নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ০৩ অগাস্ট, ২০১৮
আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে ভারতীয় কিছু টিভি চ্যানেল বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়। এ নিয়ে মামলা হয়েছিলো বাংলাদেশের আদালতে, তবুও তাঁর স্যাটেলাইট প্রচার আটকাতে পারেনি। এই মামলার সুবাদেআগ্রহী হয়ে আমি মাঝে মাঝে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের ‘ক্রাইম পেট্রোল’, ‘আদালত’, ‘ভানুমতির খেল’ ইত্যাদি কিছু সিরিয়াল দেখায় অভ্যস্থ হয়ে গেছি বেশ কিছু দিন। ‘ভানুমতির খেল’ সিরিয়ালে ভানুমতি খুব ভালো ম্যাজিশিয়ান। সে প্রায় সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে, ম্যাজিকের মাধ্যমে। কিন্তু তাঁকে ব্যর্থ করতে বাইরের লোক তো আছেই, তাঁর পরিবারের মধ্য থেকেই করা হয় নানা ষড়যন্ত্র। সবষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়ে ভানুমতি বেরিয়ে আসে বর্তমান ও আগামীর শান্তি-সুখের বারতা নিয়ে। এই সাফল্যে পরিবারের অধিকাংশের মুখে হাসি ফুটলেও পরিবারের কিছু কিছু সদস্যের চেহারা কালো হয়েযায়, নানান কথায় ভানুমতির অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।
বাসচালকের বেপরোয়ায় আজ ক্যান্টনমেন্টের রমিজউদ্দিন স্কুলের ৪ জন ছেলে মেয়ের হত্যা করা হয়েছে! এখানে হয়তো কারো কিছু করার নেই, কারণ ড্রাভারদের দলপতি সরকারী দলের একজন সাংঘাতিক বড় কাউয়া নেতা, তার কাছে দেশের পরিবহন সেক্টর জিম্মি। হয়তো নিহতের পরিবারকে মোটা অঙ্কের টাকার ক্ষতিপূরন দেওয়া হবে, তাঁর পরে নানাভাবে এই হত্যাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টাকরা হবে, প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝানো হবে দলেবলে মিলে। তা না হলে বিএনপি’র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো বলবেন, ` আল্লার মাল আল্লায় নিছে’! কিন্তু উনারা যদি কেউ এখন একবারের জন্যেও বোরকা পরেফ্লাইওভার থেকে মাটিকাটা পর্যন্ত এসে ঘুরে যান তাহেলেই বুঝবেন জনরোষ কাকে বলে। মনে কম করে হলেও ২৫/৩০টা গাড়ি ভেঙ্গে চুরমার করেছে, সন্তান হত্যা বদলা নিতে পারবে না জেনে গাড়িরউপর দিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। জনমত প্রতিফলিত হয়েছে এই আচরণে, তাতে সন্দেহ নেই। ঘাতকরুপী ড্রাইভারদের নেতা একজন মন্ত্রী, তাই তার টিকিটাও কেউ ছুঁতে পারবে না, এটা বিশ্বাসকরে ঐ ঘাতকরুপী ড্রাইভাদের, যারা এর আগেও অনেক নামী দামী লোকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, তাদের কিছুই করা যায় নি।
বাংলাদেশে দুর্নীতি প্রায় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে চলেছিল। তাঁকে ভেঙ্গে চুরমার না করা যাক দমন করা অত্যন্ত জরুরী আমাদের উন্নয়ের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখাতে, কিন্তু মাঝে মাঝেই এমন সব ঘটনাঘটানো হয় বা যার জন্য সরকারের বিপুল, বিশাল অর্জন ম্লান হয়ে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সোনা কেলেঙ্কারিতে সারা দেশের মানুষকে চরম উদ্বিগ্ন করেছেছে। এরা আগেও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের বৈদেশিক মূদ্রা লপাট হয়েছিলো। যে সময় এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানহ্যাক হয়েছে, টানা পাঁচ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেমটি সমান্তরালভাবে হ্যাকারদেরও নিয়ন্ত্রনে থেকেছে- অথচ প্রতিষ্ঠানটি সেটি টেরই পায়নি (!) সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি `ফায়ার আই` এমন একটিকেস এরও তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির চীফ এশিয়া প্যাসিফিক সিকিউরিটি অফিসার ব্রিচ বোলান্ড। তাঁর ভাষ্য,’বাস্তবতা হচ্ছে অধিকাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠানই সিস্টেম হ্যাক হওয়ার তথ্যপ্রকাশ করে না।
সনা কেলেংকারীর ঠিক পরেই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কোল ইয়ার্ড থেকে বিপুল পরিমাণ কয়লা ‘উধাও’ হয়ে গেছে। ফলে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে‘পেট্রোবাংলা’র তদারকিতে ঘাটতি ছিল বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, কয়লা সরবরাহে ‘পেট্রোবাংলা’র তদারকিতে ঘাটতি ছিল। তদন্ত শুরুহয়েছে। অতীতে যারাই খনিতে দায়িত্বে ছিলেন, তারাও তদন্তের আওতায় আসবেন।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া, দৈনিক আমার দেশের কথিত ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া, কিন্তু হেরা যান, মামলাচলছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায়দুদক মামলা করেছিল। একই বছরের ৫ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনার মতো একই ভাবে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি নিয়ে কেউ আর মাথা ঘামায়নি, কিন্তুকেন? সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে সবার। আমাদের জালানী উপদেষ্টা, জালানী প্রতিমন্ত্রীর তো তা তদাকি করার কথা। নাকি সাভারের গার্মেন্টস ধসে পড়ার পরে আমলাদের দেওয়া ‘ঝাঁকুনি তত্ত্বের` প্রয়োগকরা হবে এটা নিয়ে! সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা তাই বলে, কারণ কাউয়ার মাংস কাউয়া খায় না, আমলাদের তদন্তে আমলারা দোষী হয় না খুব একটা ব্যতিক্রম না হলে। স্বজাতি বলে কথা আছে না!
মানবতাবিরোধীদের বিচারের অঙ্গীকার ২০০৮ সালের নির্বাচনে বর্তমান সরকারের জয় আনে। তাই সরকার মানবাতাবিরধীদের বিচার করে তাঁদের শাস্তি কার্যকর করে, জনআকাংখ্যা পূরণ করে কীসরকার অপরাধ করেছে? দেড় লাখ টাকার মোবাইল ফোন এখন ৫০০ বা ১০০ টাকায় পাওয়া যায়। মোবাইল ফোনের প্রতি মিনিট ১০ টাকা ইনকামিং আর ১২ টাকা আউটগোনিং চার্জ এখন কত? এটা কীসাফল্য নয়? এটা করে কী আমাদের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের উপর চরম আঘাত করেছেন শেখ হাসিনা? ব্যংকের সুদের হার ১ ডিজিটে নামিয়ে কী বড় অন্যায় করেছেন তিনি! উত্তরের মংগা দূরকরে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন কী খুব অন্যায় হয়েছে বলে মনে করি আমরা!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত নয় বছরে দেশ অবকাঠামোসহ আর্থ-সামাজিক প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে আশাতীত সাফল্য অর্জন করেছে। এ সময় মাথাপিছু আয়, রিজার্ভ, রেমিটেন্সসহ বিভিন্ন সূচকেউন্নতি হয়েছে। মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের কাজও অব্যাহতভাবে এগিয়ে চলেছে। বর্তমান সরকারের সময় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.৫৭ থেকে ৭.২৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় ৮৪৩ থেকে ১হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার, বিনিয়োগ ২৬.২৫ শতাংশ থেকে ৩০.২৭ শতাংশ, রফতানি ১৬.২৩ থেকে ৩৪.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রেমিটেন্স ১০.৯৯ থেকে ১২.৭৭ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ ১০.৭৫ থেকে ৩৩.৪১বিলিয়ন ডলার এবং এডিপি ২৮৫ বিলিয়ন টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১০৭ বিলিয়ন টাকা হয়েছে। এটা কী শেখা হাসিনার অপরাধ?
নিজস্ব অর্থে পদ্মার ওপর ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ এখন দৃশ্যমান। এ ছাড়া মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়েসহ আরও কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। ফেনী জেলার মহিপালেদেশের প্রথম ৬ লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এগুলো করে কী তিনি অন্যায় করেছেন!
এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগও চলমান। রয়েছে মহাকাশ জয়ের সাফল্যবঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে। দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ এখন মহাকাশে। যাতে বছরে সাশ্রয় হবে ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটা তাহলে কী অপরাধ!
কোনো রকম যুদ্ধ-সংঘাত বা বৈরিতা ছাড়াই দুই প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্র বিজয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গোপসাগরে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশিটেরিটরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল এলাকায় একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপান এলাকার প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপরসার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া স্বাধীনতার পর পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে স্থল সীমান্ত চুক্তি হয়েছিল তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহল সমস্যার সমাধান করাও বাংলাদেশের বড়অর্জন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতেও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা পেয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশ ও সংস্থা এই ইস্যুতে বাংলাদেশের পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করে পাশে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা পেয়েছেন ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধি। মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক খালিজ টাইমস রোহিঙ্গাদের সঙ্কট মোকাবেলায় শেখ হাসিনার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য তাকে ‘নিউ স্টার অব দ্য ইস্ট’ বা‘পূর্বের নতুন তারকা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
বৈশ্বিক রাজনীতি বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ‘পিপলস এ্যান্ড পলিটিকস’ বিশ্বের পাঁচজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে চিহ্নিত করেছে, যাদের দুর্নীতি স্পর্শ করেনি, বিদেশে কোন ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নেই এবং উল্লেখকরার মতো কোন সম্পদও নেই। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ এই পাঁচজন সরকারপ্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টাইম ম্যাগাজিনের বিবেচনায় বিশ্বের প্রভাবশালী১০ নারী নেত্রীর একজন মনোনীত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে নানা পুরস্কারে ভূষিত করা হয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে। ২০১৪ সালে ইউনেস্কো তাকে ‘শান্তিবৃক্ষ’ ও২০১৫ সালে ওমেন ইন পার্লামেন্টস গ্রোবাল ফোরাম নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তাকে ‘রিজিওনাল লিডারশিপ পুরস্কার’ এবং ‘গ্লোবাল সাউথ সাউথ ডেভেলপমেন্ট এক্সপো-২০১৪ ভিশনারি’ পুরস্কারে ভূষিতকরে। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদানের জন্য আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সালে শেখ হাসিনাকেসম্মাননা সনদ প্রদান করে। জাতিসংঘ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচি দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনাকেতাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ-২০১৫’ পুরস্কারে ভূষিত করে।
আমাদের দেশে একটা কথা প্রচলিত আছে যে, ‘একমন দুধ নষ্ট করতে ১ ফোঁটা গো’ চনাই যথেষ্ট’। আমাদের দেশের বর্তমান সরকারের শত শত সাফল্য মুছে ফেলতে, ব্যাংকিং খাত তথা সরকারের প্রায়সব দপ্তরের দুর্নীতি, আর পরিবহন খাতের অরাজকতাই যথেষ্ট, যদি তিনি বিশ্বের অন্যতম সৎ সরকার প্রধান হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তাই জনগণ প্রত্যাশা করেন যে, ভানুমতির মত ম্যাজিকতাঁকে দেখাতে হবে এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আর দলে ঢুকে থাকা বর্ণচোরা কাউয়া, পরিবহন খাতের অরাজকতা দূর করতে। দেশবাসী এখন ভানুমতির খেল দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন, অধীর আগ্রহে। কারণ জনশ্রুতি আছে যে, ‘বাঘে ধরলে ছাড়ে কিন্তু শেখ হাসিনা কাউকে ধরলে ছাড়ে না‘। এখনি শুরুর সময় যা ২০০৮ সালের মত বিজয় মালা এনে দেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গলায়।
লেখক: উন্নয়ন কর্মী ও কলামিস্ট
তথ্যঋণঃ বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া, ফেসবুক ও অন্যান্য
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর