নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৪ পিএম, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮
সারা দেশে একের পর এক আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা, আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলছে দলীয় কার্যালয়, আততায়ির গুলিতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা করা হচ্ছে। সারা দেশে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় ২০ জনের মত আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের কর্মী হত্যা করা হয়েছে। এসব দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দলীয় কর্মীদের ধৈর্য ধারণের জন্য বলেছেন। তাহলে কারা এসব করছে? আখেরে যাদের লাভ হবে তারাই করবে এটা, সেটা সবার জানা। কিন্তু লাভ কাদের হচ্ছে? অনেকেই এটাকে আওয়ামী যড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করার জন্য জান বাজি করে লেগে পড়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায়, অন্যান্য মাধ্যমেও। আবার অপর পক্ষ বলছে এটা বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের স্বাধীনতাবিরোধী অংশের সাথে ‘ভাইবার মান্নাদের’ যৌথ প্রযোজনার লাশ মাড়িয়ে ক্ষমতা আহরণের জন্য মরণ কামড়ের অংশ বিশেষ মাত্র। তাতে সফল না হলে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে বিএনপি-জামাত জোট যে জাল ব্যালট পেপার ছাপাচ্ছে। তা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জাল ভোটের নাটক সাজাবে, পাশাপাশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে’ এমন তথ্য দিয়েছে একটা গোয়েন্দা সুত্র। তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত বা নির্বাচন থেকে মুখে মুখে সরে যাবার পথ খুঁজছেন বলেই সারা দেশে আগুন, গুলি, মারামারির আশ্রয় নিচ্ছে। আবার তাঁদের বর্তমান নেতা হুংকার দিয়ে বলছেন, ‘মরে গেলেও নির্বাচনের মাঠ ছাড়বে না’।
সব ঘটনার বিস্তারিত লিখতে গেলে তা উপন্যাসের আকার নিতে পারে তাই আলোচনার জন্য কয়েকটি ঘটনার নমুনা তুলে ধরা যাকঃ
-বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব এবং মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে মহাজোটের নৌকা মার্কার প্রার্থী মাহী বি চৌধুরীর বাসভবন লক্ষ্য করে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসার জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। আটপাড়া গ্রামে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কার্যালয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। বোমা হামলায় রিপন নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়েছেন।
- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চোরকোল বাজারে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে বুধবার সন্ধ্যার পর দুর্বৃত্তরা বোমা হামলা চালিয়েছে। তারা অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। সেখানে উপস্থিত ৮-১০ জন কর্মীকে মারধোর করে। ৩০টি হাতবোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
- মাগুরার শালিখা উপজেলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, বোমা বিস্ফোরণ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার সীমাখালি বাজারের ওই কার্যালয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের তিন কর্মী আহত হয়েছেন।
- মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামাল মজুমদারের প্রচারকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মিরপুরের ৬০ ফিট সড়ক সংলগ্ন মোল্লাপাড়ার প্রচারকেন্দ্রে এই হামলায় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় একজন গুরুতর আহত হলেও কেউ গুলিবিদ্ধ হয়নি। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির। ঢাকা-১৫ আর ঢাকা-১৬ আসনেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
- টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।সোমবার দিনগত মধ্যরাতে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মাটিকাটা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত পার্টি অফিসে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
- শনিবার ও রবিবার কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৃথক দুটি আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা, ভাংচুর, গুলি ও পাঁচজন আহত
- রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ১৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
- হোমনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিমা আহমাদ মেরীর নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ঘাড়মোড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
- ১২ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া-১ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী বাদশা’র গাড়িবহরে হামলায় দুটি মোটরসাইকেলে আগুন, ২০ নেতাকর্মী আহত হয়।
উপরের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন না করে প্রশ্নবিদ্ধ করার উপায় খুঁজছে। তারা পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করে জেলে যাচ্ছে, পুলিশকে উস্কে দিচ্ছে। কিছু খারাপ লোক আর প্রশাসনের কিছু অসৎ মানুষ এর সুযোগ নিচ্ছে। কারাগারে থেকে ভোটে অংশ নেওয়া ১১ প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি যে সব নেতা, তাঁদের অধিকাংশই আগে থেকে জেলে ছিলেন, ২/৩ জন গায়ে পড়ে ঝগড়া মানে বোমাবাজি করে আটক হয়েছেন যাদের নাম আছে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি মদদদাতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ৪৭ জন ধানের শীষ প্রার্থীর তালিকায়।
ফেসবুক বন্ধু সাব্বির খান বলেছেন, অত্যন্ত সুকৌশলে এরই মধ্যে বিএনপি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন বয়কট করেছে। বিএনপি সারাদেশে তাদের তৃতীয় বা চতুর্থ স্তরের ভূয়াদের ধানের শীষে মনোনয়ন দিয়ে কি পরোক্ষভাবে নির্বাচন বয়কট করে বসে আছে না? তারা কি নির্বাচনে ফাইট দেয়ার জন্য বা জেতার জন্য দেশের কোথাও এতটুকু কাজ করছে? প্রতিটা আসনে নির্বাচনের নামে তারা যা করছে, তা শুধুই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কাজ ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়। একাজটি এমন কি খোদ নির্বাচন কমিশনের ভিতরএ বসে বিএনপির এক বড় নেতার শশুর ও বিএনপি মনোনীত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারও করে যাচ্ছেন অত্যন্ত নির্বিঘ্নে! তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে পরবর্তী সরকারের কাছ থেকে `মধ্যবর্তী নির্বাচন` আদায় করা।
এতে দুটো লাভ তারেক জিয়াগং আর কামাল হোসেনগংদের। `মধ্যবর্তী নির্বাচন` হলে আবার বেশুমার মনোনয়ন বাণিজ্য হবে। আবার পলিটিক্যাল কনসালটেন্সির নামে বিপুল অংকের টাকা পাবেন ড. কামাল বা তাঁর মেয়ে-জামাই। এর ছিটেফোঁটা ভাগ পাবেন বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক এতিম আসম রব, মাহামুদুর রহমান মান্না, কাদের সিদ্দিকীরা তারেক জিয়ার দয়ায় পাওয়া ধানের শীষের প্রতীকের কাগজ বিক্রি করে। তবে ড. কামাল হোসেনের শারিরিক ও মানসিক যে অবস্থা তাতে তাঁর ‘পলিটিক্যাল কনসালটেন্সির পেমেন্ট তারেক জিয়া আর জামায়াতের কাছ থেকে’ হয়ে গিয়ে থাকলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিলেতে পাড়ি দেওয়াও অসম্বব নয়। বৃহস্পতিবার বিকেলের সংবাদ সম্মেলন স্থগিত হয়েছে অসুস্থতার কথা বলে, শুক্রবার বিকেলে কী হয় তা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
তথ্যঋণঃ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল, অন্যান্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
১৯৯৮ সাল। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকুরী করি। স্থানীয় চাইনিজ রেস্তোরাতে একটি সেমিনার হবে। ঢাকা থেকে ওষুধ কোম্পানির এক কর্মকর্তা এসেছেন। তিনি একই মেডিকেলে আমার এক বছরের সিনিয়র। বেশ খাতিরের বড় ভাই। তিনি তাঁর ব্যাগ থেকে একটি যন্ত্র বের করলেন। যন্ত্রটি অন করার পর দেখি সেটি একটি কম্পিউটার। কোন তার ছাড়া কম্পিউটার। জিজ্ঞেস করলাম, ভাই কি জিনিস এটা, নাম কি ? বললেন, ল্যাপটপ। জীবনে এই প্রথম আমার ল্যাপটপ দেখা। তবে নাম শুনেছি এর তিন বছর আগে, ১৯৯৫ সালে। যখন নাম শুনেছি, তখন বুঝিনি জিনিসটা কি ?
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।