নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০৬ মে, ২০২১
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে অনলাইনে সব বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ডিনস কমিটি। সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক নীতিনির্ধারণী আনুষ্ঠানিক ফোরাম শিক্ষা পরিষদ (একাডেমিক কাউন্সিল)৷ তবে অনলাইন পরীক্ষায় কমবে সময় ও নম্বর৷ সে ক্ষেত্রে মূল্যায়নকৃত ফলাফলকে প্রচলিত পূর্ণমানে রূপান্তর করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হবে৷
বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকেলে শিক্ষা পরিষদের সভাটি ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়৷ বুধবার ডিনস কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্তটিই অনুমোদন করেছে শিক্ষা পরিষদ৷
শিক্ষা পরিষদের সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল জানান, ডিনস কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অনলাইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে৷ অনলাইন পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা ও পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, তা সুনির্দিষ্ট করতে অনুষদগুলোর ডিন ও ইনস্টিটিউটগুলোর পরিচালকদের একটি কৌশলপত্র তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷
তিনি আরো জানান, দুই সপ্তাহের মধ্যে কৌশলপত্রটি জমা দিতে বলা হয়েছে৷ এ ছাড়া অনলাইন পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ তবে এর মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে প্রচলিত নিয়মে সশরীরেই পরীক্ষা-কার্যক্রম পরিচালিত হবে৷
বৃহস্পতিবার শিক্ষা পরিষদের সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, ডিনস কমিটির সিদ্ধান্তগুলোই অনুমোদন করেছে পরিষদ৷ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় কৌশলগত কারণে প্রতিটি কোর্সকে একাধিক ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন ধরন বা পদ্ধতিতে পরীক্ষা (যেমন: বর্ণনামূলক সংক্ষিপ্ত আকারে, এমসিকিউ, কুইজ, অ্যাসাইনমেন্ট এবং ওপেনবুক পরীক্ষা) নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়৷
পরীক্ষার সময় ও মান কমানো হবে, তবে মূল্যায়নকৃত ফলাফলকে প্রচলিত পূর্ণমানে রূপান্তর করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হবে, ক্রেডিট অপরিবর্তিত থাকবে। এ ছাড়া কম্পিউটারভিত্তিক ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়া হবে৷ অন্যান্য ল্যাবভিত্তিক ব্যবহারিক পরীক্ষা যথাযথ নিয়মে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নেওয়া হবে৷
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে
ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল
পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড থেকে ফরম পূরণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ ফরম
পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।
ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার
পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো আর কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।
যেহেতু এ বছর প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে আর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাক্রম
মন্তব্য করুন
আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শীঘ্রই রুটিনসংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বুধবার (২০ মার্চ) এসব তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সাধারণত করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। ওই বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।
আর ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা
মন্তব্য করুন