নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৯ এএম, ১৩ নভেম্বর, ২০২০
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ। এ পরিস্থিতে মাধ্যমিক স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। কিন্তু পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন দেওয়া হবে সবাইকে। কোনো মার্কিং বা গ্রেডিং দেওয়া হবে না। সবাই সমান পাস। এ প্রেক্ষিতে ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। এ সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। ৬ সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের এসব অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে।
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এই অ্যাসাইনমেন্ট ছাড়া পরীক্ষা বা বাড়ির কাজের মতো অন্য কোনো উপায়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যাবে না বলেও বলা হয়েছে।
দেশে করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির কারণে এর ক্ষতি পোষাতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। এই পাঠদান শুরুর পর সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের (কাজ) ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠদান শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই থেকে ৩০ কার্যদিবসের জন্য তৈরি করা হয়েছে সিলেবাস। এর আলোকে বাসায় বসে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ (কাজ) করে মূল্যায়নের জন্য সেগুলো শিক্ষকের কাছে জমা দেবে।
এর আগে গত শনিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বিষয়ভিত্তিক ও শ্রেণি অনুযায়ী পাঠপরিকল্পনা প্রকাশ করে। এতে শিক্ষকের জন্য কয়েকটি (১২টি) নির্দেশনা আছে। সেগুলো হচ্ছে শিক্ষার্থীকে প্রতি সপ্তাহে ৩টি করে অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে; নির্ধারিত বিষয়ের প্রস্তাবিত অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়া, মূল্যায়ন, পরীক্ষকের মন্তব্যসহ শিক্ষার্থীকে দেখানো এবং পরে প্রতিষ্ঠানে সেটি সংরক্ষণ করার কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে; এই কার্যক্রমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; তারা সাদা কাগজে লিখে অ্যাসাইনমেন্ট (কাজ) জমা দেবে; অ্যাসাইনমেন্টের আওতায় ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন, সৃজনশীল প্রশ্ন, প্রতিবেদন প্রণয়ন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত আছে; অভিভাবক বা তাঁর প্রতিনিধি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতি সপ্তাহে এক দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করবেন এবং জমা দেবেন।
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে বিস্তারিত সিলেবাস পাওয়া যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে (http://www.dshe.gov.bd)।
এর আগে মাউশি থেকে এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সংসদ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পাঠদান এবং স্কুল পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইন শ্রেণি পাঠদান ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আর মূল্যায়ন যেন তাদের ওপর কোনো মানসিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টি করতে না পারে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিজেরাও যেন তাদের পাঠ অগ্রগতি ও দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। এতে মোট আটটি নির্দেশনা দিয়েছিল মাউশি। এগুলোর মধ্যে আছে অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান/গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানপ্রধান শ্রেণিভিত্তিক কর্মসূচি নির্ধারণ এবং আলাদাভাবে প্রদান/গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের দুর্বল দিক ধরে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিয়ে কাঙ্ক্ষিত শিখন ফল অর্জনের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা শিক্ষকদের মূল্যায়নসহ অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ/জমা প্রদান করতে পারবে।
শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে বাড়ির কাজ ও অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঠ্যসূচি ও মূল্যায়ন টুলস তৈরির ক্ষেত্রে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮ সপ্তাহ পাওয়া যাবে। কোন সপ্তাহে শিক্ষার্থীর কী মূল্যায়ন করা হবে, তার নির্দেশনা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে দেওয়া হয়েছে। প্রথম সপ্তাহে মূল্যায়নের পর দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রস্তুতি নিতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ৮ সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন কার্যক্রম শেষ হবে।
অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া বা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা শ্রেণিভিত্তিক কর্মসূচি নির্ধারণ ও আলাদাভাবে দেওয়া এবং গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। এ ক্ষেত্রে অনলাইনের সাহায্যে বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানপ্রধান বা অভিভাবক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের কাছে দেবেন ও গ্রহণ করবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অ্যাসাইনমেন্ট ব্যতীত মূল্যায়নসংক্রান্ত অন্য কোনো কার্যক্রম (যেমন পরীক্ষা গ্রহণ, বাড়ির কাজ দেওয়া ইত্যাদি) গ্রহণ করতে পারবে না।
এ ছাড়া অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের দুর্বল দিক চিহ্নিত করবেন এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা শিক্ষকদের মূল্যায়নসহ অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা কাছাকাছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ বা জমা দিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অভিভাবক বা শিক্ষার্থী তার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সব আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা সমন্বয় করবেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে
ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল
পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড থেকে ফরম পূরণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ ফরম
পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।
ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার
পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো আর কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।
যেহেতু এ বছর প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে আর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাক্রম
মন্তব্য করুন
আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শীঘ্রই রুটিনসংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বুধবার (২০ মার্চ) এসব তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সাধারণত করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। ওই বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।
আর ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা
মন্তব্য করুন