরি থেকে শুরু করে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল, পবিত্রতম এবং গোপনীয় একটা বিষয়। শিক্ষা একদিকে যেমন মেধাবী সন্তান তৈরি করে, আরেকদিকে শিক্ষা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ছাত্রদের মধ্যে স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার মানসিকতা তৈরি করে। এই প্রক্রিয়াকে নষ্ট করার জন্যেই প্রশ্ন ফাঁস করা হচ্ছে। আমরা যখন পরীক্ষা দিতাম তখন প্রশ্নপত্র ফাঁস বলে কিছু ছিল না। পরীক্ষায় একসময় নকল প্রবণতা ছিল। নকল করার প্রবণতা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পেরেছি। তবে একটা প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে আসতে না আসতেই, আরেকটা নতুন অসাধু তৎপরতার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয় কিছু দুর্বৃত্ত। যার ফলে আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষার উপর নেতিবাচক প্রভাব পরে।

বর্তমানে আমাদের দেশের সরকার শিক্ষার জন্য নানা কার্যক্রম গ্রহণ করছে। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় যখন গ্রাম থেকে শহরে শিক্ষার কার্যক্রম বিস্তার লাভ করছে, ঠিক সেই সময়ে শিক্ষার যাবতীয় অর্জনকে ম্লান করার জন্যেই কিছু দুর্বৃত্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্যেই প্রশ্ন ফাঁস করে চলেছেন।

প্রশ্ন পত্র ফাঁস রোধে আপনার পরামর্শ কি?

কোন শিক্ষার্থীই লক্ষ টাকা দিয়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ক্রয় করতে পারেনা। একজন অভিভাবক কিভাবে প্রশ্নপত্র ক্রয় করে তাঁর সন্তানের হাতে তুলে দেয়। প্রশ্ন ফাঁস হলে আবার অভিভাবকরাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারের কাছে জবাবদিহিতা আশা করে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা শতভাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সকলকে জাতীয়গতভাবে ঐক্যমত হতে হবে প্রশ্ন ফাঁস রোধে। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ভর্তি পরীক্ষা আমাদের দেশেতো নতুন কোন বিষয় নয়। হঠাৎ করে এই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা কেন আসছে? অসৎ কিছু লোকের একটি চক্র তৈরি হওয়া প্রশ্ন ফাঁসের কারণ। এই অসৎ চক্রের ফাঁদে পা দেওয়ার যে গোপন মানসিকতা তা আমাদের সকলকে পরিহার করতে হবে।  

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে আপনার কি উপদেশ?

কেউ যদি অবৈধ উপায়ে কিছু করে সে আজ অথবা কাল ধরা পড়বেই, তাই এগুলো করে কোনো লাভ হয় না। পরবর্তীতে ধরা পড়লে তাঁকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়। আবার এইসব অপকর্ম করার ফলে সারাজীবন মানসিক ভাবে নিজের কাছে ছোট হয়ে থাকতে হয়। সুতরাং যে শিক্ষার্থী যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চায়, সেই প্রতিষ্ঠানের চরিত্র বুঝে, বিগত দিনের বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো একটু মনযোগ দিয়ে লক্ষ্য করলে, সেই সঙ্গে পাঠ্যবই ভালমতো পড়লে, ভর্তি পরীক্ষা সম্বন্ধে কোন শিক্ষার্থীদের মনে ভীতি বা আশংকার সঞ্চার হবে না। তখন তাঁর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা বা যেকোনো পরীক্ষায় কোনো দুরভিসন্ধিমূলক ভাবনা দেখা দিবে না।


বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

অবশেষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৪:১৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খুলেছিল না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষের বাইরের সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত  আগামী  শনিবারেও (৪ মে) শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে।

এদিকে নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিনদিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।


এইচএসসি পরীক্ষা   ফরম পূরণ   সোনালী সেবা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে ক্লাস বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।

মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।


তীব্র তাপদাহ   গরম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা। তিন ইউনিটে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ মে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার 'সি’ ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার আসন রয়েছে। এই আসনের বিপরীতে এবার আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এবার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বুয়েট-ঢাবি

প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

বুধবার (১০ এপ্রিল) ওয়েবসাইটে এ র‌্যাংঙ্কিং প্রকাশ করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়-এমন ৫৫টি বিষয়কে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ২০২৪ সালের এ র‌্যাংঙ্কিং প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকাশিত র‌্যাংঙ্কিং অনুযায়ী- এ বছর বিশ্বের ৯৫টি দেশের এক হাজার ৫৫৯টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬ হাজার ৪০০টিরও বেশি একাডেমিক প্রোগ্রামের মর‌্যাংদা ও গবেষণাকে বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র‌্যাংঙ্কিংয়ে স্থান দেওয়া হয়েছে।

এবারের র‌্যাংঙ্কিংয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে বুয়েট ৬৪ দশমিক পাঁচ স্কোর নিয়ে ৩০৫তম স্থানে আছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে।

সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৫১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে। আর আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে।

অন্যান্য ক্যাটাগরিগুলো হলো-লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন, ন্যাচারাল সায়েন্স। এই দুই ক্যাটাগরিতে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি।

এর আগে ২০২৩ সালে প্রকাশিত কিউএস বিষয়ভিত্তিক র‌্যাংঙ্কিংয়েও দেশের শুধু বুয়েট ও ঢাবির স্থান হয়েছিল। সেবার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছিল।

বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়   বুয়েট   ঢাবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন