নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৪ নভেম্বর, ২০২০
কালাপানি পার হয়ে প্রথম বাঙালি হিসেবে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন রাজা রামমোহন রায়। এইটাই ছিল বাঙালির বিদেশ যাত্রার প্রথম গল্প। ইতিহাস অন্তত তাই বলে। কিন্তু এখন প্রতি বছর ৬০ হাজার শিক্ষার্থী বিদেশ যাচ্ছে শুধু বাংলাদেশ থেকেই, তাও উচ্চ শিক্ষা নিতে। এদের কেউ যাচ্ছেন বিভিন্ন রকম স্কলারশীপ নিয়ে, কেউ যাচ্ছেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে। এসবের বাইরে হাফ স্কলারশীপ বা সম্পূর্ণ নিজের খরচেও যাচ্ছেন অনেকে।
কিন্তু করোনা সংকটের কারণে বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং বৃত্তিপ্রাপ্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর অধ্যয়ন ও গবেষণা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এখন অবশ্য কিছু কিছু দেশের দূতাবাস এবং কনস্যুলেটরা ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট সীমিত পরিসরে গ্রহণ করতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সীমিত আকারে শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন গ্রহণ করতে যাচ্ছে। আগামী রোববার (১৫ নভেম্বর) থেকে এফ, জে এবং এম ক্যাটাগরির ভিসার জন্য নতুন আবেদনকারীদের কাছ থেকে সীমিত আকারে আবেদন পত্র গ্রহণ ও সাক্ষাৎকারের জন্য সময় দেওয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।
কিন্তু অনেক দূতাবাসই এখনো পর্যন্ত দেশগুলোতে যাওয়া উচ্চ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। ফলে অনেক শিক্ষার্থীই আশঙ্কা করছেন যে, তারা বৃত্তির সুযোগ হয়তো আর কাজে লাগাতে পারবেন না। এতে করে শেষ পর্যন্ত তাদের ভর্তিও বাতিল হতে পারে। এমনটাই জানা গেছে স্কলারশীপ প্রাপ্ত একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে। তবে দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে অনলাইনে ক্লাশও করছেন কেউ কেউ। কিন্তু করোনায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই উচ্চ শিক্ষায় বিদেশ যাত্রা থমকে গেছে।
দেশ থেকে পড়াশুনার জন্য বাইরে যাওয়াদের গন্তব্য হিসেবে শীর্ষ পাঁচটি গন্তব্য মালয়েশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি। জানা গেছে, বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিষয়ক সুবিধা প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করে এই পছন্দ পরিবর্তিত হয়। ইউনেসকোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থী দেশের বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। কিন্তু চলতি বছরে করোনার কারণে উচ্চ শিক্ষায় বিদেশগামীদের অনেকেরই স্বপ্ন থমকে গেছে। তবে বেশ কয়েকটি শিক্ষা বিষয়ক কনসালটেন্সি ফার্মের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনায় সারাবিশ্ব জুড়েই একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়বে এমনটা অনুমেয়ই ছিল। হয়তো আগামী বছর থেকে অনেক দেশই এই কার্যক্রমগুলো স্বাভাবিক করে তুলবে।
মন্তব্য করুন
এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের
ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি
পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত
‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা
হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।
এইচএসসি পরীক্ষা ফরম পূরণ সোনালী সেবা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।
এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।
এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।
মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।
তীব্র তাপদাহ গরম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ঢাবি
মন্তব্য করুন
এসএসসি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।