নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯
চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এটা নির্ভর করবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন এবং সম্মতির ওপর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদ উপাচার্যের কার্যক্রম পর্যালোচনা করেছে। এই উপাচার্যদের শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে তাদেরকে উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। এই আলোকেই তারা একটি প্রক্রিয়া শুরু করছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিলেই এই এই প্রক্রিয়া কার্যকর হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন চাপের মুখে নিজেই পদত্যাগ করেছেন।
জানা গেছে যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনেকদিন ধরেই অশান্ত। সেখানের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাকে নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের জন্য তাকে অপসারণ বা ছুটিতে পাঠানোর জন্য একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে।
আবরার হত্যাকাণ্ডে বুয়েট উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং ভর্তি পরীক্ষার পরে যদি আবার নতুন করে আন্দোলন হয়- তাহলে বুয়েটের উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে তাকেও সরিয়ে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের রয়েছে।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কবে কি প্রক্রিয়ায় তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হবে সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে
ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল
পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড থেকে ফরম পূরণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ ফরম
পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।
ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার
পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো আর কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।
যেহেতু এ বছর প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে আর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাক্রম
মন্তব্য করুন
আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শীঘ্রই রুটিনসংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বুধবার (২০ মার্চ) এসব তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সাধারণত করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। ওই বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।
আর ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা
মন্তব্য করুন