ইনসাইড এডুকেশন

শিক্ষার ১২ টা কি বেজেই গেল?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

 

বাংলাদেশে করোনা সংকটের শুরু থেকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল অর্থনীতিকে। মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য খাতকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গুরুত্ব দেওয়া হয়নি শিক্ষা খাতকে। করোনা সংকট আবার দেখিয়ে দিল যে, শিক্ষা আমাদের কাছে কত উপেক্ষিত! গত মার্চ মাস থেকেই দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিকের পরীক্ষা হয়েছে, ফলাফলও প্রকাশিত করা হয়েছে- এটাই কেবল সাফল্য।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে চলতি সেশনের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করা হয়েছে, অনলাইনে তাদের ক্লাশ চলছে। আর এভাবে অনলাইনের নামে শিক্ষা যেন এখন মোবাইল বা টেলিভিশনে বন্দী হয়ে পড়েছে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম এখন যেন পুরোটাই অনানুষ্ঠানিক হয়ে গেছে। কিন্তু এতো কিছুর মধ্যে শিক্ষা বর্ষ শেষে বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার একটা আশ্বাস বা আশা ছিল। কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন। আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রী জানান, এ বছর আর স্কুল খুলছে না। সেইসাথে স্কুল বার্ষিক পরীক্ষাও হচ্ছে না। পরবর্তী ক্লাশে উত্তীর্ণ হবার জন্য শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক মূল্যায়নের কথা জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এজন্য এক মাসের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করে তার ওপর এই মূল্যায়ন হবে।

কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রী কি জানেন? বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন, ইন্টারনেট এক্সেস বা ডিজিটাল মাধ্যমে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুবিধা নেই। ফলে এই সময়ে অনলাইন ক্লাশের নামে যা হচ্ছে- তাতে খুব কম শিক্ষার্থীরাই উপকৃত হচ্ছে; মুষ্টিমেয় কিছু উচ্চবিত্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া। সরকার অর্থনীতিকে চালু করার জন্য সবকিছুকেই চালু করে দিয়েছে। অফিস-আদালত থেকে শুর করে হাট-বাজার সকল কিছু। খেলা, সিনেমা হলও চালু হয়ে গেছে। কিন্তু শুধু এক শিক্ষা নিয়েই করোনার ভয়ের কথা বলা হচ্ছে। করোনার জুজু যেন শিক্ষা খাতকে গ্রাস করে ফেলছে।

করোনার এই সাত মাসে দেখা যাচ্ছে যে, দেশে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাত এখন শিক্ষা খাত। ইউনিসেফের প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, করোনা শেষে শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশের শিক্ষার্থী আর স্কুলে ফিরতে পারবে না। শিক্ষার সাথে যে শুধু পড়াশোনাই জড়িত, এমন নয়; এর সাথে অনেক বিষয়ই জড়িত। দেশের দরিদ্র্য পীড়িত অঞ্চলে স্কুল থেকে মিড ডে ফুড পায় শিক্ষার্থীরা। এটা শিক্ষার্থীদের পুষ্টির অনেক বড় একটি অংশের জোগান দেয়। দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনেক বড় একটা অংশ বিভিন্ন খণ্ডকালীন চাকরি করে পরিবারে অর্থের জোগান দেয়। অনেকে শিক্ষার্থী আবার টিউশনির টাকায় নিজের খরচ চালিয়ে গ্রামে মা-বাবাকে টাকা দেয়। করোনা সংক্রমণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ। তাদের থাকার জায়গা নেই, টিউশনি নেই। ফলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মতো স্থবির হয়ে পড়েছে তাদের উপার্জনের একমাত্র উৎসটি।

দীর্ঘদিন পর এবার উচ্চ শিক্ষাতেও একটি সেশন জট তৈরি হয়েছে। সংকটকালীন এই সময়ে অর্থনৈতিক ঝুকি এড়াতে প্রণোদনা প্যাকেজ করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে সংকট এড়াতে কিছুই যেন করা হয়ে উঠেনি। শিক্ষামন্ত্রী কিছু দিন পরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে একটা বিবৃতি দেয়। কিন্তু সেখানে দৃশ্যমান কিছুই থাকে না। চেষ্টা করলেই যে, কাজ করা যায়- তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখিয়ে দিয়েছে। প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, তারা অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নিবে না। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দেশের সবকটি বিভাগীয় শহরগুলোতে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশে অনেক শিক্ষাবিদ রয়েছে, যারা শিক্ষা নিয়ে অনেক কাজ করেছেন, অনেক গবেষণা করেছেন। মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এই রকম অসংখ্য শিক্ষাবিদ রয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী তাদের সাথে কোন রকম পরামর্শ করেছেন কিনা, কথা বলেছেন কিনা- তা জানা যায় না। তাদের সাথে কথা বললে সমাধানের একাধিক পথ খুঁজে পাওয়া যেত। প্রতিবেশি দেশ ভারতের কয়েকটি জায়গায় বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। একাধিক শিফট কিংবা সপ্তাহে একদিন স্কুলে আসা সহ অসংখ্য বিকল্প পদ্ধতিতে একটা পথ খুঁজে বের করা যেত। যতটুকু পারা যায় পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সুযোগ ছিল, সুযোগ ছিল সময় নিয়ে পরীক্ষা নেওয়ারও। এসব নিয়ে কোন রকম গবেষণা ছাড়াই, মাথা ব্যাথায় মাথা কেটে ফেলার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

এভাবে কোন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে পারে না! হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও অনলাইনের পাশাপাশি ক্লাশ চালু করে দিয়েছে। ইউরোপ সহ বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর সাথে তুলনা করে তো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে পারে না। আমাদের কাছে শিক্ষা যে সব সময় একটা উপেক্ষিত বিষয়, এই করোনা সংকট যেন তা আবারও আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, প্রমাণ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের যদি কোন সূচনা বিন্দু থাকে, তাহলে এই সূচনা যেন শুরু হয়েছে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর হাত ধরে। আর তাই বলাই যায়, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ১২ টা বাজতে আর বেশি দেরি নেই।          



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।


এইচএসসি পরীক্ষা   ফরম পূরণ   সোনালী সেবা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে ক্লাস বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।

মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।


তীব্র তাপদাহ   গরম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা। তিন ইউনিটে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ মে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার 'সি’ ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার আসন রয়েছে। এই আসনের বিপরীতে এবার আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এবার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বুয়েট-ঢাবি

প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

বুধবার (১০ এপ্রিল) ওয়েবসাইটে এ র‌্যাংঙ্কিং প্রকাশ করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়-এমন ৫৫টি বিষয়কে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ২০২৪ সালের এ র‌্যাংঙ্কিং প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকাশিত র‌্যাংঙ্কিং অনুযায়ী- এ বছর বিশ্বের ৯৫টি দেশের এক হাজার ৫৫৯টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬ হাজার ৪০০টিরও বেশি একাডেমিক প্রোগ্রামের মর‌্যাংদা ও গবেষণাকে বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র‌্যাংঙ্কিংয়ে স্থান দেওয়া হয়েছে।

এবারের র‌্যাংঙ্কিংয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে বুয়েট ৬৪ দশমিক পাঁচ স্কোর নিয়ে ৩০৫তম স্থানে আছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে।

সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৫১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে। আর আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে।

অন্যান্য ক্যাটাগরিগুলো হলো-লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন, ন্যাচারাল সায়েন্স। এই দুই ক্যাটাগরিতে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি।

এর আগে ২০২৩ সালে প্রকাশিত কিউএস বিষয়ভিত্তিক র‌্যাংঙ্কিংয়েও দেশের শুধু বুয়েট ও ঢাবির স্থান হয়েছিল। সেবার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছিল।

বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়   বুয়েট   ঢাবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে যা জানালো বোর্ড

প্রকাশ: ০১:০০ এএম, ০৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল মে মাসের শুরুর দিকে প্রকাশ করা হতে পারে। বুধবার (৩ এপ্রিল) আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।  

তিনি জানান, সাধারণত লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। এবারও সময়সীমার মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।

গত ১২ মার্চ এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সে হিসাবে ১২ মে-র মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশ করা হতে পারে। এরই মধ্যে পরীক্ষকরা খাতা মূল্যায়ন শুরু করেছেন। মূল্যায়ন শেষে তা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠানো হবে। এরপর ফল প্রকাশের প্রস্তাবনা পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড।

জানা যায়, প্রাথমিকভাবে ৯, ১০ বা ১১ মে ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাবনা পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড। তবে তৈরি হয়ে গেলে এর আগেও ফল প্রকাশ করা হতে পারে।

উল্লেখ, ২০২৪ সালের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।

এসএসসি   ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন