নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি নদী রক্ষা এবং পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সমন্বিত কর্মসূচির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন নদী রক্ষা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নিজ কার্যালয়ে ‘যমুনা-পদ্মার স্থিথিশীলতার জন্য বিশদ প্রকল্প এবং জমি পুণরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ’ এর মডেল উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী এই সম্পর্কের কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ, যেখানে নদীগুলো কেবল আমাদের ঐতিহ্যই নয় বরং আমাদের জীবিকার সঙ্গেও সম্পৃক্ত।’ তিনি ঠিকই বলেছেন, আমাদের নদীগুলো মরে যাচ্ছে। সম্প্রতি বন্যায় দেশের ২৭ টি জেলা ও হাওর অঞ্চল বিধ্বস্ত হয়েছে। আসন্ন দিনগুলোতে বিধ্বংসী প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে এখনই মৃতপ্রায় নদীগুলো পুনরুদ্ধারে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জন্য এই বন্যা এক সতর্কবার্তা। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচন ও এরপর ক্ষমতায় দ্বিতীয়বার আসার পর শেখ হাসিনা নদী সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও সুরক্ষার বিষয়ে জোর দিচ্ছেন।
বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সংস্থা গঠন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বারবার নির্দেশনা এবং পরিবেশবাদীদের দাবির পরও ঢাকার আশেপাশের নদীসহ নদীগুলোকে বাঁচাতে ও নাব্যতা পুণরুদ্ধারে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে।
তবে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্বদিচ্ছা আছে। কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়। নদী পুনরুদ্ধারের জন্য দেশের বিভিন্ন সংগঠন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। নদী পুনরুদ্ধারের জন্য অনেক কমিটি, আইন, নীতি ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
আমাদের নদীগুলো মরে যাচ্ছে। অনেক স্থানে পলি পড়ে বড় নদীগুলোর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে। দেশের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোর শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর বাইরে বুড়িগঙ্গা এবং অন্যান্য অনেক নদীর দূষণ সমস্যার কথা তো সবারই জানা। আমাদের নদীগুলির ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলেই মনে হয়।
এই অবনতি রুখতে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে এই জরুরি সম্পদের যথাযথ ব্যবস্থাপনা অতি গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশবাদীরা দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান বিশাল জনসমর্থন পাবে। শুধুমাত্র একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ডাক আমাদের নদীগুলোর জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে।
নদী সংরক্ষণের প্রচারাভিযানের প্রথম ধাপ হতে পারে সফলভাবে নদী ও জলাভূমিগুলো দখল বন্ধ করা। আর দ্বিতীয় পদক্ষেপ হবে নদীর পাড়ে বৃক্ষ রোপণ করা। বনভূমি বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাত ঘটায়। বৃক্ষ ভূমিক্ষয় রোধ ও পানি যাওয়ার হার কমায়। তাই আকস্মিক বন্যার পরিবর্তে পানি ধীরে ধীরে বাড়ে, গরমের সময় পানি স্রোত রাখে। তাছাড়া গাছ পলল এবং দূষণকারী বর্জ্য ধরে রেখে নদীর পানির গুণগত মান বাড়ায়।
দেশের বিভিন্ন অংশে পানির প্রবাহ কমছে ভূগর্ভস্থ পানি অতি ব্যবহারের কারণে। পানির স্তর যখন নিচে নেমে যাওয়ার ফলে নদীতে পানি যাওয়ার বদলে পানি শুকিয়ে যায। তাই নদী বাঁচানোর আহ্বানের পাশপাশি ভূগর্ভস্থ পানি উত্তেলনের সংস্কৃতির বিষয়েও ভাবতে হবে।
নদী পুনরুদ্ধার একটি জটিল সমস্যা। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নদী বাঁচানোর প্রধান বাধা, কারণ প্রধানমন্ত্রীর, মন্ত্রীদের এবং আদালতের নির্দেশকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে না। স্থানীয় রাজনীতিবিদরা নদী ও খাল দখলের প্রধান ক্রীড়ানক। যেকোনো মূল্যে নদী দখল ও দূষণ বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসন এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রের মাধ্যমে শক্তিশালী বার্তা দেওয়া উচিৎ।
নদীগুলোকে রক্ষা করতে এখনই গুরুত্ব দিত হবে যেহেতু এখনো রক্ষা করা সম্ভব। ঢাকা চারপাশের নদী ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী রক্ষায় একটি উচ্চ স্তরের কমিটি গঠনে করে একটি ভাল কাজ করেছে সরকার। এটা অবশ্যই যথোপযুক্ত যে এমন সময়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হলো। নদীতে হাজার হাজার টন শিল্প বর্জ্য, আবর্জনা এবং পয়োজলের ক্রমাগত নির্গমন বন্ধে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হয়। দূষিণকারীদের ক্ষমার কারণেই অতীতে শীতলক্ষ্যা নদী পরিষ্কারের প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে।
শিল্পাঞ্চল নদী থেকে দূরে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। বুড়িগঙ্গা সংরক্ষণের জন্য হাজারীবাগ ট্যানারিকে সাভারে স্থানান্তর করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে এখন ধলেশ্বরী নদী দূষিত হচ্ছে।
এটা শুধু নদী ভরাট ও জমি দখলের সংস্কৃতি বন্ধ করারই উপযুক্ত সময় নয়, এছাড়া যেখানে সেখানে খনিজ আহরণ, নির্দিষ্ট অঞ্চলে বৃক্ষনিধনও বন্ধ হওয়া উচিত। আমদেরকে প্লাবন ভূমি বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধার করতে হবে। শহরের বড় দুষণকারীদের আইনের আওতায় আনার সময় এটি এবং একই সঙ্গে পয়োনিষ্কাষণ ব্যবস্থা ও শহুরে এলাকার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়ও বিনিয়োগ করতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/এমএইচ/জেডএ
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা
সাংবাদিক
ইমেইল: ishtiaquereza@gmail.com
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।