নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৮ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সবুজ শ্যামল এই বাংলায় শীতকাল একটি বিশেষ সময় আমাদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনে। শীতকালেই আমাদের দেশে জাতীয় নির্বাচন হয় আবার শীতকাল এলেই সবুজ শ্যামল বাংলার গাছেরা পাতা ঝরিয়ে হয় নিরাভরণ। বহিরাবরণ ঝেড়ে ফেলে স্বরূপে প্রকাশিত হয় অধিকাংশ সুন্দর বৃক্ষরাজি। একই কায়দায় শীতের সময় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমাদের নষ্ট, ভ্রষ্ট, অর্থ ও ক্ষমতালোভী, ছদ্মবেশী, বেঈমান রাজনীতিকগণ আস্তে আস্তে একটার পর একটা মেকি পোশাক খুলে নিরাভরণ হন ক্যাবারের ড্যান্সাদের মত।
চেতনা ব্যবসায়ী, ভণ্ড, ভ্রষ্ট, পোশাকি, অর্থ ও ক্ষমতালোভী, বেঈমান রাজনীতিক সবার কথা বলতে গেলে লেখার কলেবর একটা বইতে রূপান্তরিত হতে পারে তাই একজন তথাকথিত শীর্ষ ব্যক্তিকে নিয়েই আমার দেওয়া উপমাগুলোর সত্যতা খুঁজার চেষ্টা করা যেতে পারে। ডক্টর কামাল হোসেন নামের রাজনীতিকের জীবনের কিছু অংশের ব্যবচ্ছেদ করে দেখা যাক কী পাওয়া যায় তাতে।
ড. কামাল এদেশের এমন একজন ভণ্ড নক্ষত্র, যার নিজের রাজনৈতিক আলো নেই, যিনি আলোকিত হয়েছেন অপরের আলোয়। নিজস্ব কোনো আলো তাঁর কাছ থেকে কখনোই বিচ্ছুরিত হয় নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর উদারতায় তাঁরই ছেড়ে দেওয়া আসনে ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে। সেই তিনিই বলেন, এই সরকার অংশগ্রহণমূলক সরকার না, অনির্বাচিত সরকার। মন্ত্রীও হন বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রণালয়ের। আইন মন্ত্রী থাকার সময় পদাধিকার বলে উনি সংবিধান প্রণয়ন কমটির সভাপতি ছিলেন, তাই সংবিধান বিশেষজ্ঞ!
তিনি মুখে মুখে মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতার কথা বললেও মনে প্রাণে প্রায় ষোলআনাই পাকিস্তানি। টাকার লোভে, খ্যাতির লোভে পাকিস্তানি এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন সারাজীবন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরেও তার আচরণ ছিল খুব সন্দেহজনক, যা বিখ্যাত সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী তাঁর অনেক লেখায় উল্লেখ করেছেন। আমরা সে দিকে না গিয়ে সাম্প্রতিক ও অতীত কিছু ঘটনার দিকে দৃষ্টি দিতে পারি। হালের যুক্তফ্রন্ট করার আলোচনার শুরুতে তিনি বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে জোট থাকলে তিনি বিএনপি’র সঙ্গে জোট করবেন না। আসলে এটা কী টাকার জন্য বারগেনিং না অন্য কিছু! গত দুই দিন আগে জামাত ইস্যুতে তাঁর সুর উল্টে কিছুটা ফিকে হয়ে গেছে।
ড. কামাল হোসেনের মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন মানবাধিকার সংগঠনের নামের আড়ালে নিজের ইহুদী স্বামীর সঙ্গে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে লবিস্টের কাজ করেছেন, তাও জামায়াতের পক্ষে, মানবতাবিরোধীদের শাস্তি মওকুফের জন্য। এটা কি ড. কামাল হোসেন জানেন না? কেউ কি তা বিশ্বাস করবেন? আসল কথা হচ্ছে টাকা, তাও মোটা অঙ্কের টাকা। জামায়াত যে নিজেকে ইহুদী-নাসারা বিরোধী বলে জাহির করে, তাও চরম মিথ্যাচার তার প্রমাণ ব্যারিস্টার সারা হোসেনের ইহুদী স্বামীকে তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ।
পাকিস্তানপন্থী ডক্টর কামাল হোসেনের পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে কাজ করার আরও অনেক তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর অতীত ঘাটলে।
১। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. সা`দত হুসাইন বলেছেন, ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে, বিশেষ করে চরমপত্র অনুষ্ঠান থেকে ড. কামালকে তীব্র সমালোচনা বা প্রায় গালাগালি করে নানাবিধ প্রচার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পাশে ড. কামালকে কেমন যেন বেখাপ্পা মনে হচ্ছিল। তবুও বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্ত। এনিয়ে নিজের মনে চুপিসারে প্রশ্ন তোলার উপরও সে দিনের সে পরিবেশে কোথায় যেন একটা মানসিক নিষেধাজ্ঞা ছিল।’
২। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বঙ্গবন্ধুর সরকারের তথ্য, কৃষি ও যোগাযোগ মন্ত্রী শেখ আবদুল আজিজ তার লেখা বইয়ে বলেছেন, ‘... আমরা মন্ত্রিবর্গ, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন সাহেবের নেতৃত্বে ১০ জানুয়ারি সকালে ঢাকা বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানাই। রমনা ময়দানের জনসভাস্থলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য সকাল থেকেই মানুষের ঢল নেমেছিল।
আমরা মন্ত্রীরা জনসভার মঞ্চে উঠলাম। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ড. কামাল হোসেনও মঞ্চে উঠলেন। কামাল হোসেন মঞ্চে দাঁড়ানোর কারণে জনতা প্রতিবাদ জানায়। সে সময় বঙ্গবন্ধু আমাকে বললেন, `কামাল সম্পর্কে জনতাকে কি বলবো`? আমি তাকে বললাম, `তুমি যেটা ভালো মনে করো সেটাই বলো`।
বঙ্গবন্ধু বললেন, `ড. কামাল হোসেন আমার সঙ্গে জেলে ছিল`। আমি উত্তরে বলেছিলাম, `তাই বলো।’ বঙ্গবন্ধু বিক্ষিপ্ত জনতাকে বললেন, `আপনারা গোলমাল করবেন না। কামাল হোসেন আমার সঙ্গে জেলে ছিল।’
৩। সাবেক রাষ্ট্রদূত কামরুদ্দীন আহমদ তাঁর বইতে লিখেছেন, ‘... ঢাকায় যেদিন মুজিব ফিরে এলেন তার প্রথম কর্তব্য কাজ মনে হলো ড. কামাল হোসেনকে বাংলাদেশের বিরোধিতার অভিযোগ ও মুক্তি বাহিনীর সন্দেহ থেকে মুক্ত করা। যা তিনি প্রথম দিনকার জনসভায় বিচক্ষণতার সঙ্গেই করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’
৪। ‘... শোনা যায়, কিসিঞ্জার চীন সফরে যাওয়ার পথে পাকিস্তানে বন্দী তার অন্যতম উপদেষ্টা ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। আদৌ বলেছিলেন কি? বলে থাকলে তার বিষয়বস্তু কি ছিল তাও জানা দরকার। ড. কামাল হোসেন এখনো জীবিত আছেন। তিনি এ ব্যাপারে আলোকপাত করলে আমাদের সমকালীন ইতিহাসের ঘাটতি কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে।’ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহর লেখা বই থেকে নেওয়া তথ্য।
৫। সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ তাঁর এক লেখায় বলেন, ‘Late Maj. Gen. A. O. Mitha (who was the ‘Father of SSG’- Special Services Group) of Pak Army. তার স্মৃতি কথা ❝Unlikely Beginnings❞ এ ডক্টর কামাল হোসেন সম্পর্কে লিখেছেন— ❝On 28 March, Aman told me that he had received a message from his brother-in-law Kamal Hussain, who had disappeared on 25 March with all of Mujib’s chief lieutenants. Kamal had not gone to India with the rest of the crowed; he wanted to be taken into custody, as he was worried that his life was in danger. I collected him from the home of one of his relations and put him in the divisional HQ Mess under guard. He was flown to West Pakistan next day. When I returned to West Pakistan, I used to visit him in Haripur Jail at least once a month because he was Aman’s brother-in-law and Aman was a good friend of mine. Kamal, I did not like, in fact I despised him after the meeting I have described at a dinner at Aman’s house. Despite all his and Rehman Sobhan’s rhetoric, neither of them sheds blood, and Kamal actually asked for sanctuary from those whom he considered his enemies. Later, when Mujib was assassinated, he and Sobhan repeated their performance; Kamal disappeared to the UK and Sobhan to the USA’.
৬। রইসউদ্দিন আরিফ তাঁর রাজনীতি, হত্যা ও বিভ্রান্ত জাতি বইতে বলেন, ‘... আপনাদের স্মরণ আছে কিনা জানিনা, `৭১-এ যুদ্ধকালীন সময়ে পুরো ৯ মাস টিক্কা-নিয়াজী-ইয়াহিয়া-ভুট্টো-মোনায়েম খাঁর সাথে সাথে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার দালাল হিসেবে কামাল হোসেনের নামটিও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে ঘৃণাভরে উচ্চারিত হয়েছে। `স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র` থেকে এম আর আখতার মুকুল `চরম পত্রে`র ভাষায় `পাকিস্তানি জামাই কামাইল্লা` কে নিয়ে তিনটি চরমপত্র পাঠ করেছিলেন। এ ছাড়াও `৭০-এর নির্বাচনের পর শমসের নগর পরিত্যক্ত বিমান বন্দরে হেলিকপ্টারে বসে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার সাথে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগও রয়েছে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। ’
যাদের সঙ্গে মিলে মিশে ড. কামাল হোসেন ইদানীং ‘যুক্তফ্রন্ট’ করার চেষ্টা করছেন তাঁদের কয়েকজনের অতীত একটু জেনে নেওয়া যাক। সুজনের কর্তাদের বাসায় হয় ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠন পরিকল্পনা শুরুর দিকের অন্যতম বৈঠক। সুজন সভাপতি হাফিজ সাহেব হচ্ছেন আতাউর রহমান খান আর ‘লুকিং ফর শত্রুজ’ খ্যাত বাবর সাহেবের আত্মীয়। দৈনিক বাংলার খবরে বলা হয় যে, ১৯৭৬ এর ২৩ জানুয়ারি, বঙ্গভবনে জিয়ার উপস্থিতিতে স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ভবিষ্যৎ রাজনীতি সুসংহত করার জন্য এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মাঝে উল্লেখযোগ্য যারা ছিলেন তাঁরা হলেন-আতাউর রহমান খান, আবদুস সবুর খান, ড. আলীম আল রাজী, অলি আহাদ, কাজী জাফর আহমদ, সৈয়দ আজীজুল হক (নান্না মিয়া), মাওলানা সিদ্দিক আহমদ, মাওলানা আবদুর রহীম, মিসেস আমেনা বেগম। এখানে একদার কমরেড, পরবর্তীতে হেফাজতী কাজী জাফর ছাড়া কেউ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। হালের বিএনপি’র মহাসচিব পিতা চখা মিয়া ছিল কুখ্যাত কোলাবরেটর, আর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রিজভীর বাবা ছিল ১৯৭১ সালে রাইফেলধারী রাজাকার। এদের সাথেই ইদানীং তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সৈনিক ড. কামাল হোসেনের উঠাবসা।
ড. কামাল হোসেন আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা কিছুদিন আগে বিচারপতি সিনহার মাধ্যমে ‘ফতোয়া’ দিয়েছিলেন যে, ১৯৭২ সালে তার নেতৃত্বে তৈরি করা সংবিধান ভুল! তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সিনহার ঘাড়ে ভর করে ‘জুডিশিয়াল ক্যু’ করতে ব্যর্থ হয়ে ইদানীং তিনি হুংকার ছাড়ছেন, আগামীতে বিচারপতি সিনহার উপর করা অবিচারের বা খারাপ ব্যবহারের বিচার করার। বিচারপতিগণ যখন কোনো মামলার রায়ের ব্যাপারে সন্দিহান থাকেন তখন তাঁরা এমিকাস কিউরি নিয়োগ দেন। আসলে এমিকাস কিউরি নিয়োগ করা মামলার রায়ে থাকে এমিকাস কিউরিদের মারাত্মক প্রভাব। আসিয়ান সিটির এমডি নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া উত্তরায় বাড়ি কিনে দিয়েছিলেন কোনো প্রধান বিচারপতিকে, মামলার রায় নিজের পক্ষে আনার জন্য? কত টাকা দিয়ে বাড়ি কিনে দিয়েছিলেন? সে খবর কি ড. কামাল হোসেন জানেন না? নাকি সব টাকার খেলা?
লেখক: উন্নয়ন কর্মী ও কলামিস্ট
Email: arefinbhai59@gmail.com
তথ্যঋণঃ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল, সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ, রেজাউল করিম, নজরুল ইসলাম ভুঁইয়ার ড্রাইভার নিজাম।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর