নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
পাশের বাসার পরিবারের ছোট ছেলেটি গতবছরে শহরের নামকরা স্কুলে চান্স পেয়েছে। আবার আত্মীয়-পরিজনের অনেকের সন্তানই দেশের নামকরা সব স্কুলে পড়াশুনা করছে। তাই আপনিও চাইবেন আপনার সন্তানটিও ভালো কোনো স্কুলে পড়ুক, এবং সেটি অবশ্যই তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্যেই। কিন্তু সেই স্কুলে ভর্তি করতে একটি শিশুকে এখন যে পরিমাণ চাপ আর প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়, তাতে অভিভাবকরাই বেশি চিন্তিত থাকে। অনেকে এটাও বলে যে, দেখে মনে হয় ভর্তি পরীক্ষাগুলো যেন বাবা-মায়েরাই দিচ্ছে।
এখনকার লেখাপড়া যথেষ্ট সিরিয়াস বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এখন যেনতেনভাবে শিখলে বা পড়লে কাজ হয় না। এখন ‘উন্নত’ ও ‘আধুনিক’ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হয়। এজন্য অবশ্য আলাদা ব্যবস্থা আছে। আছে ‘ভালো’ স্কুল। তবে এসব ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়া সহজ ব্যাপার নয়। কারণ ভালো স্কুলের সংখ্যার তুলনায় এসব স্কুলে ভর্তি হতে, পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক অনেক বেশি। প্রত্যেক অভিভাবকই চায় তার সন্তান সবচাইতে ভালো স্কুলে পড়ুক, শ্রেষ্ঠ সন্তানে পরিণত হোক। এজন্য শিশুদের ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য রীতিমতো যুদ্ধে নামতে হয়। তীব্র প্রতিযোগিতায় টিকতে পারলে ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মেলে।
ভর্তিযুদ্ধটা মূলত উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানদের। এসব অভিভাবক তাদের সন্তানদের ‘সেরা’ ও ‘ক্ষমতাবান’ বানানোর স্বপ্ন দেখেন। তাই তো সবচেয়ে ভালো স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করাতে চান তারা। অর্থবিত্ত, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আর উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে যারা তাদের সন্তাদের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধায় পরিণত করতে পারেন, তারাই এই ভর্তি যুদ্ধে জয়ী হয়। ভালো স্কুলে পড়তে পারাটা বর্তমানে পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। অল্প কয়েকজন সোনার-সন্তান এই সৌভাগ্য অর্জন করে। উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তানরাই বর্তমানে সব ভালো স্কুল দখল করে আছে।
কোমলমতি শিশুদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই তাই একজন ‘যোদ্ধায়’ পরিণত হতে হয়। এজন্য এখন আর শিশুদের মধ্যে ‘শিশুত্ব’ দেখা যায় না। সহযোদ্ধাদের হারিয়ে সে যেন বিজয় নিয়ে আসতে পারে এজন্য দক্ষ যোদ্ধায় পরিণত হওয়ার সাধনা চলে। এতসব ঝক্কি-ঝামেলার পর শিশুদের মধ্যে আর ‘শিশুত্ব’ থাকেই বা কীভাবে? একালের শিশুরা পরিণত মানুষের মতো কথা বলে, আচরণ করে। বর্তমানে এই শিশুরা ব্যাপক তত্পর হয়ে উঠেছে। সামনেই বড় স্কুলগুলোর ভর্তিযুদ্ধ আসছে। এখন প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের প্রস্তুতিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আগে স্কুল নির্বাচন করুন
শিশুদের ভর্তিযুদ্ধে নামাতে হলে সবচেয়ে প্রথমে দরকার সঠিক স্কুল নির্বাচন করা। এ দায়িত্ব অবশ্যই অভিভাবকদের। কারণ তাদের মাথায় রাখতে হবে যে সবার ক্ষমতা একরকম নয়। আপনার সন্তানও কখনো পুরোপুরি পূর্ণাঙ্গ মেধাবী হবে না। সে অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করবেন। সন্তান একটু দুর্বল হলে তাকে দেশের সবচেয়ে ভালো স্কুলে ভর্তির আশা না করা বা তার সাধ্যের বাইরে চাপ না দেওয়াই ভালো। এতে করে তার ওপর মানসিক চাপ কম থাকবে, অন্যদিকে সে মনোযোগী হয়ে হয়তো ভালো করতে পারবে।
একটা কথা অভিভাবককে অবশ্যই মনে রাখতে যে, সন্তানের স্কুল আপনাদের বাড়ির গন্তব্যের মধ্যে থাকা ভালো। এবং সেটি অবশ্যই আপনার সন্তান ও আপনার নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী। খুব বেশি প্রত্যাশা করতে গিয়ে আপনার সন্তানকে আবার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবেন না। নিজের জীবনের না পারা বিষয়গুলো সন্তানকে দিয়ে পূরণ করতে যাবেন না।
এবার প্রস্তুতিতে নামুন
স্কুল নির্বাচন শেষে সন্তানকে প্রস্তুত করতে শুরু করুন। শিশুদের ভর্তিযুদ্ধে জিততে হলে বিভিন্নভাবেই সন্তানকে প্রস্তুত করা সম্ভব। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন যে তাকে যেন কোনোভাবে চাপ না দেওয়া হয়ে যায়। তাকে আগে পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে একটু আধটু বুঝাতে শুরু করুন। প্রক্রিয়াটা যে একটু জটিল এবং তাকে মোটামুটি যে একটা প্রতিযোগিতায় নামতে হবে এটা তাকে একটু বোঝান। যে যাতে কখনো ঘাবড়ে না যায় বা ভয় না পায় সে জন্য তাকে হালকা আবহে রাখতে চেষ্টা করুন।
তাকে যে স্কুলে ভর্তি করাতে চান, সেই স্কুল বা স্কুলগুলোর ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেবেন অবশ্যই। সেই মতো সন্তানকে প্রস্তুত করে তুলুন। তাকে অল্প অল্পে করে পড়ার বিষয়গুলো বোঝাবেন। সে বুঝেছে বুঝদে পারলেই তারপর প্রশ্ন করবেন।
তাকে পড়াশুনার প্রতি অবশ্যই আগ্রহী করে তুলবেন। মনের মধ্যে পড়া নিয়ে অন্তত কোনো ভীতি তৈরি করাবেন না। তাকে ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্বন্ধে ভালোভাবে প্রস্তুত করান। প্রতিদিন নতুন কিছু শেখানোর পাশাপাশি আগের বিষয়গুলোও মাঝেমাঝে ঝালাই করিয়ে নিন। তাকে ধরে বেধে জোর করে কখনো পড়াবেন না। তার মনোযোগ বুঝে তাকে পড়াতে বোঝান। শুধু নির্দিষ্ট সময়েই নয়, মাঝেমাঝে খাওয়া, খেলা বা ঘুমের আগে পড়াগুলো বলে দেখুন তার মনে আছে কি না।
পড়াশুনা মোটামুটি আয়ত্ত্বে আনতে পারলে স্কুলের ভর্তি পরীক্ষার মতো করেই পরীক্ষা নিন। এতে দেখুন সন্তান ভর্তিযুদ্ধ পার করেত কতটা প্রস্তুত। এতে প্রস্তুতি খুব মনঃপূত না হলে অবশ্যই বাসায় প্রাইভেট টিউটর রাখতে পারেন।
ভর্তি পরীক্ষায় যে ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে, সেগুলো ঠিকঠাক করে উত্তর লেখা শেখাবেন। অবশ্যই কাঠামো মেনে। পরীক্ষার অন্তত একমাস আগে থেকে যাচাই করতে থাকুন যে সন্তান সব বিষয়ের সঠিক উত্তর সময়ের মধ্যে দিতে পারছে কি না। পারলে ভালো আর না পারলে আরেকটু চেষ্টা করুন।
পরীক্ষা ঘনিয়ে আসলে কৌশলী হন। অভিভাবকরা ভাবেন যে পরীক্ষার আগে যত পড়বে, ফলাফল হয়তো ততই ভালো হবে। প্রস্তুতি আগেই শেষ করে পরীক্ষার আগে শুধু রিভিশনের পালা। এই সময় থেকে খেয়াল করবেন যেন আপনার সন্তান বেশি চিন্তা না করে। তার নিয়মিত ঘুম এবং খাওয়াদাওয়া খেয়াল রাখুন। পরীক্ষার আগের রাতে সন্তানকে নতুন কিছু পড়াতে যাবেন না। তাকে পর্যাপ্ত ঘুমাতে দিন।
আর সন্তানকে বিশেষ কোচিং এ ভর্তি করলে আলাদা রুটিন মেনে চলবেন। কোচিং এ বেশি চাপ দিলে বাসাতে তাকে একটু কম চাপ দেবেন। কোচিং এ কি কাজ করাচ্ছে, সে ঠিকমতো সেগুলো আত্মস্থ করতে পারছে কি না খোঁজ রাখুন। আর কোচিং এ ভর্তি করেছেন বলে আপনি নিজে খেয়াল রাখবেন না, তা নয়। কোচিং চলবে কোচিং এর মতো, আর অভিভাবক গ্রুমিং করবে একদম নিজের মতো করে। কারণ সন্তানের ভিতরের অবস্থা তো একমাত্র বাবা-মায়েরাই বোঝে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ঢাবি
মন্তব্য করুন
এসএসসি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড
মন্তব্য করুন
আগামী ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে। মঙ্গলবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
রুটিন অনুযায়ী, ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এর আগে চলতি বছর ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুন মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু করার প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আজ ৩০ জুন পরীক্ষার তারিখ ঠিক করে রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
ক্যাম্পাসে গত বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশের প্রতিক্রিয়ায় চলমান
আন্দোলনে একটি ‘অন্ধকার সংগঠনের’ ইন্ধন দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ ছাত্র। এই ছাত্ররা
বলছেন, শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে একটি অন্ধকার সংগঠনের ইন্ধনে বুয়েটে বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বুয়েটে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ
সংগঠন হিযবুত তাহরীর। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলছেন, তাঁকেই ‘ছাত্রলীগ’
ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷
শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা তিনটার পর বুয়েট শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন
করে এসব কথা বলা হয়। এতে অংশ নেওয়া পাঁচ বুয়েট ছাত্র নিজেদের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
বিশ্বাসী ছেলে’ হিসেবে দাবি করেছেন।
মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ
হোসেন বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ)
পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে
সকাল ৭টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন কয়েক শ শিক্ষার্থী৷
এমন প্রেক্ষাপটে বেলা তিনটার পর ওই পাঁচ ছাত্র বুয়েট শহীদ মিনারের
সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তানভীর মাহমুদ। তিনি দাবি
করেন, তারা পাঁচজন কোনো ছাত্রসংগঠনের পদধারী নন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২০২৩ সালের
জুলাইয়ে সুনামগঞ্জের হাওরে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার অভিযোগে বুয়েটের প্রাক্তন
এবং বর্তমান ৩৪ জন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হন। তাদের নামে এখনো আদালতে মামলা চলমান এবং
সবাই জামিনে আছেন৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী মৌলবাদের বিরুদ্ধে
মানববন্ধন করি৷ এই মানববন্ধন করার পর আমাদের চিহ্নিত করে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং জবাবদিহি
চাওয়া হয়। বিভিন্ন হলের কক্ষে কক্ষে রাত ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ডেকে জবাবদিহি চাওয়া
হয়। এমনকি মানববন্ধনকে একটি অপরাধের সঙ্গে তুলনা করে আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়ারও
হুমকি দেওয়া হয়।’
তানভীর মাহমুদ বলেন, ‘বুয়েটের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপগুলোতে আমাদের
পক্ষে কেউ নিজের কোনো মতামত রাখতে গেলে তাঁকে বুলিং এবং নানা ধরনের হুমকির শিকার হতে
হয়৷ আমাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক কিংবা পরিচয় থাকায় অনেককেই কটাক্ষের স্বীকার হতে হয়৷
যে কারোরই পারিবারিকভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে, বিশেষ করে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেই বা পরিচয় থাকলে
তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়; পরিবার নিয়েও অশালীন মন্তব্য করা হয় অনলাইন ও অফলাইনে।’ তিনি
আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আমাদের মতো গুটিকয়েক ছেলের বিরুদ্ধে কারা
এবং কাদের ইন্ধনে এসব হচ্ছে, তা একটু ভেবে দেখার সময় হয়েছে৷ মিথ্যাচার করে আমাদের দোষী
করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী।’
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের বিষয়ে কয়েকটি
ঘটনা তুলে ধরেন আরেক বুয়েট ছাত্র আশিক আলম৷ তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসের কিছু ঘটনা এবং
আমাদের ওপর একের পর এক আক্রমণ প্রমাণ করে দেয় যে ছাত্ররাজনীতিবিহীন বুয়েট ক্যাম্পাসে
এখন প্রকাশ্যেই হিযবুত তাহরীর তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে৷ এই নিষিদ্ধ সংগঠন তাদের স্বার্থ
হাসিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি আবেগ নিয়ে৷ বুয়েটে আবরার ফাহাদ ভাইয়ের সঙ্গে খুব
খারাপ একটি ঘটনা ঘটেছে৷ আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই৷ কিন্তু হিযবুত তাহরীর ও
শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আবেগকে পুঁজি করে প্রকাশ্যেই নিজেদের প্রচার-প্রচারণা
চালাচ্ছে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলবেন, তাঁকেই
ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷ আমাদের সঙ্গে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনেক
শিক্ষার্থী থাকলেও ভয়ে ও হুমকিতে আসতে পারছেন না৷ আরও ২০-২৫ জন এখানে আসতে চাইলেও তাঁদের
ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷’
ছাত্ররাজনীতিমুক্ত বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসীদের
দমিয়ে রেখে অন্ধকার রাজনীতি শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন
আশিক৷ তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠুভাবে ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে চাই, পরীক্ষা দিতে চাই৷
সবাই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মতাদর্শে বিশ্বাস করুক। তবে স্বাধীনতাবিরোধী কোনো চেতনাকে
আমরা কখনোই বুয়েটে ঠাঁই পেতে দেব না।’
বুধবার মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের বিষয়ে আশিক আলমের ভাষ্য, ‘আমরা শুনেছি, সেখানে একটি ছাত্রসংগঠনের সভাপতি এসেছিলেন। তিনি আসতেই পারেন। তিনি তো কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাননি৷’
মন্তব্য করুন
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে গত বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশের প্রতিক্রিয়ায় চলমান আন্দোলনে একটি ‘অন্ধকার সংগঠনের’ ইন্ধন দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ ছাত্র। এই ছাত্ররা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে একটি অন্ধকার সংগঠনের ইন্ধনে বুয়েটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বুয়েটে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলছেন, তাঁকেই ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷