নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ০৫ জুন, ২০২০
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশ কয়েক বছর আমাদের করোনার সঙ্গেই মিলেই বাস করতে হবে। এতে করে বদলেও যেতে পারে আমাদের স্কুল-কলেজ, অফিস সংক্রান্ত ধ্যান ধারণা। ফলে, ঘরবন্দি থেকে অনলাইনেই কাটাতে হবে অনেকটা সময়। তাই নতুন দুনিয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়েও নিতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। অনলাইন ক্লাস ব্যাপারটার সঙ্গে আপনার সন্তান এবং আপনি নিজে যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবেন, ততই মঙ্গল। বাচ্চা বা কিশোর-কিশোরীদের সামলানোর মানসিক প্রস্তুতি থাকে শিক্ষকের। তাদের স্বাভাবিক দুষ্টুমির সঙ্গে তাঁরা পরিচিত।
কিন্তু বাড়ি থেকে লেখাপড়ার ব্যবস্থা হওয়ায় অভিভাবকরা নাক গলাচ্ছেন পড়াশোনায়। আর তা সামলাতে অনেক বেশি অসুবিধে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাই অভিভাবক হিসেবে আপনি সতর্ক হোন। বাচ্চার স্কুলের ক্লাস চলার সময়ে নাক গলাবেন না। অসুবিধে হলেও তারা মানিয়ে নেবে পরিস্থিতির সঙ্গে। আর দুষ্টুমিও করলে, সেটা শিক্ষক সামলাবেন। দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে নেই শিক্ষার্থীরা। ফলে এতে করে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত হয়েছে। তাছাড়া, এক ধরণের মানসিক চাপের মধ্যেও রয়েছে। তাই এই সময়ে পরিবারের উচিত তাদের সর্বোচ্চ মানসিক সাপোর্ট দেওয়া। এতে করে পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
অনলাইন ক্লাস চলার সময়েও স্কুলের ডিসিপ্লিন একটি বড় বিষয়। প্রতিদিন ক্লাস শুরুর আগেই তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রতিদিনের কাজ শেষ করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। সাধারণত অ্যাটেনডেন্স মার্ক করার আগে শিক্ষক ভিডিয়ো অন করতে বলেন। তাই স্কুলের পোশাক পরে তৈরি হয়ে ক্লাসে বসতে হবে। ক্লাস চলাকালীন ভিডিয়ো এবং অডিয়ো অফ রাখতে বলা হয়। তা না মানলে শিক্ষকের পড়াতে অসুবিধে হয়। প্রযুক্তির এই বিষয়গুলোতে একটু সচেতন থাকতে হবে। তা না হলে এই ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকাংশে ফলপ্রসূ হয় না। যেহেতু শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থেকেই এই ধরণের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হচ্ছে। তাই পরিবারকে তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। তাতে করোনাকালীন সময়ের নতুন এই দূরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম অনেকখানি ফলপ্রসূ ও কার্যকর হবে। সব শিক্ষকই ছাত্রকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেন। কোনও অসুবিধে থাকলে তখনই জেনে নিতে হবে। বাচ্চা ক্লাসে মন দিচ্ছে কিনা? নোট নিচ্ছে কিনা। সেটা আপনি দেখলেই বুঝবেন। তবে তখনই হামলে পড়ে বকাঝকা করার দরকার নেই। পরে তার সঙ্গে কথা বলুন। বোঝান যে এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা সে এই সময়ে খুব মিস করছে। তাছাড়া, বন্ধুরা একসাথে মিলে যে গ্রুপ স্টাডি করার সুযোগ ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বকাবকি না করে তাকে বোঝান। যুক্তি দিয়ে বোঝালে বাচ্চারা সব কথা শোনে। সন্তান স্কুলের কাজ ঠিকমতো করছে কিনা বা শিক্ষকের দেখিয়ে দেওয়া ভুল শুধরে নিচ্ছে কিনা সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। প্রথমদিকে একটু এদিক ওদিক হতে পারে, কিন্তু এই পরিস্থিতি কবে বদলাবে কেউ জানে না। তাই নতুন পৃথিবীর জন্য তাকে আজ থেকেই তৈরি করুন।
মন্তব্য করুন
এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের
ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি
পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত
‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা
হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।
এইচএসসি পরীক্ষা ফরম পূরণ সোনালী সেবা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।
এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।
এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।
মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।
তীব্র তাপদাহ গরম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ঢাবি
মন্তব্য করুন
এসএসসি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।