নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
হাল ছাড়েনি বিএনপি। যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রত্যাশা নিয়েই ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের নামে মাঠে থেকে সরকার পতনের চেষ্টা জারি রেখেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চাদরে মোড়া বিএনপি-জামায়াত। আপাতদৃষ্টিতে সরকারকে নির্বিকার মনে হলেও নির্বাচনের সময়ে হিংসা, সন্ত্রাস ও অরাজকতায় মেতে ওঠার পরিকিল্পনার কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে আসায় চিন্তা বেড়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের। কারণ এই নির্বাচনে একাত্তরের ঘাতক এবং পঁচাত্তরের হত্যাকারীরা হাত মিলিয়েছে। যাদের মাথার মণি তারেক রহমান। তার সন্ত্রাসী ভূমিকা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা তারেক রহমানের ওপর চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারির জন্য ব্রিটিশ সরকারকে অনুরোধ জানানোর জন্য বলেছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনকালীন সফরের সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। নির্বাচনে পরাজয় অনিবার্য জানলে তারেক রহমানের সন্ত্রাসী দল কী করতে পারে ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার কথা মনে রাখলেই তা অনুমান করা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মহল্লার বড় বড় মসজিদ থেকে একযোগে আচমকা মিছিল বের করে অচল করার পরিকিল্পনা ছিল জামায়াত-বিএনপি’র। কিন্তু সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা শুক্রবার সকালেই জামায়াত-বিএনপি’র পরিকিল্পনা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যায়। এর পরে তারা গুরুত্বপূর্ণ সব মসজিদের সামনে পুলিশ মোতায়েন করলে জামায়াত-বিএনপি’র পরিকিল্পনা ভেস্তে যায়। এসব ষড়যন্ত্রে জামায়াত-বিএনপি’র অনেক মহিলা নেতা কর্মীকে সম্পৃক্ত করা হয় যার ফলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আর প্রমাণের ভিত্তিতে কয়েকজনকে আটক করা হয়। চক্রান্তে যুক্ত কয়েকজনকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি সারা দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশিও চালানো হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র আর দাবী করেছে যে, ভোটের আগে হিংসা, খুনোখুনি ও অরাজকতা তৈরির চক্রান্তের বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ তাদের কাছে আছে। তারা আরও নিশ্চিত হয়েছেন যে, এসব প্রক্রিয়ায় টাকা ও পরামর্শ দিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই যুক্ত রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, নির্বাচনী প্রচারকে রক্তাক্ত করা ছাড়াও জনপ্রিয় কিছু মানুষের ওপর জঙ্গি হামলার চক্রান্তের খবর পেয়েছেন তাঁরা। প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে অন্য একটি খবর। তা হচ্ছে বাম ঘরানার কিছু গার্মেন্টস শ্রমিক নেত্রীকে টাকার বিনিময়ে কিনে তাদের ব্যবহার করে গার্মেন্টস বা তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের রাস্তায় নামিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করা। গোয়েন্দা সূত্রে জানায় যে, এই চক্রান্তের অনেকটাই এখন তাঁদের কাছে স্পষ্ট। আশুলিয়ায় সারি সারি গার্মেন্টস কারখানার লক্ষাধিক কর্মীর প্রায় সকলেই মহিলা। ৩০ তারিখে নির্বাচনের ৪-৫ দিন আগে তেমনই দু’একজনকে ‘ধর্ষণ ও খুনের নাটক’ সাজিয়ে বাকি শ্রমিকদের রাস্তায় নামিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় চক্রান্তকারীরা। গোয়েন্দা সূত্র আর দাবি করে যে, বিএনপির কয়েকজন নেতা ও সরকার-বিরোধী এক বাম শ্রমিক নেতা এই চক্রান্তে যুক্ত।
বহুল প্রচারিত একটা বাংলা দৈনিকের খবরে বলা হয় যে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীরও বেশ প্রভাব রয়েছে। শ্রমিকদের রাস্তায় নামানোর বিষয়ে তারাও তৎপর হয়েছে। কয়েক মাস আগে পরিবহনে শৃঙ্খলার দাবিতে স্কুল পড়ুয়ারা রাস্তায় নেমে বেশ কয়েক দিন জনজীবন স্তব্ধ করে দিয়েছিল। সেই ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন’ ছিনতাই করে শিবির-ছাত্রদলের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা ছিল অনেক বেশী। গোয়েন্দাদের দাবি, গার্মেন্টস শ্রমিকদের দিয়েও সেই ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন’-এর কায়দায় কাজটি করিয়ে দেশে-বিদেশে প্রশাসনের ভাবমূর্তি ধূলিস্যাৎ করতে চাইছে এই চক্রান্তকারীরা।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেফতারের পরে নামী লেখক, শিল্পী বা অভিনেতাদের ওপর হামলার তথ্য মিলেছে। পুলিশের দাবি ঢাকার বনানীর একটি নির্মাণধীন বাড়ি থেকে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই সদস্যকে গ্রেফতারের পরে তারা স্বীকার করেছে, জনপ্রিয় অভিনেতা খিজির হায়াৎকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের পাঠানো হয়েছিল। ‘মি. বাংলাদেশ’ নামে জঙ্গিবাদ-বিরোধী একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করায় খিজিরের নাম হিটলিস্টে তুলেছে জঙ্গি নেতারা। হামলার আগে তাঁর গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল এই দুই জঙ্গি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীর পোস্টারে বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে না। জামায়াত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও তাদের বিশেষ বাহিনীকে চাঙ্গা রাখতে এটা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের অনেক নেতা নাখোশ হয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় জামায়াতের নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী যতই বিএনপি জোটের শরিক দল হোক না কেন, তাদের একটি দলীয় আদর্শ আছে। তারা প্রতীক হারালেও রাজনৈতিক আদর্শ হারাইনি। আর নির্বাচনে জামায়াত নেতাদের ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হয়েছে কেবল লন্ডনের বিশেষ নির্দেশে জামাতের তথা ২০ দলীয় জোটের স্বার্থে, কোন একটি দলের স্বার্থে নয়। এতে বিএনপিরও লাভ আছে। তাই পোস্টার-ব্যানারে খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করা না করা খুব নগণ্য বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
একজন বিখ্যাত কলামিস্টের কথা দিয়ে লেখা শেষ করতে চাই। তিনি বলেছেন যে, ‘একাত্তরের অসমাপ্ত যুদ্ধকে সমাপ্ত করবে ২০১৮ সালের নির্বাচন যুদ্ধ। জুলিয়াস সিজারের বন্ধু সেজে তাকে হত্যা করেছিল বিশ্বাসঘাতক ব্রুটাস। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু অনুসারী সেজে, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে কয়েকজন ব্রুটাস বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের দলের মঞ্চে গিয়ে উঠেছেন বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের জন্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিনাশের জন্য। একদিকে দেশে চলছে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই স্লোগান, অন্যদিকে বিদেশে বসে চলছে `কালনেমির লংকাভাগের` পরিকল্পনা’। বিজয়ের এই মাসে আমরা যেন দিশেহারা না হই, কারণ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম’।
লেখক: সায়েদুল আরেফিন
তথ্যঋণঃ অনলাইন পোর্টাল, সোশ্যাল মিডিয়া, অন্যান্য
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর