নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ০৯ জুন, ২০২০
বিশ্বসেরা ১৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও নেই প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ের (সিডব্লিউইউআর) বিশ্বসেরা দুই হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ১ হাজার ৭৯৪তম হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল সোমবার নিজেদের ওয়েবসাইটে ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস ২০২০-২১’ শীর্ষক এই তালিকা প্রকাশ করেছে সিডব্লিউইউআর। ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে সংস্থাটি৷
বাংলাদেশের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এই তালিকায় স্থান পায়নি। যদিও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ৬৪টি ও পাকিস্তানের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় এই তালিকায় স্থান পেয়েছে৷ ভারতের ১৬টি ও পাকিস্তানের ২টি বিশ্ববিদ্যালয় সিডব্লিউইউআরের এই র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ১০০০-এর মধ্যে রয়েছে। সার্কের অন্য ৫টি দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এই তালিকায় স্থান পায়নি৷
মোট সাতটি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সামগ্রিক মান যাচাই করে থাকে সিডব্লিউইউআর৷ এগুলো হলো শিক্ষার মান (কোয়ালিটি অব এডুকেশন), প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পেশাগত অবস্থান (অ্যালামনাই অ্যামপ্লয়মেন্ট), শিক্ষকদের মান (কোয়ালিটি অব ফ্যাকাল্টি), গবেষণার সংখ্যা (রিসার্চ আউটপুট), উচ্চমানসম্পন্ন প্রকাশনা (হাই-কোয়ালিটি পাবলিকেশন), গবেষণা-প্রভাব (ইনফ্লুয়েন্স) ও গবেষণা-উদ্ধৃতি (সাইটেশনস)৷
এই সাত সূচকের মোট স্কোর ১০০-র মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোর ৬৬ দশমিক ৬৷ আর ১০০-তে ১০০ স্কোর অর্জন করে এই র্যাঙ্কিংয়ে টানা নবমবারের মতো বিশ্বের এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অর্জন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
সিডব্লিউইউআরের এই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের৷ দুই হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো তালিকায় ৩৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় (পোয়ের্তো রিকোসহ) নিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে দেশটি৷ তালিকায় চীনের ২৬৭টি (হংকং ও ম্যাকাওসহ) ও জাপানের ১২৬টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এ ছাড়া এই র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের সেরা দুই হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যুক্তরাজ্যের ৯৫টি, ফ্রান্সের ৮২টি ও রাশিয়ার ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে
ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল
পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড থেকে ফরম পূরণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ ফরম
পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।
ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার
পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো আর কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।
যেহেতু এ বছর প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে আর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাক্রম
মন্তব্য করুন
আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শীঘ্রই রুটিনসংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বুধবার (২০ মার্চ) এসব তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সাধারণত করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। ওই বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।
আর ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা
মন্তব্য করুন