নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১১ জুন, ২০১৯
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ‘ব’ দ্বীপ আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে ঋণখেলাপীর সংখ্যা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে। পলিমাটি পড়ে পড়ে এই দেশের জন্ম তাই প্রাচীন কালে এটি বিশ্বের অত্যতম উর্বরভূমি হিসেবে গন্য করা হতো। এখানে চা, চিনি, ধান, কাউন, মশলা, ইত্যাদি নানা কৃষি পণ্যের উৎপাদন গোটা দুনিয়ার বুকে ছিল ঈর্ষণীয়। ১৭০০ সালের দিকে অবিভক্ত ভারত যে গোটা দুনিয়ার ২৫% জিডিপির মালিক ছিল তাঁর অন্যতম কারণ কৃষি, হস্তশিল্প, ইত্যাদি। সেই কারণেই এই বাংলা মায়া হরিণীর মত আমরা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের শত্রুতে পরিনত হয়।
উর্বর পলিবিধৌত এই বাংলায় একটা নতুন করে তৈরী করা জমিতে আপনি যদি বাগান করেন তাহলে মজার একটা বিষয় লক্ষ্য করতে পারেন। বাগানে আপনি আম, জাম, কলা, কাঠাল, লীচু,পেয়ারা, সবেদা, তাল-নারকেলের পাশাপাশি একটা তেতুল গাছ লাগান। পারলে বাগানের একপাশে লাউ, কূমড়া, ঝিঙ্গা, করলা গাছেও লাগাতে পারেন। একই জমিতে আপনি যেমন মিস্টি আম -কাঠাল পাবেন তেমনি পাবেন টক তেতুল। পাবেন মিস্টি কূমড়ার মত ফল আবার চরম তিতা করলা। মাটি বা জমি ইন্তু একটাই সেখান থেকে আপনি যা পেতে চান তাই পাচ্ছেন, পছন্দ মত চাষ করে।
শেখ হাসিনার শাসনামলের এই বাংলায় আমরা বিচিত্র সব ঘটনা ইদানিং লক্ষ্য করছি সাজানো বাগানের মত। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি বা দুরনীতগ্রস্থ দেশ’ বলে আমাদের টিটকার যারা দেন, দিতেন তাঁদের কাছ থেকেই আমাদের অর্জন কিন্তু কম নয়। এই দেশের পক্ষে শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুকি মোকাবেলায় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরস্কার, গঠন ও তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ITU (International Telecom Union) Award, রাজনীতিতে নারী পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিন ও দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভুমিকা পালনের জন্য WIP (Women in Parliament) Global Award পুরস্কার পান। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন, খাদ্য উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদানের জন্য আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সালে তাকে সম্মাননা সনদ প্রদান করে শেখ হাসিনা তথা বাংলাদেশকে।
২০১৪ সালে নারী ও শিশু শিক্ষা ও উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে শান্তিবৃক্ষ পদক Peace Tree Award, খাদ্য উৎপাদন ও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য এবছরই যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভারসিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মানে বাংলাদেশেকে এই সম্মাননা সার্টিফিকেট প্রদান করে।
২০১৩ সালে খাদ্য নিরাপত্তা এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ সাউথ কো অপেরাশন এর পক্ষ থেকে South South Award, “একটি বাড়ি ও একটি খামার প্রকল্প’ ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য তথ্য-প্রযুক্তি মেলায় ২৩ সেপ্টেম্বর সাউথ এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিক “ Manthan Award” ২০১৩ পদকে ভূষিত হন। এছাড়া জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দারিদ্রতা, অপুষ্টি দূর করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করায় বাংলাদেশকে “Diploma Award“ পদকে ভূষিত করে বাংলাদেশকে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে।
একইভাবে ২০১২ সালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদানের জন্য UNESCO মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে “Cultural Diversity“ পদকে ভূষিত করে। ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের হাউস অব কমন্সের স্পিকার Jhon Bercow MP বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে গনতন্র পুনুরদ্ধারে দূরদর্শী নেতৃত্ব, সুশাসন, মানবাধিকার রক্ষা, আঞ্চলিক শান্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে তার অনবদ্য অবদানের জন্য Global Diversity Award প্রদান করেন।
South South Award পান তিনি স্বাস্থ্যখাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নারী ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য International Telecommunication union (ITU) South South News, এবং জাতিসংঘের আফ্রিকা সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কমিশন যৌথভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে South South Award 2011: Digital Development Health এই পুরস্কারে ভূষিত করে।২০১০ সালে শিশু মৃত্যুর হ্রাস সংক্রান্ত MDG-4 অর্জনের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতিসংঘ MDG (Millennium Devolopment Goal) Award পুরস্কার প্রদান করে। একই বছর আন্তর্জাতিক উন্নয়নে অসমান্য অবদানের জন্য St.Petrsburg University প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করেন। সেই বছরেই তিনি বিশ্বখ্যাত “ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক-২০০৯”এ ভূষিত হন।
শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশে গত ১০ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে ক্যাপটিভসহ ১৮ হাজার ৩৫৩ মেগাওয়াট। এমন অনেক খাতের উন্নয়নের কথা বলা যাবে তাতে এই লেখার কলেবর বৃদ্ধি পাবে মাত্র। যেমন গত দশ বছরে বাংলাদেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৪৯ শতাংশ। দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, শিশুমৃত্যুর হার কমেছে, নিরাপদ খাবার পানি, স্যানিটেশনে আমরা অঙ্ক এগিয়ে আশেপাশের দেশ থেকে, ইত্যাদি। কিন্তু অন্যদিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১০, ৮৭৩ কোটি টাকায়। ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে।
২০১৮ সালে একুশে টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাত্কার বাংলার অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষ জানান যে তিনি ১৯৫৬ সালে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন ও মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে তিনি এবং তার পরিবার চট্টগ্রামে চলে আসেন। সেখানকার কৃষ্ণকুমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। এদিকে নতুন খবর হচ্ছে ২০১৯ সালের ৫ জুন তিনি ভারতের রাজনৈতিক দল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি দলের তরফ থেকে দাবি করা হয় তিনি ভারতের নাগরিক, তাঁর কাছে ভারতের পাসপোর্ট আছে। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ২০০৩ সালে কলকাতা পৌরসংস্থা কর্তৃক জারি করা তার জন্ম সার্টিফিকেট প্রকাশ করেন। প্রশংসাপত্র অনুসারে অঞ্জু ঘোষ ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ সালে কলকাতার ইস্ট এন্ড নার্সিং হোমে জন্মগ্রহণ করেন; তার বাবার নাম সুধন্য ঘোষ ও মায়ের নাম বীণাপানি ঘোষ। অঞ্জু ঘোষের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ায় যে ‘কামিনী বা কাঞ্চনের খেলা’ আছে তা বুঝার জন্য মহা পন্ডিত হবার কোন প্রয়োজন বাংলার মানুষের নেই। ঠিক একইভাবে ‘কামিনী বা কাঞ্চনের’ বদৌলতে ব্যাংকের টাকা লুট, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়া, বিভিন্ন অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়া, মিথ্যা বা আংশিক সত্য খবর প্রকাশ করে দেশে অস্থিরতা তৈরী করা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলা, মিথ্যা বা আধা সত্য তথ্য দিয়ে বই লিখে প্রকাশ সবখানেই ‘কামিনী বা কাঞ্চনের’ যোগ আছে তা অনুমান করলে অন্যায় করা হবে না।
সারা দুনিয়ায় যখন সন্ত্রাসের রাজত্বে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলতে গেলে একা তাঁর কিছু অনুগামীদের নিয়ে ধর্মীয় ও অন্যান্য সন্ত্রাসে লাগাম টেনে ধরেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন ও তাঁদের মুরুব্বীরা এখন চরম নাখোশ। একটা একটা করে আস্তে ধীরে রয়ে সয়ে শেখ হাসিনা এবার ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আর দুর্নীতি দমনে হাত দিয়েছেন। বেঁচে থাকলে সহসাই তিনি সফলতার মুখ দেখাবেন দেশবাসীকে সে বিশ্বাস অনেকের। তাই হাউ কাউ না করে আসুন দেশ আমার, সরকার আমাদের সবার, তাই দেশের স্বার্থে সরকারকে সহযোগিতা করি। দেশ ধ্বংস করলে ক্ষতি আমাদের সবার। অঞ্জু ঘোষেদের মত ‘কামিনী বা কাঞ্চনের’ কারবারিদের চিহ্নিত করতে সরকারকে সহযোগিতা করি নিজের স্বার্থেই। আমরা যেন ভুলে না যায় যে, বাংলার মাটিতে শুধু করলা চাষ হয় না সাথে পাকা আম চাষ হয়, প্রচুর।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।