নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮
টাকার বিনিময়ে নিজের সন্তানকে অস্বীকার করা, পশুকে মানুষ বলা, দিনকে রাত বলার মতো অভিনব ব্যবসা এখন ইউরোপ আমেরিকায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বেশ। এরা বৈধ পথেই টাকা নিয়ে এই কাজ করছে আজকাল, বেশ জোরেশোরে, যার নাম লবিস্ট ফার্ম।
বাংলাদেশে লবিস্ট ফার্ম প্রতিষ্ঠা ততোটা জনপ্রিয় না হলেও এক দুইটা আছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ যার বাংলাদেশে একটা লবিস্ট ফার্ম আছে তিনি তাঁর ফার্মের কার্যক্রম বাংলাদেশে বাড়ানোর জন্য একজনের সাথে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাঁর কাছে ব্রিটেনে তথা ইউরোপ আমেরিকা, আফ্রিকায় তাঁদের কাজের ব্যপকতার কথা শুনে অবাক লাগে। তিনি দাবি করেন যে, ‘জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ’ সব কিছুই লবিস্ট ফার্মের কাজ। তাঁরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যবসা, মানবাধিকার, রাজনীতি নিয়েও কাজ করে। যেমন ভোটে দলের নমিনেশন দেয়া, মন্ত্রী বানানো, ইত্যাদিও করেন তাঁরা যদি উপযুক্ত টাকা পান। সরকার এটাকে বৈধ ব্যবসা হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়ার কারণ এর থেকে পাওয়া মোটা অঙ্কের টাকায় ট্যাক্সের পরিমানটা অনেক বড় যা মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের দেয়া ট্যাক্সের পরিমানের চেয়েও অনেক বেশি আবার তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বৈদেশিক মূদ্রায় অর্জিত। দেশে মানি ফ্লো বাড়ায়, অর্থনীতি চাঙ্গা করে।
উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি হালের ও নিকট অতীতের কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাস হয়। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছর সুপ্রিম কোর্টের নয়জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এরপর ২০১৫ সালের ৫ই মে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানে জাতীয় সংসদকে বিচারপতিদের উপরে খবরদারীর ক্ষমতা দেয়া ছিল। বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একাধিক ব্যক্তি তাঁদের তৈরী সংবিধানের ধারা উল্টে দিয়েছেন এমিক্যাস কিউরীর মতামতের নামে একমত হয়ে। এমিক্যাস কিউরীগণের মধ্যে ডক্টর কামাল হোসেন ও ব্যরিস্টার আমিরুল ইসলাম সাহেব ১৯৭২ সালের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা। যে কমিটি এই সংবিধান প্রণয়ন করেন পদাধিকার বলে তার সভাপতি ছিলেন ডক্টর কামাল হোসেন, তাই অনেকে তাঁকে ভুল করে ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণেতাও বলে থাকেন। ইংল্যান্ডে জোর গুজব আছে যে, ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেওয়ার পিছনে লবিস্ট আর মোটা অঙ্কের টাকার খেলা ছিল। এই রায়ের পরে সেটা ধরা পরে পাকিস্তানের স্টাইলে অন্য খেলা খেলার পরিকল্পনা ছিল একটা বিশেষ গোষ্ঠীর। সুত্র দাবী করেন যে, এখানে লবিস্ট ছিলেন বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধাণের ডক্টর কামাল হোসেনের জামাতা বলে তাঁর কাছে খবর আছে। এ যেন নিজের সন্তানকে অস্বীকার করলেন তাঁর পিতা, তিনি যোগ করেন। আসলে একটু তলিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, যিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন এবং তাঁর দলের গঠনতন্ত্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকার অঙ্গীকার করে রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। কিন্তু কাজ করছে পুরো উল্টা। এতে জামায়াত-বিএনপিকে নাখোশ না করে তাঁদের সঙ্গেই জোট করার প্রক্রিয়ায় দাম উঠানোর জন্য ডক্টর কামাল হোসেন জামায়াত বিরোধী মেকি হুঙ্কার করেছেন বলে জানা গেছে। চাহিদা পূরণ হওয়ার পরে প্রকাশ্যেই রাজাকারদের পুনর্বাসনে জামায়াত নিয়ে গঠিত বহুদলীয় সরকার বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এখন।
ডক্টর কামাল হোসেন, যিনি বহুল আলোচিত ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার একটি তদন্ত কমিটিতে সদস্য ছিলেন; ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এই জঘন্য হত্যাকান্ডের বিচার চেয়েছেন কিন্তু বিচারের পরে তিনি নীরব আছেন সেখানেও আছে লবিস্টের কোমল পরশ, সুত্রে জানায়।
একটু পিছনে ফিরে দেখলে দেখা যায় যে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বিপুল অর্থশালী অপরাধীর সাজা মৌকুফের জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে কিনে নিয়েছিলো সাজা প্রাপ্তদের স্বজনেরা লবিস্ট নিয়োগ করে। নানা সংগঠন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত, জাতীয় পার্টি, বিএনপি নেতাদের পক্ষে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, সরকারের বাংলাদেশের উপর অনেক চাপ ছিল। কিতু পরে একই ধরণের অপরাধে তুলনামূলক গরীব অনেক মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত হলেও তাঁদের নিয়ে কোন মানবাধিকার সংগঠন উচ্চবাচ্চ করা তো দুরের কথা, একটা হাল্কা টাইপের বিবৃতিও দেয় নি। ভাবটা এমন যে, গরীবের মানবাধিকার থাকতে নে; তাঁদের কথা হল ‘ফেল কড়ি মাখো তেল’।
স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের উত্তারাধিকার ফটোগ্রাফার শহীদুল সাহেবকে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার দায়ে আটকের পরে সারা দুনিয়ার অনেকেই বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু একই কাজ করা অন্য এক নায়িকার জন্য বিদেশী তো থাক দেশী কেউ তেমন আহা উহা করেন নি। দেশী বিদেশী অনেকেই ফটোগ্রাফার শহীদুল সাহেবের জন্য কুম্ভিরাশ্রু বিসর্জন দিয়েছেন; এখানেও লবিস্টের খেলা বলে ব্রিটিশ সুত্রটি দাবি করেন।
এই দেশ লবিস্ট ব্যবসার উর্বর ভূমি উল্লেখ করে ব্রিটিশ ঐ লিবিস্ট বলেন যে, আগামী সংসদ নির্বাচন, স্থানীয়সরকার নির্বাচন, মন্ত্রী বানানো ইত্যাদি কাজে ভালো ব্যবসার একটা যুযগ বাংলাদেশে এখন আছে। এমন অনেক ব্যবসার ঠিকাদারীও লবিস্ট ফার্মের মাধ্যমে নিয়ে দেয়া হয়, যার থেকে ায় তাঁদের নিজ নিজ দেশে বৈধ বলে বিবেচিত।
গত রাতে তিনি জানান যে, শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে মাঝে মাঝে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আর নামীদামী ব্যক্তিদের বিবৃতি দেখলে মনে হতে পারে যে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে দুনিয়ার অধিকাংশ দেশ ও তাঁদের সরকার অপছন্দ করে। তিনি জাতিসংঘ একটা খবরে দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন-
বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে প্রকাশ যে, বাংলাদেশ আগামী তিন বছরের জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (ইউএনএইচসিআর) সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। লবিস্টের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের আপত্তি সত্ত্বেও বাংলাদেশ আগামী ২০১৯-২০২১ মেয়াদে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
১২ অক্টোবর ২০১৮ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই বেছে নেওয়ার ব্যাপারটি হয় গোপন ভোটের মাধ্যমে। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত ১৯৩টি দেশের মধ্যে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ন্যূনতম ৯৭ ভোট প্রয়োজন ছিল। মজার ব্যাপার হল, এতে বাংলাদেশ ১৭৮ ভোট পেয়ে কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়।
এই সংস্থার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ছাড়াও নির্বাচন করেছে ভারত, বাহরাইন, ফিজি ও ফিলিপাইন। সর্বোচ্চ ১৮৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে ভারত। বাকিরা হলো- বাহরাইন, ফিজি ও ফিলিপাইন। এর আগেও বাংলাদেশ ২০০৭-০৯, ২০১০-১২ এবং ২০১৫-১৭ মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছিল। যে ১৫ দেশ বাংলাদেশকে ভোট দেয়নি তারা শেখ হাসিনার সরকারের বিরোধী তা বলা যাবে না, বরং তাঁদের অন্য ক্যান্ডিডেট পছন্দ ছিল তা কিছুটা হলেও সত্যি তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। তা না হলে যে দেশে পদে পদে মানবাধিকার লুণ্ঠিত বলে দুনিয়া জুড়ে ‘জিকির’ তোলার পরেও এতগুলো দেশ বাংলাদেশকে কেন ভোট দেবে?
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।