নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার মান নিয়ে তর্ক-বিতর্ক দীর্ঘ দিনের। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই আলোচনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের টাইমস হায়ার এডুকেশন। প্রতিষ্ঠানটির করা তালিকায় আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারত বা পাকিস্তানের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকলেও, বাংলাদেশ এদিক থেকে হতাশ। এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উঠে আসলেও, তা যেন অনেকটাই কোন রকমে টিকে থাকার মতো। ফলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্পন্ন বা গুণগত শিক্ষা দিতে পারছে কিনা- এই প্রশ্ন যেন নতুন করে তুলে ধরল।
বর্তমানে দেশে স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৬ টি। সেইসাথে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও ১০০ টির উপরে। অবশ্য এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়নি। জানা যায়, সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো উপাচার্যের পদ শূন্য। আর এর মধ্যে উপাচার্য ছাড়া কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তিনটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তাছাড়া, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদও শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত নতুন করে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। ফলে, সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমও চলছে ঢিমে তালে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদ জানান, স্কুল বা কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পার্থক্য অনেক। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হল জুনিয়র স্কলার আর শিক্ষকরা সিনিয়র স্কলার হিসেবে কাজ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষার কাজ হল প্রশ্ন তোলা এবং জ্ঞান উৎপাদন করা। আর একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিকভাবে পরিচালনার কাজে উপাচার্যের গুরুত্ব অনেক। উপাচার্য ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কাজ নিয়ে ভাবাই যায় না। তারা জানান, শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান থেকে শুরু করে প্রশাসনিক সকল কাজই হয় উপাচার্যের মাধ্যমে। তাছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমিটি থেকে শুরু করে, সিন্ডিকেট, ছাত্র সংসদ কিংবা বিভিন্ন বডি বা কমিটির কাজও উপাচার্যকে নিয়ে। তারা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব বা কাজ সম্পর্কে উপাচার্যকে অবহিত করে থাকে। মোট কথা, একটি বিশ্ববিদ্যালয় আবর্তিত হয় উপাচার্যকে কেন্দ্র করে। উপাচার্য ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কাজই স্থবির হয়ে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপাচার্য ছাড়াও কোষাধ্যক্ষসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদও ফাঁকা রয়েছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর এই সমস্ত পদ শূন্য রেখে শুধু অবকাঠামো দিয়ে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। তারা জানান, গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষার সবসময় গবেষণার দিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু উপাচার্য ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার কথা তো ভাবাই যায় না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে
ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল
পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড থেকে ফরম পূরণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ ফরম
পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।
ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার
পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো আর কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।
যেহেতু এ বছর প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে আর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাক্রম
মন্তব্য করুন
আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শীঘ্রই রুটিনসংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বুধবার (২০ মার্চ) এসব তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সাধারণত করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। ওই বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।
আর ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা
মন্তব্য করুন