নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৫ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০২১
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষকের অনলাইন ক্লাসে প্রকাশ্যে ধূমপানের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছবি ভাইরাল হওয়া ওই শিক্ষকের নাম অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার। তিনি ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ক্লাস চলাকালীন ধূমপান করার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষকের দাবি, ক্লাসরুমের মতো একটি `পাবলিক ফোরাম` এ ধূমপান করলে তা অনেককে উৎসাহিত করতে পারে। এতে অনেক শিক্ষার্থী ধূমপানে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। এ ধরনের ফোরামে ধূমপান করলে তার প্রভাব অনেক বেশি মানুষের মধ্যে ছড়ায়। তখন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষকদের জন্য যে সম্মানবোধ থাকা দরকার তা কমে যাবে।
জানা যায়, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলে গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে অনলাইনে ক্লাস ও পরবর্তীতে টার্মটেস্ট নেওয়া শুরু করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এরই ধারাবাহিকতায় অন্য বিভাগের মতো ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অনলাইন ক্লাস, টার্মটেস্ট চলছিল। কিন্তু ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার কয়েকটি ব্যাচের সঙ্গে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সময় একাধিকবার ধূমপান করেন। পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ধূমপানকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একজন শিক্ষক ধূমপান করতে পারেন, তবে শিক্ষার্থীদের সামনে ধূমপান না করা উচিত ছিল। ছাত্রদের সামনে ধূমপান করা মানে ছাত্রদের উৎসাহিত করা।
শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মো. মহিবুল আলম বলেন, শুধু শিক্ষার্থী না, যারা ধূমপান করেন না তাদের সামনে প্রকাশ্যে ধূমপান করা সম্পূর্ণ অনৈতিক কাজ। এ ধরনের অনৈতিক কাজ যারা করবে তাদের দায়ভার শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি নেবে না। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ধূমপানমুক্ত এলাকা। এখানে ধূমপান করা ও মাদকগ্রহণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। তবে অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সামনে একজন শিক্ষকের ধূমপান করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে
ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল
পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড থেকে ফরম পূরণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ ফরম
পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।
ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার
পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো আর কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।
যেহেতু এ বছর প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে আর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাক্রম
মন্তব্য করুন
আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শীঘ্রই রুটিনসংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বুধবার (২০ মার্চ) এসব তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সাধারণত করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। ওই বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।
আর ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা
মন্তব্য করুন