নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ২০ জুন, ২০২১
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর দেশের সবকিছু অনেকটাই স্বাভাবিক হলেও এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেও আর খোলা হয়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কয়েক দফায় সেই বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়েক দফা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ পর্যন্ত আর সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, সরকার করোনার প্রকোপ স্বাভাবিক না হওয়ার আগ পর্যন্ত এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সকলের টিকা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে চায় না। ইতোমধ্যে সরকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ইতোমধ্যে কয়েকবারই মানববন্ধন, আন্দোলন সহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সেই সময় বড় ধরণের আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। যদিও পরবর্তীতে তা বাস্তব রূপ পায়নি। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যে অসমাপ্ত পরীক্ষা আছে তা নিতে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে তৎপর নয়। কিন্তু এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ইস্যুতে তৎপর সুশীল সমাজের একাংশ। গতকাল শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক ফোরামের’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে খুলে দেওয়ার আল্টিমেটাম ও হুশিয়ারি দেন বক্তারা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না হলে জুলাইয়ের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচির হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ওই মানববন্ধনে।
মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল মিলন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ডাকসুর সাবেক এপিএস নাজিম উদ্দিন আলম, শিক্ষক-অভিভাবক ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া সহ আরও অনেকেই।
ওই মানববন্ধনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আর সময় দেওয়া যাবে না। এক সপ্তাহই যথেষ্ট। আমরা শাহবাগের মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উদ্দেশে পদযাত্রা করব। হাঁট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত সব কিছু খোলা, শুধু বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজকে পরীক্ষা নিচ্ছেন না, অটোপাস দিচ্ছেন, এটা জঘন্য ভুল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে।
মানবন্ধনের সকল বক্তাদের বক্তব্য থেকে এটি স্পষ্ট যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে নতুন করে আন্দোলনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ইস্যুতে যদি নতুন করে এই আন্দোলন হয় তাহলে সরকার তা কীভাবে মোকাবেলা করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে
ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল
পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড থেকে ফরম পূরণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ ফরম
পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।
ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার
পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো আর কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।
যেহেতু এ বছর প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে আর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাক্রম
মন্তব্য করুন
আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শীঘ্রই রুটিনসংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বুধবার (২০ মার্চ) এসব তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সাধারণত করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। ওই বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।
আর ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা
মন্তব্য করুন