নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২০ জুন, ২০১৯
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল। কিন্তু ২০০৭-২০০৮ সালের আগে-পরে এই দলের মধ্যে বহু সুবিধাবাদী রাজনিতিক ঢুঁকে পড়েছেন। কিছু ভালো লোক আসেননি তা হয়, তবে তাঁদের সংখ্যা খুব কম। বিভিন্ন দল থেকে আসা এরা টাকা পয়সা খরচ করে দলে পদ বাগিয়ে নিয়েছেন, ক্ষমতাশালী হয়েছেন, সুবিধাবাদী আর আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে একটা বলয় তৈরী করেছেন ত্যাগীদের সরিয়ে। অভিযোগ আছে যে, তারা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কমিটি নিজেদের মত করে নিতে অনেক টাকা খরচ করেছে কারণ কিছুদিন আগেই তারা ক্ষমতায় থেকে অনেক টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে কামিয়েছে। এরা রঙ বদলিয়ে এখন খুব এক্টিভ। এর ফলে স্থানীয় নির্বাচনে মাঝে মাঝেই নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হচ্ছে। এটা হচ্ছে দুইভাবে। এক- স্থানীয় কমিটি দখল করা নব্যরা ভুল নমিনেশন দিতে কেন্দ্রকে প্রভাবিত করছে। দুই- ত্যাগীদের কেউ কেউ মনের দুঃখে প্ররোচিত হয়ে বিদ্রোহ করে নির্বাচনে জিতে আসছে। এমতবস্থায় ত্যাগীদের সামনে না আনলে দলের টেকসই অবস্থান ধরে রাখা যাবে না। নব্যরা দলের দুর্দিনের আভাস পেলেই সটকে পড়বে নতুন সুবিধার সন্ধানে।
১৯৭৫ পরবর্তী ত্যাগী ছাত্রলীগাররা অধিকাংশই সৎ, নির্লোভ, কমিটেড এবং ভালো সংগঠক। ১৯৭২-১৯৭৫ সালের সরকার ও দলের যত সব নেগেটিভ ইমেজ তৈরী হয়েছিলো বিভিন্ন অপপ্রচারে, তা দূর করে মানুষের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনতে কী কষ্ট তারা করেছেন তা এখন অনুধাবন খুব কঠিন। কারণ এখন আইটির যুগ, এক আঙ্গুলের টোকা দিলে গুগল এ সব তথ্য পাওয়া যায়, তখন সেই সুবিধা ছিল না। কিন্তু বাম, বিশেষকরে চৈনিক বাম আর জামায়াতের লেখা ও প্রকাশিত বিভিন্ন বই, টেলিভিশন আর পত্রিকার অপপ্রচারে মুক্তুযুদ্ধের চেতনার মানুষের রাজনীতি করা তো দুরের কথা সমাজে টিকে থাকাই দুরহ ছিল। স্বাধীনতা বিরোধীরা জানে যে ভারত উপমহাদেশের মানুষ ছাপার অক্ষরে লেখাকে ধর্মগ্রন্থের পরেই বেশি বিশ্বাস করেন। যারা এই অপকর্মের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন সেই সব ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্মীদের, নেতাদের কোন মূল্যায়ন নেই যদিও তারা অধিকাংশই ছিলেন একেকজন সাচ্চা মুজিব সেনা। জনাব ওবায়দুল কাদের সাহেব তো নিজেই মোটাদাগে সারা দেশের ত্যাগী বঙ্গবন্ধু প্রেমিকদের সবাইকেই চেনেন, কারা ছিলেন সেই দুর্দিনে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক জেলায়! এখনই সময় অভিমানে চুপ থাকা ওদের দলে ও সমাজে সম্মানের সাথে কাজে লাগানো।
বিরোধীদলের মিথ্যাচার ও রাজনৈতিক কর্মসূচী মোকাবিলা করতে দরকার নিবেদিত প্রাণ ১৯৭৫ পরবর্তী ত্যাগী কর্মীর সমন্বয়ে গড়া মজবুত মূল ও সহযোগী সংগঠন। জামায়াতসহ ইসলামপন্থী দলের লোকেরা চুপ থেকে থেকে আওয়ামী লীগ বা জোটে ঢুঁকে যাচ্ছে। তারা কাল সাপ হয়ে ছোবল দেবে। বিতাড়িত কালসাপ ‘গোলমাল রনি’র সাম্প্রতিক ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখলে কিছুটা বুঝা যায়। ‘রাতের সব তারাই থাকে দিনের আলোর গভীরে’ কথাটা এখন মনে রাখা জরুরী। লুট ও দুর্নীতির টাকায় ১৯৭১ পরবর্তী ও বিএনপি জামায়াত আমলে বিদেশে যাওয়া একদল শিক্ষিত নষ্ট বাঙ্গালী, বিদেশে বসে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ফেক ডকুমেন্ট তৈরী করে অপপ্রচার করে, গুঁজব ছড়ায়। এতে উন্নত দেশে লোকেরা কিছুটা হলেও বিভ্রান্ত হয়। বার বার একই মিথ্যা নানাভাবে প্রচারে অনেক দেশের মানুষ, সরকার এমনকি নিজ দেশের মানুষও প্রথমে বিভ্রান্ত হয়ে পরে বিশ্বাস করতে শুরু করেন। এটাও একটা ঝুঁকি।
আমলাদের সাথে বিশেষকরে আমলা পলিটিশিয়ান যারা উপদেষ্টা হয়েছেন তাঁদের বিরোধ চরমে উঠলেও সমস্যা কম। কারণ তাঁরাও ‘সাপুড়ে’, সাপ নিয়ে তারা খেলতে পারবেন। কিন্তু আমলাদের ক্ষমতা বেশী বাড়ালে নিরাপদ খাদ্য অভিযান, দুরনীতিবিরোধী অভিযান, ইত্যাদি মুখ থুবড়ে পড়বে। কর্মীদের চাপে বিভিন্ন আবেদনপত্রে মন্ত্রি এমপিদের সুপারিশ নেতাদের কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। এতে আমলাদের সাথে বিরোধের মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে সারা দেশে, কারণ স্বার্থের বেলায় দুষ্টু আমলারা এক হয়ে সবাইকে লোভের ছিপে আটকাবে। বালিশ মাসুদরা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের খুব গুরুত্বপূর্ণ পদ ইতোমধ্যেই দখল করে নিয়েছে নষ্ট-ভ্রস্ট নব্য আওয়ামী লীগার আর তাদের সহযোগী আমলাদের সহায়তায়, কামিনী আর কাঞ্চন দিয়ে। সড়ক, ব্রীজ, রেলওয়ে, ইত্যাদি অবকাঠামোগত উন্নয়ন দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকাংশই ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু বিরোধী’দের দখলে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের ঝুঁকিতে আছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানেন যে শক্তি দুই প্রকার। এক- রাজনৈতিক শক্ত আর দ্বিতীয় হচ্ছে অর্থনৈতিক শক্তি। এক শক্তি আরেক শক্তিকে কিনে নিতে পারে যদি দলে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ত্যাগী কর্মীবাহিনীতে দুর্বলতা থাকে। এর একটা জলন্ত উদাহরণ হচ্ছে ১৯৯০ সালের গণভ্যুত্থানের পরে ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদের দল পেয়েছিল ৩৫টা আসন। এর মূলে ছিল এরশাদ সাহেবের দলের অর্থনৈতিক শক্তি। বিএনপি- জাম্যাতের কর্মীরা এখন ব্যবসায়ী সেজে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে মোটা অংকের কমিশন দিয়ে সাব-কন্ট্রাক্ট করছে দেদারছে, যেমনটি করেছিলো রাজাকাররা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত। সাম্প্রতিক অভিযানেই তার প্রমাণ পাওয়া গেছে মঞ্জুর হাসান শাহরিয়ারের বদলি কেসে।
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় ও নতুন ফর্মুলায় ভ্যাট আদায়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ব্যবসায়ীদের মাঝের অসন্তোষে প্রশাসনে লুকিয়ে থাকা সরকারবিরোধী আমলা ও ব্যবসায়ীরা কালো টাকা পাচারে বাঁধা পেয়ে নতুন সমস্যা তৈরী করবে। তারা কালো টাকা দিয়ে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন বা কোটা বিরোধী আন্দোলনের মত আন্দোলনের জন্ম দিতে পারে অর্থের বিপুল অর্থের যোগান দিয়ে, যদিনা দেশে মালয়েশিয়ার মত করে সৎ ব্যবসায়ী, সৎ আমলা আর সৎ রাজনীতিবিদগণের সমন্বয়ে একটা ‘ট্রাইএংগেল অফ হোপ’ তৈরী করা যায়।
অষ্টাদশ শতকের মোগল আমলের সুবা বাংলায় গনতান্ত্রিক সরকার ছিল, এই সেই বাংলা যারা দুনিয়ার টোটাল জিডিপির ১২ শতাংশের অংশিদার ছিল একাই। যারা আমাদের শোষণ করে, আমাদের দেশের গন্তান্ত্রিক ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক অবস্থা ধ্বংস করেছে তারা এখন আমাদের দেশের কিছু দালাল সুশীল, দুর্নীতির টাকায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক লবিস্ট দিয়ে নিজেদের লাভের কাজ করছে যা আমাদের জন্য কূটনৈতিক ঝুঁকি। ইইউ এর ঘাড়ে বন্দুক রেখে কয়েকদিন আগেই একটা দল আমাদের দেশে এসে সুশীলদের সুযোগ- সুবিধা দেওয়া, মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ইত্যাদি না বিষয়ে নসিহত করে গেছে। সাবধান হতেই হয় যখন দেখি বাংলাদেশে কোন সুসময় বা খারাপ সময়ে না থাকা বাংলাদেশের উন্নয়ন বিরোধী, গরীব শোষক ড. ইউনুস বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে তাঁদের জয়ে প্রথমবারের মত অভিনন্দন জানান।
ড্রাগ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান সরকার তথা সরকার প্রধানের জন্য চরম ঝুঁকি, যদি তা সঠিকভাবে হ্যাণ্ডেল করা না হয়। ড্রাগের ব্যাবসায় এত লাভ যে অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে ব্রিটিশরা আফগানিস্তান থেকে আফিম নিয়ে গিয়ে চীনের বিক্রি শুরু করে। এসময় ব্রিটিশরা সারা দেশে আফিম বিক্রির অনুমতি চেয়ে জোর দাবি করে। কিন্তু কিছু দেশপ্রেমিক চীনা বিশেষ করে কমিশনার লী চরমভাবে এর বিরোধিতা করেন। ১৮৩৯ সালে তিনি অনেক ব্রিটিশ আফিম ব্যবসায়ীকে শাস্তি দেন এবং ২ লাখ কেস আফিম আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলেন। ড্রাগ বিক্রির অনুমতির জন্য ব্রিটিশরা চীনের সাথে দুই দুইটা যুদ্ধে করে জয়ী হয়। ফরাসীদের মত সরাসরি না হলেও ইউরোপের অনেক দেশের তাতে সায় ছিল। কারণ এই ড্রাগ ব্যবসায় লাভ আকাশ্চুম্বী। নতুন নতুন সিন্থেটিক ড্রাগ শুরুতে তৈরী হয় উন্নত দেশে। তারা তৈরী করে আমাদের মত গরীব দেশে মাফিয়াদের মাধ্যমে বিক্রি করে। তাই ড্রাগ ব্যসায়ীদের শেকড় অনেক গভীরে বিধায় দেশের ড্রাগ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান আমাদের জন্য আরেকটা ঝুঁকি। এমন আরও অনেক খাতে মানে বহুমুখী ঝুঁকিতে আমাদের দেশ ও সরকার প্রধান।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর
‘এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।/তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে/ বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক/যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি/ অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক/ মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ অর্থাৎ ১৪৩১ বঙ্গাব্দে পুরাতন স্মৃতি মুছে যাক, দূরে চলে যাক ভুলে যাওয়া স্মৃতি, অশ্রুঝরার দিনও সুদূরে মিলাক। আমাদের জীবন থেকে বিগত বছরের ব্যর্থতার গ্লানি ও জরা মুছে যাক, ঘুচে যাক; নববর্ষে পুরাতন বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক। রমজান ও ঈদের পর দেশের মানুষের জীবনে আরো একটি উৎসবের ব্যস্ততা নতুন বছরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় উদ্ভাসিত।ফিলিস্তিনবাসীর উপর হামলা আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে এর মধ্যে মারা গেছেন অসংখ্য মানুষ।তবু মৃত্যুর মিছিলে জীবনের গান ফুল হয়ে ফুটেছে। যুদ্ধের সংকট আমাদের পরাস্ত করতে পারেনি কারণ পৃথিবীর মৃত্যু উপত্যকা পেরিয়ে এদেশে বৈশাখ এসেছে নতুন সাজে।