নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
মহামারী করোনা সংক্রমণের গতি নিম্নমুখী হওয়ায় অক্টোবর থেকে আসতে পারে সব স্কুল-কলেজে স্বাভাবিক ক্লাস কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা। এ নিয়ে কথা বলতে ইতোমধ্যে আগামী বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বৈঠক ডেকেছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হলে জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণির ক্লাস বাড়ানো হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে আংশিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে। স্কুল-কলেজগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান চলছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে পাওয়া যাচ্ছে এর ব্যত্যয়েরও অভিযোগ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, খুলে দেওয়া স্কুল-কলেজগুলোতে বর্তমানে চলতি বছরের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস নিলেও প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অন্যান্য শ্রেণিতে সপ্তাহে এক থেকে দুদিন ক্লাস নেয়া হচ্ছে। যদিও আগামী রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রাথমিকের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির সপ্তাহে দুদিন করে ক্লাস নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। অক্টোবরের শুরু থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছয় দিন আর অন্য সব শ্রেণির সপ্তাহে তিন দিন করে ক্লাস শুরুর নির্দেশনা আসতে পারে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম জানান, স্বাভাবিক ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সপ্তাহে একদিনের পরিবর্তে দুদিন করে ক্লাস নিতে বলা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে স্বাভাবিক ক্লাস কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও আগামী মাসের (অক্টোবর) শুরু থেকে সপ্তাহে একদিনের পরিবর্তে তিন-চারদিন করে ক্লাস শুরু করা হতে পারে। ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন তিন থেকে চারটি বিষয়ে আর অষ্টম-নবম শ্রেণির সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন, প্রতিদিন তিন থেকে চারটি বিষয়ের ক্লাস নেওয়া হতে পারে। ক্লাসের সংখ্যা না বাড়ালে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হবে না, এ বিষয়টিও চিন্তাভাবনায় রেখেছে মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘ ১৭ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে কয়েক বছর চলে যাবে। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ক্লাস নেয়া হচ্ছে, তাতে করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সিলেবাস অসম্পন্ন থেকে যাবে। সে কারণে ধাপে ধাপে ক্লাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুল-কলেজ খোলার আগে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে একটি ইউনিক ক্লাস রুটিন তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তা বাতিল করে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে তাদের সুবিধা মতো ক্লাস নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ দিকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাউশির (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর) পক্ষ থেকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কবে কার ক্লাস নেয়া হবে, সেটি উল্লেখ করে জানানো হয়, শনিবার নবম শ্রেণি, রোববার অষ্টম, সোমবার সপ্তম, মঙ্গলবার ষষ্ঠ, বুধবার নবম ও বৃহস্পতিবার অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নিতে হবে। সপ্তাহে ছয় দিনই চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কুল-কলেজগুলোতে ক্লাস কার্যক্রম স্বাভাবিক হোক। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও জাতীয় কমিটির মতামত নেয়া হয়ে থাকে। ধাপে ধাপে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান স্বাভাবিক করতে পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, পরিমার্জন ও বাস্তবায়নসহ চলমান শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক পর্যায়ে কীভাবে শুরু করা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপত্বিতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের দুই সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও সেই মন্ত্রণালয়ের সচিবের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের
ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি
পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত
‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা
হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।
এইচএসসি পরীক্ষা ফরম পূরণ সোনালী সেবা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।
এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।
এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।
মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।
তীব্র তাপদাহ গরম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ঢাবি
মন্তব্য করুন
এসএসসি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।