নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
এসএসসি ও এইচএসসিতে মানবিক বিভাগ থেকে কম পড়াশুনা করে এবং সাজেশন্সের মাধ্যমে ভালো রেজাল্ট করেছে সুজন। সুজনের আশা যেভাবেই হোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়তে হবে। এজন্য সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিট, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিট এবং চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ফরম কিনেছিল। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতে তো আর কম পড়াশুনা আর শর্ট সাজেশন্সে সুযোগ পাওয়া সম্ভব নয়। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও তা পূরণ হয় নি সুজনের।
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর মাধ্যমে এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর খুবই কম সময়ের ব্যবধানে অন্যান্য ইউনিটের পরীক্ষাগুলো হবে। সময় খুব কম তবুও বিভিন্ন ইউনিটের বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি বাংলা ইনসাইডারের এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হলোঃ
বাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের নিজের ভাষা হলেও বিস্তর পড়াশুনা করতে হয় বলে বাংলাকে কঠিনই বলা যায়। ‘খ’,‘গ’,‘ঘ’ এই তিনটি ইউনিটেই বাংলাতে গুরুত্বপূর্ণ ৩০ নম্বর থাকে।
গদ্যের মূল বিষয়, গদ্য লেখক পরিচিতি, তাঁর সাহিত্যকর্ম, জীবনী ইত্যাদি বিষয় জানতে হবে। কবিতার ক্ষেত্রেও তাই। উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ বা নাটক ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে। ব্যাকরণ অংশের জন্য ভাষা, বাংলা ভাষা, ব্যাকরণ, শব্দ, কারক, সমাস, সন্ধি, বিভক্তি, বচন, বাক্য সংকোচন, বাগধারা, উপসর্গ, অনুসর্গ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। আগের বছরের প্রশ্নগুলো বাংলাতে রিপিটেশন হয়। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের আগের বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে।
ইংরেজি
অনেকে মনে করে থাকে ইংরেজি ভালো করলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া যাবে। সত্যিই ভালো ইংরেজি পারার ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ লাভ অনেকাংশে নির্ভর করে। বাংলার মতো ইংরেজিতেও ‘খ’,‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে ৩০ নম্বর করে থাকে।
Parts of speech, Article, Tense, Voice, Narration, Correction, Right form of verbs, Translation, Synonyms, Antonyms, Transformation of sentences, Joining sentence, Comprehension প্রভৃতি বিষয় ভালোভাবে পড়তে হবে। অর্থাৎ গ্রামার ভালোভাবে পড়তে হবে। পাশাপাশি ইংরেজ কবি ও সাহিত্যিক, বিশেষ করে যাদের লেখা এইচএসসির সিলেবাসে রয়েছে তাদের জীবন ও সাহিত্যকর্ম, লেখার বিষয়, উদ্ধৃতি ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়ও মনে রাখতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
‘খ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে মহামূল্যবান ৬০ নম্বর থাকে সাধারণ জ্ঞানে। ‘চ’ ইউনিটভুক্ত চারুকলাতেও সাধারণ জ্ঞানে ৫০ নম্বর থাকে। সাধারণ জ্ঞানে সাধারণত দুটি অংশ থাকেঃ বাংলাদেশ বিষয়াবলী ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী। কিন্তু কোনো সিলেবাস নেই বলে বিস্তর পড়াশুনার প্রয়োজন হয়।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ও মৌলিক তথ্যমূলক উভয় ধরনের প্রশ্ন আসে সাধারণ জ্ঞানে। বাংলাদেশ অংশের জন্য দেশের ভূ-প্রকৃতি, আয়তন, শিক্ষা, অর্থনীতি, সমাজ, রাজনীতি, উল্লেখযোগ্য স্থাপনা ও স্থপতির নাম, প্রশাসনিক কাঠামো, চলচ্চিত্র, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, খেলাধুলা, আবহাওয়া, সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ প্রভৃতি বিষয় জানতে হবে। আন্তর্জাতিক বিষয়ের জন্য জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা, স্থাপনা, স্থাপত্য, স্থপতি, নোবেল পুরস্কার, বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, রাজধানী, মুদ্রা, ভাষা, বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার যেমন অস্কার, পুলিৎজার, বুকার, ম্যাগসেসে, বিশ্বের উচ্চতম, দীর্ঘতম, ক্ষুদ্রতম, বৃহত্তম বিষয়সমূহ, আন্তর্জাতিক চুক্তি, বিশ্বের নামকরা নগর, বন্দর, ব্যয়বহুল শহর ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয় পড়তে হবে। চারুকলার জন্য এর পাশাপাশি চারুকলার সঙ্গে যুক্ত সাধারণ জ্ঞান পড়তে হবে। আগের বছরের প্রশ্নগুলো খেয়াল করলে দেখা যায় সাধারণ জ্ঞানে প্রশ্ন রিপিট হয়। তাই সেগুলোও পড়তে হবে।
হিসাববিজ্ঞান
যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে গ ইউনিটের জন্য পড়াশুনা করবে তাঁদের হিসাববিজ্ঞানের প্রস্তুতি নিতে হবে। মুনাফা ও মূলধন জাতীয় আয়-ব্যয়, সম্পত্তি, দায়, মালিকানা, হিসাববিজ্ঞানের বিভিন্ন নীতি, ঋণ, অবচয়, সঞ্চয় নীতি, অংশদারী ক্রয়-বিক্রয় মূল্যনীতি, শেয়ার ইস্যু, অনুপাত প্রভৃতি বিষয়ের ওপর ধারণা থাকতে হবে। হিসাববিজ্ঞানে অঙ্ক থাকবে। সেগুলো দ্রুত সমাধান করার পদ্ধতি জানতে হবে। এজন্য কোচিংয়ের পাশাপাশি বাসায় মন দিয়ে অনুশীলন করতে হবে।
ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ
ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ থেকেও ‘গ’ ইউনিটে মূল্যবান ৩০ নম্বর থাকে। এ বিষয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে হলে ব্যবসায়ের প্রকৃতি ও প্রকারভেদ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, ব্যবস্থাপনার প্রকৃতি ও আওতা, ব্যাংকব্যবস্থা, মুদ্রাব্যবস্থা, বাণিজ্যিক ব্যাংক নীতিমালা ইত্যাদি বিষয় ভালোভাবে পড়তে হবে ও জানতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএম/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে
ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল
পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড থেকে ফরম পূরণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ ফরম
পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।
ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার
পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো আর কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।
যেহেতু এ বছর প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে আর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাক্রম
মন্তব্য করুন
আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শীঘ্রই রুটিনসংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বুধবার (২০ মার্চ) এসব তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সাধারণত করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। ওই বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।
আর ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা
মন্তব্য করুন