নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
কোন দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য দরকার সেই জাতির উন্নত জনস্বাস্থ্য আর আর্থিক সচ্ছলতা, বিশ্বমানের শিক্ষা আর দক্ষ জনশক্তি, শ্রমঘন শিল্প প্রতিষ্ঠা। তাই সেই লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত হয়ে গেল গত ৩ ফেব্রুয়ারি রোববার। এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত নিরাপদ খাদ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যে ভেজাল রোধে দেশে বিশেষায়িত পরীক্ষাগার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কেন এই ঘোষণা দিলেন, তাঁর লক্ষ্য কী তা বুঝার জন্য আমরা আমাদের দেশের আর অন্যান্য কিছু তথ্য ঘেঁটে দেখতে পারি।
সরকারী হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৬.১৭ কোটি। যার মধ্যে ৮.১০ কোটি পুরুষ আর মহিলা ৮.০৭ কোটি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে জনসংখ্যার বৃদ্ধির বর্তমান হার- ১.৩৭%। যা ২০৩০ সালে ১৮.৫ কোটি এবং ২০৫০ সালে ২০.৩৩ কোটিতে রূপান্তরিত হতে পারে বলে অনুমিত হয়। বর্তমানে আমাদের মোট জনসংখ্যাকে যদি বয়স অনুসারে ভাগ করি তবে ০-১৪ বছর বয়সী হচ্ছে ৩০.৮%, ১৫-৪৯ বছর বয়সী ৫৩.৭% আর ৫০-৫৯ বছর বয়সী হচ্ছে ৮.২%। অন্যদিকে ৬০ বছরের উর্ধ্বে ৮.১% বাংলাদেশের মানুষ। বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ অর্থাৎ প্রায় ১০ কোটি মানুষের বয়স ১৫ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। এর অর্থ হচ্ছে জাতিসংঘের হিসেব মতে বাংলাদেশের ৬১.৯০ ভাগ জনসংখ্যার অধিকাংশই কর্মক্ষম। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে কর্মক্ষম জনসংখ্যার হিসাব ভিন্ন হবে, সে কথায় পরে আসবো। তবে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের হিসেব মতেই কর্মক্ষম ব্যক্তি আরও যোগ হবে প্রায় ৫ কোটি পক্ষান্তরে কর্মক্ষমতা হ্রাস পাবে প্রায় ৫০ লক্ষ ব্যক্তির, দেশে মৃত্যুহার কম বলে। আমাদের এই বিশাল কর্মক্ষম মানব সম্পদকে ব্যবহার করার জন্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়েছে। পদক্ষেপগুলো হচ্ছে-
বিভিন্ন নামে গরীব গর্ভবতী মা ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তা প্রকল্প যাতে করে মাতৃগর্ভে থাকা শিশু, আর জন্মের পরে মা তাঁর শিশুকে যত্ন নিতে পারে। শিশুরা প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। কারণ প্রয়োজনীয় পুষ্টি না পেলে শিশুর ব্রেইনের গঠন ঠিক হয় না, বড় হয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার পেয়ে স্বাস্থ্যবান দেখা গেলেও তাঁদের শরীরে স্ট্যামিনা থাকে না, তাঁরা কঠিন, কঠোর পরিশ্রম করতে পারে না।
সরকার দেশে উন্নত প্রাথমিক শিক্ষা চালু করেছে যা শিশুর ব্রেইনের এনালিটিক্যাল ফ্যাকাল্টি ডেভেলপ করবে। ভালো মন্দ, সত্যা মিথ্যা বুঝার ক্ষমতা অর্জন করবে। পিইডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত প্রাথমিক শিক্ষা চালু করার কাজ পুরোদমেই চলছে। সাথে প্রাথমিকের ড্রপ আউট ঠেকাতে প্রাইমারি স্কুলে ‘মিড ডে মিল’ এর পাইলটিং হয়ে গেছে, এখন তা পুরোদমে চালুর অপেক্ষা।
তথ্য প্রযুক্তির অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত প্রায়। এতে আর আগের মত মানুষকে সহজে ভুল বুঝানো সম্ভব হয় না, গুজবে কাজ হয় না। বাংলাদেশে এমন কোন গ্রাম পাওয়া যাবে না যে গ্রামের মানুষ ইন্টারনেটে যুক্ত নেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় নেই।
সব চেয়ে যেটা খুব জরুরী তা হচ্ছে জনস্বাস্থ্য। গ্রামে গ্রামে চালু হয়েছে ক্লিনিক, গ্রামের মানুষ পেতে শুরু করেছেন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা। মাদকমুক্ত একটা প্রজন্মের প্রত্যাশায় মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে বলা যায়।
সরকার জনস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নিরাপদ পানির পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তাই নিরাপদ পানীয় আর খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে চলছে সর্বাত্মক কর্মসূচি। মানুষকে সচেতন করতে চলছে নানা কর্মসূচি, পাশাপাশি খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান। এদিকে নিরাপদ খাদ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খাদ্য পরীক্ষার জন্য একটি পরীক্ষাগার খুব দরকার। এটি আমরা স্থাপন করবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশে কেন্দ্রীয় খাদ্য পরীক্ষাগার হবে। আর দেশের সব বিভাগীয় শহরে এর শাখা থাকবে। খাদ্য ক্ষতিকর বা তাতে ভেজাল আছে কি না, যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে তা পরীক্ষা করার জন্য এই পরীক্ষাগার করা হবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যখন বলেন যে, ‘সুস্থ-সবল জাতি চাই, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ তখন সেই কথায় আমরা প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসকের কথার প্রতিধ্বনি শুনতে পায়। প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসকের ভাষায় ‘যখন স্বাস্থ্য অনুপস্থিত থাকে, সম্পদ নিরর্থক হয়’।
গত কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা খবর ভাইরাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় আমাদের মত বয়সীদের চোখে তা এড়ায়নি। সেটি হচ্ছে- ১৮৭৫ সালে ব্রিটেনে ‘দ্য ফ্রেন্ডলি সোসাইটি এক্ট’ এ ৫০ বছর বয়সী মানুষকেই বৃদ্ধ হিসেবে ধরা হতো। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে জাতিসংঘ বলেছে মানুষের বয়স ৬০ বছর হওয়া মানে বার্ধক্যের সীমানার কাছে পৌঁছে যাওয়া। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের নানান দেশের মানুষের গড় আয়ু আর তাদের কর্মক্ষমতা বিচার করে অন্য কথা বলছে। শূন্য থেকে ১৭ আন্ডার এজ, ১৮ থেকে ৬৫ হচ্ছে যুবকাবস্থা, ৬৬ থেকে ৭৯ হচ্ছে মধ্য বয়সী মানুষ আর ৮০ থকে ৯৯ বয়সের মানুষকে বলা হচ্ছে বয়স্ক মানুষ। ১০০+ বয়সের মানুষকে বলা হচ্ছে দীর্ঘজীবী বয়স্ক মানুষ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিন্তা ভাবনায় জারিত হয়ে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়িয়ে ফেলতে চান! সেই জন্য কী তিনি এতসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন! তিনি কি আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষকে শতায়ু করে দেবেন, সেই নীতি নিয়েছেন! আমাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও শতায়ু হউন, দেশ ও জাতির উন্নয়নের স্বার্থে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর