নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর ‘অস্থিতিশীলতার’ আশঙ্কা প্রকাশ করে ছাত্রলীগকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদেরের এ আশংকা অমূলক নয়। ঘোলা জলে মাছ শিকারী গোষ্ঠী বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগেই আন্দোলনের আল্টিমেটাম দিচ্ছে। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও জামাত-শিবিরের সরাসরি এজেন্ট নূরুল হক নূর নতুন দলের নাম ঘোষণা করেছে। এই নূর ও তার দলসহ ছাত্রদল, বিএনপি, কিছু বাম দল বিশ্ববিদ্যালয় খোলা কেন্দ্রিক আন্দোলনের জাল বুনছে।
এই বহুমাত্রিক চক্র যতটা গর্জে, ততটা বর্ষে না। তবে পচা শামুকেও পা কাটে, এই বিষয়টিও আমলে নেয়া দরকার। বিশেষ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মহান সংসদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানান। আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্যভাবে সেশনজট নেই। ফলে করোনার কারণে নষ্ট হওয়া দেড় বছর কিছুই না মর্মে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হবে না যুক্তি দেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এই বয়সসীমা বাড়ানো কে কেন্দ্র করে নূরুল হক নূর গং ও তাকে পেছনে থেকে সমর্থন দেয়া সিন্ডিকেট অস্থিতিশীল করার পায়তারা চালাতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
প্রথমত, এই চক্রটি ইতোমধ্যে কোটা বিরোধী আন্দোলন করে সফলতা পেয়েছে। তারা যদিও বলার চেষ্টা করে এটা কোটা সংস্কার আন্দোন ছিল। তবে তত্বগত ভাবেই এটি কোটা বিরোধী বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধা বিরোধী আন্দোলন ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকতেই এই দুষ্ট চক্রটি এই ধরনের ধৃষ্টতা দেখিয়েছিল।
দ্বিতীয়ত, বিএনপি নামক দলটির মাঠের কার্যক্রম নেই। জনসসম্পৃক্ততাও শূণ্যের কোটায়। ফলে দলটি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ইস্যু নিয়ে মাঠে নামতে চাইছে। পাশাপাশি নূর গংদের সাথেও রয়েছে দহরম মহরম। এ ছাড়া নাশকতা, বোমা হামলা, পেট্রোল বোমা হামলা করার প্রশিক্ষণও নখদর্পনে তাদের। এ ইস্যুকে কোনোভাবেই মিস করতে চাইবে না তারা।
তৃতীয়ত, নূরুসহ যাবতীয় সব বদের হাড্ডিদের মদদ দেয় শিবিরপ্রেমী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও তাদের কথিত সুশীল গং। তারা নিজেরা মনে-প্রাণে-জানে দলীয় নং তপ, কিন্তু তাদের চাহিদা সবসময়ই নির্দলীয়। এ ধরণের দ্বিচারি ও প্রচণ্ড অসহিষ্ণু সাম্প্রদায়িক মননে গড়া শিক্ষকসহ সুশীল সমাজও আগুনে ঘি ঢালতে বদ্ধ পরিকর।
চতুর্থত, ছাত্রলীগও তাদের অবস্থান ঠিকঠাক জানান দিতে পারছে না। সোশাল মিডিয়াতেও খুব একটা সক্রিয় নয় তারা। পাশাপাশি সমন্বয়হীনতা, কমিটি নেই, অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ টেন্ডারবাজিও করছে। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পালস ধরতে পারছে না। তাদের কাছাকাছি ও কনফিডেন্সে নিতে পারছে না।
এমতাবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা কেন্দ্রিক আন্দোলনের যথেষ্ট আশংকা আছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসন যদি কঠোর হস্তে এই দুষ্ট চক্রদের দমন করতে না পারে তবে কোটা বিরোধী আন্দোলনের মতো দেশবিরোধী আরও একটি আন্দোলনও জাতি দেখতে পারে!
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে
ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল
পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড থেকে ফরম পূরণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ ফরম
পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।
ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার
পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো আর কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।
যেহেতু এ বছর প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে আর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাক্রম
মন্তব্য করুন
আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শীঘ্রই রুটিনসংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বুধবার (২০ মার্চ) এসব তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সাধারণত করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। ওই বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।
আর ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা
মন্তব্য করুন