নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৮ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৯
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রতিবারই বেপরোয়া হয়ে উঠে চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীরা। এসবের কবলে পড়ে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। তাছাড়া ক্যাম্পাসের বাহিরে মেসে থাকতে গেলে মেস কিংবা বাসার মালিকেরা অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করেন। এসব নিয়ে বরাবরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সজাগ থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েও কার্যত ‘যেই লাউ সেই কদু’র মতো অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
প্রতিবারের এসব অস্বস্তিকর অবস্থার অভিজ্ঞতা থেকে অনেকেই জানান, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গা থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিনতাই করতে ওত পেতে থাকে দুর্বৃত্তরা। ভিতরে বা বাহিরে কোনো না কোনো স্থানে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির শিকার হয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ও কাজলা গেট, মেহেরেচন্ডি, জুবেরী মাঠ, ইবলিশ চত্বর, তুঁতবাগান, প্যারিস রোডসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘটে এসব ছিনতাইয়ের ঘটনা। এসব ছিনতাইয়ের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার বখাটে ছেলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা সম্পৃক্ত থাকেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আশ্রয় নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল ও পার্শ্ববর্তী মেসসমূহে। মেস মালিকরা নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা আদায় করেন। হলের ভিতরে শিকার হতে হয় র্যাগিং এর। ক্যাম্পাসের পথেঘাটে অগণিত স্টল বসায় চলতে ফিরতে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এবারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বেশ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এবং ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করছেন। অভিভাবকদের থাকার সুবিধার্থে জায়গা করা হচ্ছে তবে হলের ভিতর অভিভাবকরা থাকতে পারবেন না বলেও ঘোষণা হয়েছে। ক্যাম্পাসের ভিতরে কোনো স্টল বসাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ইতোমধ্যে স্টলের জন্য জায়গা বরাদ্দ হয়ে গেছে। অন্যদিকে মেস মালিক সমিতি বরাবরের মতো বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার কথা বলছেন।
মেস মালিক সমিতি জানান, এবার কোনো মেস মালিক অর্থ আদায় করবেন না। আগত শিক্ষার্থীদের সম্মানের সহিত জায়গা দেওয়া হবে। কোনো অসুবিধার শিকার হলে মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ এবার স্পেশালভাবে নিরাপত্তা দিবেন। কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পাসের ভিতরে যেসব স্টলের জায়গা বরাদ্দ হয়েছে তা তুলে দেওয়া হবে। আমরা এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এবং সুবিধার ব্যাপারে সকলের সহযোগীতা আশা করছি।
একাধিক শিক্ষার্থী বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রতিশ্রুতি নামক মুলা ঝুলিয়ে রাখে। শেষ পর্যন্ত ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অর্থ আদায়, র্যাগিং, হয়রানি চলেই। প্রশাসন এ ব্যাপারে সজাগ হোক সেটা আশা করি। ঘোষণাগুলো অন্তত ফলপ্রসু হোক।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে
ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল
পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড থেকে ফরম পূরণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ ফরম
পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।
ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার
পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো আর কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।
যেহেতু এ বছর প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে আর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাক্রম
মন্তব্য করুন
আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শীঘ্রই রুটিনসংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বুধবার (২০ মার্চ) এসব তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সাধারণত করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। ওই বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।
আর ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা
মন্তব্য করুন