নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ০১ অগাস্ট, ২০২১
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ২০০ জনকে স্কলারশিপ দিচ্ছে আইসিসিআর। কোনো খরচ ছাড়াই ভারত সরকার দিচ্ছে আইসিসিআর স্কলারশীপ নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ। এই স্কলারশীপের সুযোগ সুবিধা কী, তা একনজরে দেখে নেয়া যাক-
* সম্পূর্ণ টিউশন ফ্রি।
* প্রতি মাসে উপবৃত্তি ১৮ হাজার ভারতীয় রুপি।
* যাওয়া-আসার ফ্লাইট ভাড়া।
Indian Culture for Cultural Relations (ICCR) প্রতিবছর ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে ভারতে পড়তে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ফুল স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। তারা মূলত ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে।
আবেদন প্রক্রিয়া
আইসিসিআর প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফরম ছাড়ে। যোগ্যতার ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসিতে ৬০ শতাংশ মার্কস থাকলে আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস প্রয়োজন পড়ে না। থাকলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এ স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আগের রেজাল্টের চেয়ে পরীক্ষা ও ভাইভা ভালো করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এ বছর করোনার কারণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন আর সরাসরি পরীক্ষা হয় না। আইসিসিআর পোর্টালে গিয়ে আবেদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছয়টা নির্ধারিত বিষয় থেকে একটা বিষয় নির্বাচন করে ৫০০ শব্দের মধ্যে একটা প্রবন্ধ লিখতে (কপি করা যাবে না) হবে। তবে আইসিসিআরে আবেদনের ক্ষেত্রে একটা বিষয় খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হচ্ছে পাসপোর্ট; যেটা থাকা বাধ্যতামূলক। এই স্কলারশিপে সাধারণত ২০০ সিট থাকে, যার মাধ্যে ১০০ সিট ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য বাকি ১০০ সিট থাকে অন্যান্য। আইসিসিআর কোনো মেডিকেল সায়েন্সে স্কলারশিপ প্রদান করে না।
আবেদনের লিংক : http://a2ascholarships.iccr.gov.in/
ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে ভালো হয় নির্ধারিত ইউনিভার্সিটি লিস্টে আপনার পছন্দের ইউনিভার্সিটি ভালো করে গুগল করে নিতে পারবেন। সেটা হলে খুব সহজেই আপনাদের ভালো ধারণা চলে আসবে ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে। এই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য ইয়ার গ্যাপের কোনো বিধিনিষেধ নেই। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স মিনিমাম ১৮ বছর হতে হবে।
স্কলারশিপ পাওয়ার পর যে বিষয়গুলো খুব সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে, তা হচ্ছে এম্বাসিতে গিয়ে অফার লেটার নেওয়া, অবশ্যই সঙ্গে পরিবারের কেউ একজন থাকতে হবে। তার পরপরই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সবকিছু গুছিয়ে নেওয়া, প্রয়োজনীয় কিছু কেনার থাকলে তা কিনে ফেলা। বিশেষ করে জামাকাপড় যদি অন্য কিছু প্রয়োজন হয়, তা কিনে রাখা। ভিসা পাওয়ার পরপরই দুই–তিন দিন আগে থেকে টিকিট করে ফেলা।
ভারতে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই স্ট্যাইপেন্ড মিলবে না। আইসিসিআরে রিপোর্ট করার এক থেকে দুই মাসের মাথায় স্ট্যাইপেন্ড হাতে পাবেন। সেটা আরও কম সময়ও হতে পারে। এটা নির্ভর করবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যত তাড়াতাড়ি হবে। পাসপোর্ট আর ভিসা ফির সঙ্গে একটা পাসপোর্ট সাইজ ছবি দিয়ে যেকোনো দোকান থেকে সিম কিনে নিতে হবে। এরপর ICCR–এ রিপোর্ট করার পর ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে রিপোর্ট করে ভর্তির কাজ শেষ করতে হবে। যদি ইউনিভার্সিটিতে হোস্টেল ব্যবস্থা থাকে তাহলে তাঁরাই সব ব্যবস্থা করে দেবেন।
মন্তব্য করুন
এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের
ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি
পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত
‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা
হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।
এইচএসসি পরীক্ষা ফরম পূরণ সোনালী সেবা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।
এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।
এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।
মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।
তীব্র তাপদাহ গরম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ঢাবি
মন্তব্য করুন
এসএসসি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।