ইনসাইড থট

এই বছরটি কেমন গেল?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৩৯ এএম, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

এই বছরটি প্রায় শেষ। অন্যদের কথা জানি না আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে সামনের বছরটির জন্য অপেক্ষা করছি। তার প্রধান কারণ সামনের বছরটিকে আমরা টোয়েন্টি-টোয়েন্টি বলতে পারব। (যখন কেউ চোখে নির্ভুল দেখতে পারে সেটাকে টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ভিশন বলে!) সামনের বছরটি নিয়ে আমরা নানা ধরনের জল্পনা কল্পনা করছি। কিন্তু এই বছরটি কেমন গেছে?

আমি একটা ছোট কাগজে বছরের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার একটা তালিকা লিখতে গিয়ে দেখি বেশিরভাগই মন খারাপ করা ঘটনা। কে জানে আমাদের মস্তিষ্ক হয়তো আনন্দের ঘটনা সহজেই ভুলে যায়, মন খারাপ করা ঘটনা না চাইলেও মনে থাকে।

যেমন ধরা যাক নুসরাতের ঘটনাটি। আমরা গল্প-উপন্যাস লেখার সময় বানিয়ে বানিয়ে নুসরাতের মতো চরিত্র তৈরি করি। কিন্তু সত্যি সত্যি যে আমাদের চারপাশের মানুষের মাঝে নুসরাতের মতো তেজী মেয়েরা থাকে কে জানত? নুসরাতের ঘটনাটি যে খুব বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা তা কিন্তু নয়, প্রায় নিয়মিতভাবে আমরা খবরের কাগজে এ রকম খবর পড়ি, যেখানে একটা ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হচ্ছে। এই ধর্ষক এবং খুনিরা প্রায় সবসময়েই ধরা পড়ে যায়, তাদের বিচার হয়, শাস্তি হয়। কিন্তু তারপরও মেয়েদের ওপর নিষ্ঠুরতার ঘটনাগুলো কমছে না। আমি গবেষক নই তারপরও মনে ঘটনাগুলো বাড়ছে। কেন বাড়ছে আমরা জানি না। শুধু আমাদের দেশে বাড়ছে তা নয়, আমাদের পাশের দেশ ভারতবর্ষে নারীধর্ষণের ঘটনাগুলো রীতিমতো ভয়াবহ, ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র বদলে নূতন বাক্য চালু হয়েছে, ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’। (ভারতবর্ষের অবস্থা সবদিক দিয়েই ভয়াবহ তবে আমাদের দেশে সেটা নিয়ে সমালোচনা করলে ছাত্রলীগ এবং এক দুইজন মন্ত্রী খুব নাখোশ হন, কারণটা কী?)

নুসরাতকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া খুব কষ্টের। বিএনপি-জামায়াত একসময় একেবারে সাধারণ নিরীহ মানুষদের পেট্রলবোমা দিয়ে পুড়িয়ে মারার ব্যাপারে খুব বড় এক্সপার্ট হয়েছিল, সে জন্য তাদের মনের ভেতর কখনো কোনো অনুশোচনা হয় কিনা আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে। সেই পুড়ে পাওয়া মানুষদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের দেশে খুব ভালো বার্ন ইউনিট গড়ে উঠেছিল। তাই যখন কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় আগুড়ে পুড়ে একজন মারা গেল এবং ৩৪ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলো তখন আমি ভেবেছিলাম তাদের প্রায় সবাই হয়তো বেঁচে যাবে। একেবারে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২২ জন মারা গেছে। একেবারে সাধারণ কমবয়সী ক্রমিক, মৃত্যু এসে তাদের যন্ত্রণার উপশম করে গেছে। কিন্তু তাদের আপনজনদের হাহাকারের দায়িত্ব কে নেবে? দুর্ঘটনার ওপর কারও হাত নেই। কিন্তু এই ঘটনাগুলো তো দুর্ঘটনা নয়। খবরের কাগজের খবর অনুযায়ী এই প্লাস্টিক কারখানার অনুমোদন পর্যন্ত ছিল না! আমরা কখনো রানা প্লাজার কথা ভুলব না, কিন্তু সেই ভয়াবহ রানা প্লাজার ঘটনার পর এখন আমাদের গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি সারা পৃথিবীর মাঝে সবচেয়ে নিরাপদ ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কেরানীগঞ্জের এই নিষ্ঠুর ঘটনার পর কি একই ধরনের ব্যাপার ঘটতে পারে না? শ্রমিকদের নিরাপত্তায় আমরা সারা পৃথিবীর মাঝে না হোক, এই দেশের মাঝে নিরাপদ একটি কর্মক্ষেত্র হতে পারে না?


যে মৃত্যুগুলোর কথা আমরা সরাসরি দেখতে পাই, শুনতে পাই সেগুলো নিয়ে আমরা বিচলিত হই। কিন্তু যে মৃত্যুগুলোর কথা আমরা দেখতে পাই না, শুনতে পাই না- সেগুলো নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। সে রকম মৃত্যু কিন্তু নিঃশব্দে ঘটে যাচ্ছে। তার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। আমরা যারা ঢাকা শহরে থাকি তারা সবসময়ই এই দূষণ দেখে বড় হয়েছি। আমরা সেটা প্রায় মেনেই নিয়েছিলাম, কখনো কল্পনা করিনি ঢাকা শহরের বায়ূদূষণ আসলে সারা পৃথিবীর মাঝে সবচেয়ে ভয়াবহ দূষণ, এখানকার বাতাস প্রতিদিন না হলেও মাঝে মাঝেই সারা পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত বাতাস। বিষয়টি জানার পর থেকে আমি প্রতিদিন বাতাসের খোঁজ নিই, শুনে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। আমি এখন পর্যন্ত একদিনও বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ‘ভয়ংকর অস্বাস্থ্যকর’ ছাড়া আর কিছু দেখিনি! যারা এই বাতাসে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে তারা যদি সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্য কিছুতে মারা যেতে না পারে ভয়ংকর রোগে শোকে ভুগে ভুগে মারা যেতে হবে। হাসপাতালের বিল দিতে দিতে পরিবার সর্বশান্ত হয়ে যাবে! আগে বায়ুদূষণের ব্যাপারটি নিয়ে কাউকে মাথা ঘামাতে দেখিনি। আজকাল মাঝে মাঝেই খবরের কাগজে এই নিয়ে আলোচনা হয় এমনকি ঢাকার আশেপাশে কিছু বেআইনি ইট ভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলেও খবর বের হয়েছে। ধূলোবালি কমানোর জন্য পানি ছিটানো হয় বলেও জেনেছি। একসময় ঢাকা শহর খুব পরিপাটি একটা শহর ছিল, আবার সেটি একদিন পরিপাটি শহর হবে সেই আশায় আছি। ইচ্ছে করলে এবং চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। শুনেছি বড় শহরের মাঝে রাজশাহী শহরটি নাকি খুব সুন্দর একটা শহরে পরিণত হয়েছে, এই নূতন রূপ নেয়ার পর দেখতে যাওয়া হয়নি। দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।


সারা বছর নানারকম খারাপ খবরের শিরোনাম হয়ে যে সংগঠনটির নাম এসেছে সেটি হচ্ছে ছাত্রলীগ। লিচু চুরি থেকে শুরু করে ধর্ষণ, খুন, নির্যাতন কিংবা শিক্ষককে পুকুরে ফেলে দেয়া তাদের কর্মকাণ্ডে কী নেই? আমি অনেকবার বলেছি আমাদের অত্যন্ত দক্ষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশাল একটি অর্জনকে ছাত্রলীগের পুচকে একজন সদস্য কোনো প্রত্যন্ত এলাকায় একটি অপকর্ম করে মুহূর্তে ধূলিস্যাৎ করে দিতে পারে। আমার নিজের চোখে দেখা সবচেয়ে হৃদয় বিদারক ঘটনা ছিল যখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা জয় বাংলা এবং জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে শিক্ষকদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবি উঠেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই নির্বাচন করাও হয়েছে। আমি একেবারে নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি যদি সত্যি সত্যি ভালোভাবে ছাত্রছাত্রীদের ভোট দিতে দেয়া হয় তাহলে এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কোনো নেতা নির্বাচিত হয়ে আসতে পারবে না। এই দেশে ছাত্রলীগ যে কী ভয়ংকর একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে আমরা সেটা নিশ্চিতভাবে বুঝতে পেরেছিলাম যখন বুয়েটে আবরারকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। প্রশাসন তাদের পক্ষে, পুলিশ তাদের পক্ষে এবং তাদের কিছুই হবে না সে ব্যাপারে তারা এতো নিশ্চিত ছিল যে তারা পালিয়ে যাওয়ারও প্রয়োজন মনে করেনি।

ছাত্রলীগের সাথে সাথে এই বছর খবরের শিরোনাম হয়েছেন ভাইস চ্যান্সেলররা। শিক্ষা কিংবা গবেষণায় কোনো মহান অবদানের জন্য নয়, নানা ধরনের অপকর্মের জন্য। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ভাইস চ্যান্সেলর হচ্ছেন মোগল সম্রাটদের মত। তাদের হাতে সব ক্ষমতা। যদিও নানা ধরনের কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর কথা কিন্তু বাস্তবে সব কমিটি থাকে তাদের হাতের মুঠোয় এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয় কেমন চলছে সেটি পুরোপুরি নির্ভর করে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের উপর। কাজেই সেই ভাইস চ্যান্সেলর মানুষটি যদি নিজে একজন শিক্ষাবিদ কিংবা গবেষক না হন তাহলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি গড়ে উঠবে কেমন করে! এই দেশের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হচ্ছে এখানে “লবিং” করে ভাইস চ্যান্সেলর হওয়া যায়। এই লবিং ভাইস চ্যান্সেলররা যখন ছাত্রলীগের গায়ের জোর নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালান সেখানে আমরা কী আশা করতে পারি? আমাদের দেশে এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হয়ে উঠতে পারতো। সেটি হয়নি, সেটি হবে তার কোনো সম্ভাবনাও দেখছি না। কী দুঃখের ব্যাপার!

আমাদের দেশের ভাইস চ্যান্সেলররা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে বিষয়গুলো অনুভব করতে পারেন না, আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজকর্মের সাথে না থেকেও সেগুলো বুঝতে পারেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে আমি বেশ কয়েকবার মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছাকাছি বসে তার নিজের মুখে বক্তব্য শুনেছি। আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের মাঝখানে তিনি সাধারণত একেবারে নিজের মতো করে কৌতুকের ভঙ্গিতে অনেক কথা বলেন। আমি একবার তাকে নিজের লেখাপড়া নিয়েও কৌতুক করতে শুনেছি। কিন্তু তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের লেখাপড়া নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেগুলো যুগান্তকারী। আমি দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিলাম বলে কেবল টাকার লোভের কারণে এই দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা কীভাবে এই দেশের ছেলেমেয়েদের নির্যাতন করেন সেটা খুব ভালো করে জানি। সমন্বিত একটা ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে খুব সহজেই এই দেশের ছেলেমেয়েদের অবিশ্বাস্য একটা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়া সম্ভব, কিন্তু সেটি করা হচ্ছে না। আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রথম এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন, যদিও এখন পর্যন্ত এই দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাবান ভাইস চ্যান্সেলর এবং অধ্যাপকেরা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে রাজি হচ্ছেন না। টাকার লোভ একজন মানুষকে কতো নিচে নামাতে পারে সেটি নিজের চোখে দেখেও বিশ্বাস হতে চায় না। মহামান্য রাষ্ট্রপতি শুধু যে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার কথা বলেছেন তা নয়, তিনি সান্ধ্যকালীন কোর্সের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এর বিরুদ্ধে কারণ তারা নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছে তাদের শিক্ষকেরা নিজেদের সত্যিকারের কোর্সগুলো না পড়িয়ে সন্ধ্যেবেলার অর্থকরী কোর্সগুলো পড়ানোর জন্য জীবনপাত করছেন। আমি এক ধরনের কৌতুক নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী হয় সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। এর মাঝেই সান্ধ্যকালীন কোর্সের পক্ষে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি শুরু হয়েছে এবং আমার ধারণা নানা ধরণের যুক্তিতর্ক দিয়ে সেটা শেষ পর্যন্ত বন্ধ করা হবে না। বাঘ একবার মানুষের রক্তের স্বাদ পেয়ে গেলে অন্য কিছু মুখে দিতে চায় না বলে জনশ্রুতি আছে। টাকাটাও সে রকম, একবার কেউ টাকার স্বাদ পেয়ে গেলে সেখান থেকে বের হওয়া যায় না।

এই বছর পুরো বারো মাস জুড়েই নানা ধরনের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ঘটনা ঘটেছে একেবারে বছরের শেষ মাসের শেষ দিকে। একটি হচ্ছে রাজাকারের তালিকা আরেকটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের “বীরত্ব গাঁথা”।

ইতিহাসে পাকাপাকিভাবে গেঁথে রাখার জন্য স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ দলিল। আমরা যারা একাত্তর দেখেছি তারা জানি একাত্তরে নানা ধরনের স্বাধীনতাবিরোধী ছিল। কেউ কেউ রাজাকার, কেউ আলবদর, কেউ আলশামস, কেউ শান্তি কমিটির সদস্য আবার কেউ হয়তো কোনো দলেই নাম লেখায়নি। কিন্তু তারপরও বড় ধরনের বিশ্বাসঘাতক যুদ্ধাপরাধী। এই নানা ধরনের নামের মাঝে রাজাকার নামটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে এবং আজকাল যেকোনো স্বাধীনতাবিরোধী মানুষ বোঝানোর জন্যই রাজাকার শব্দটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু যখন একটি ঐতিহাসিক দলিল তৈরি করা হবে তখন কি তাদের ঐতিহাসিক পরিচয় দিয়ে পরিচিত করা উচিত নয়? তাদের মাঝে কেউ ছিল কাপুরুষ, কেউ ছিল নৃশংস, অপরাধের মাত্রাটিও কি এই তালিকায় উল্লেখ থাকতে পারত না?

কিন্তু রাজাকারের তালিকায় এই বিষয়গুলো আমাকে কিংবা আমার মতো আরও অনেককে ক্ষুদ্ধ করেনি। এতদিনে আমরা সবাই জেনে গেছি যে এই তালিকায় শুধু রাজাকারের নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের নামও আছে। এই তালিকাটি অসম্পূর্ণ হতে পারতো, যেখানে কোনো রাজাকারের নাম তোলা হয়নি কিংবা তাদের নাম ভুল বানানে লেখা হতে পারতো, তাদের গ্রামের নামে ত্রুটি থাকতে পারত, কিন্তু এছাড়া আর অন্যকিছু কিন্তু কারো কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। যে রাজাকার নয় তার নাম ভুলে লেখা হয়ে থাকলেও আমরা অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ হতাম। কারণ এই দেশে রাজাকার শব্দটি হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ গালি, একজন মানুষকে রাজাকার বলে গালাগাল করার চাইতে বড় কোনো অপমান হতে পারে না। সেই অপমানটি করা হয়েছে বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধাদের, এর চাইতে বড় দুঃখের ব্যাপার আর কী হতে পারে? আমরা সবাই বুঝতে পারছি এই বিষয়টি মোটেও নিরীহ, একটু ভুল নয়। এটি ইচ্ছাকৃত এবং এটি করা হয়েছে রাজাকারের তালিকাটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। এরপর থেকে যতবার যতভাবে এই তালিকা তৈরি করা হবে ততবার সবার মনে একটি প্রশ্ন থেকে যাবে যে এটাও হয়তো সত্যিকারের তালিকা নয়। সবচেয়ে দুঃখের কথা এই তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে কেউ এই এতোবড় অন্যায়ের দায় নিচ্ছে না, একে অন্যকে দোষ দিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে আমরা কোনোদিন জানতে পারব না কেমন করে এতোবড় একটি অন্যায় করা হলো বিজয়ের মাসে দেশের সবচেয়ে সম্মানী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে!

এই বছরের দ্বিতীয় ঘটনাটিও কম হৃদয়বিদারক নয়। আমরা সবাই জানি আজকাল যেকোনো একজন মানুষের সর্বনাম করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে মানুষটি জামায়াত কিংবা শিবির হিসেবে পরিচিতি করে দেয়া। সরকারের বিরুদ্ধে কিংবা প্রচলিত পদ্ধতির বিরুদ্ধে কথা বললেও আজকাল এই ঝুঁকিটি নিতে হয়। কত সহজে কত সাধারণ মানুষকে এই অপবাদটি নিতে হচ্ছে তার হিসাব নেই। এভাবে চলতে থাকলে একটি সময় আসবে যখন যারা সত্যিকারের জামায়াত-শিবির হয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যাচ্ছে যাদেরকে আর আলাদা করা যাবে না।

এই দেশে কারা মুক্তিযুদ্ধকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে? একেবারে কোনো রকম দ্বিধা না করে বলে দেয়া যায় যে সেটি ঘটেছে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংগঠনের হাতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ডাকসু ভিপি এবং তার সাথে অন্যান্য কিছু ছাত্রদের নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধ শব্দটিকে এর চাইতে বড় অবমাননা করা কি সম্ভব? এই দেশের মানুষ কি নিজের অজান্তেই “মুক্তিযুদ্ধ” শব্দটি এখন খুব বড় অন্যায়, অনৈতিক এবং নিষ্ঠুরতার সাথে যুক্ত হতে দেখছে না? আমরা কেমন করে এটি ঘটতে দিচ্ছি?

এই অর্বাচীন তরুণরা কি জানে তারা কেমন করে এই দেশের সবচেয়ে মহান অবদানটির কতো বড় অসম্মান করেছে?

২.

কেউ যেন মনে না করে ২০১৯ সালে বুঝি শুধু খারাপ খারাপ ঘটনা ঘটেছে, সেটি মোটেও সত্যি নয়। সবাই কী জানে আমাদের দেশের শিশুরা আন্তর্জাতিক রোবট-সংক্রান্ত প্রতিযোগিতায় কতগুলো সোনা-রূপা এবং ব্রোঞ্জ পদক এনেছে?

আমরা আমাদের এই সোনার শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়েই সব দুঃখ, কষ্ঠ, গ্লানি ও অপমানের কথা ভুলে যেতে চাই।

লেখক : অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

এক বছরের রাষ্ট্রপতির যত অর্জন


Thumbnail

আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।

আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।

গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে, তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও একই ভাবে থেকেছেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।


রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনা ছাড়া কেউই অপরিহার্য নয়


Thumbnail

প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।

আওয়ামী লীগ যদি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সেটি ভিন্ন কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি টিকে থাকতে চায় তাহলে দলকে এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এটা এখন সময়ের দাবি। যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তারা ইনিয়ে বিনিয়ে এখন নানান অজুহাত তৈরি করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের উচিত হবে এ সমস্ত অজুহাত না শোনা। কারণ যিনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত পরিপন্থি কাজ করেছেন এটা সুস্পষ্ট। সুতরাং এখানে দল উচিত তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দল করলে তাকে দলীয় শৃঙ্খলা মানতেই হবে। অনথায় দল থেকে বাদ দিতে হবে। যারা দলীয় সিদ্ধান্তের পরিপন্থী কাজ করেন তারা কখনই দলের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এদের মত আট-দশ দলে না থাকলে আওয়ামী লীগের কিছু যায়-আসে না। একমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক ছাড়া আর কেউই আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য নয়। শেখ হাসিনাই কেবল মাত্র আওয়ামী লীগ এবং দেশের স্বার্থে অপরিহার্য। সুতরাং, এখন আমরা দেখতে চাই শৃঙ্খলা পরিপন্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

যারা আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্দেশনা অমান্য করেছেন তিনি দলের যত বড় নেতাই হোন না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। দরকার হলে দল থেকে তাদেরকে বাদ দিতে হবে কিংবা বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। শুধু বহিষ্কারই নয়, তাদের প্রাথমিক সদস্য পদও বাতিল করতে হবে। এতে করে কারও যদি এমপিত্ব চলে যায় তো যাবে। কিন্তু দলের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে দলের স্বার্থে। তাদের আসনে যে কাউকে নির্বাচন করে জিতে আসতে পারবেন। কোন মন্ত্রী এমপি আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য নয়। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন উপজেলা গুলো প্রার্থী দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দল কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখার জন্য গোটা দেশের মানুষ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দিকে তাকিয়ে আছে।

অতীতে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখেছি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কঠোর পদক্ষেপ নেবেন এমনটি আশা আওয়ামী লীগের প্রতিটি তৃণমূল নেতাকর্মীর। এখন আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয় আমরা সেটার অপেক্ষা আছি।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনার সমালোচনা করলেও কেউই তার বিকল্প খুঁজে পান না


Thumbnail

দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। 

দার্শনিক শেখ হাসিনা এখন আগে দার্শনিক পরে রাষ্ট্রনায়ক। এতদিন তিনি ছিলেন আগে রাষ্ট্রনায়ক পরে এবং দার্শনিক। এখন তিনি আগে দার্শনিক পরে রাষ্ট্রনায়ক। কারণ তিনি একের পর এক দর্শনকে যেভাবে স্থায়ী রূপ দিয়ে যাচ্ছেন তাতে এদেশের সকলের মনোবলও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভাতেও তিনি দর্শনের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। তিনি পুরনোদের সাথে নতুনদের যুক্ত করে নেতৃত্বের একটি চমৎকার ভারসাম্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। যা আমরা এই ১০০ দিনে বুঝতে পেরেছি এই নতুন মন্ত্রিসভার কাজকর্মে। সেদিক থেকে আমি অনুধাবন করতে পারি যে, এই ১০০ দিনে দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত শতভাগ সফল।

গোটা বিশ্ব এখন যুদ্ধের মধ্যে পড়েছে। করোনার পর থেকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ গোটা বিশ্ব অর্থনীতিতে টলটলয়মান করে দিয়েছে। এখন আবার নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে। বলা যায় বিশ্বে একটা মিনি বিশ্ব যুদ্ধ চলছে। গাজায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এরকম পরিস্থিতিতে দার্শনিক শেখ হাসিনার সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে আশার কথা যে, এখন পর্যন্ত তিনি সঠিক পথে আছেন এবং সফল ভাবে পুরো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। বিশ্বের অস্থির পরিস্থির কথা অনুধাবন করে তিনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম নির্দেশনা দিচ্ছেন। যেমন-বিশ্ব বাজারে নতুন নতুন বাজারের সন্ধান। আমাদের যেন খাদ্য ঘাটতি পড়তে না হয় সেজন্য তিনি আগাম আমাদের সতর্ক করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতেও তিনি জোরালো ভাবে আহ্বান করেছেন। 

একজন জেনারেলকে কীভাবে বিচার করা হয়? তিনি কয়টি ব্যাটল জয় করলেন সেটা দিয়ে কিন্তু নয়। তাকে বিচার করা হয় যখন তিনি একটা ব্যাটলে হেরে যান এবং তার সৈন্যরা যখন পুরো ভেঙে পড়েন ঠিক সে সময় তিনি কীভাবে তার সৈন্যদের উজ্জীবিত করতে পারলেন সেটা বিবেচনায় নেওয়া হয়। দার্শনিক শেখ হাসিনাও সে রকম একজন জেনারেল, যে জেনারেল কঠিন সময়ে সাধারণ জনগণকে সবচেয়ে কম কষ্টে রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও যেন তিনি সফল ভাবে নিয়ে যাবেন সেটা বলাই বাহুল্য। অনেকে তার সমালোচনা করছেন ঠিক কিন্তু কেউ তার বিকল্পের কথা বলতে পারছেন না। তিনি দলকে যেমন ধরে রেখেছেন বা নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঠিক তেমনিভাবে সরকারকেও সঠিক পথে পরিচালনা করছেন। সুতরাং শেখ হাসিনার বিকল্প যে শেখ হাসিনাই এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। নতুন সরকারের প্রথম ১০০ দিনের মত সামনের দিনগুলোতে সাফল্য ধরে রাখবে এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

কতিপয় সাংবাদিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাধর


Thumbnail

বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।

ভিন্ন চিত্র দেখলাম শনিবার সকালে বরিশাল সদর হাসপাতালে। দায়িত্বরত চিকিৎসক ওয়ার্ডে রাউন্ড দিতে যেয়ে দেখেন দুজন টিভি সাংবাদিক ওয়ার্ডে ভিডিও করছেন। ভিডিও শেষ হবার পর চিকিৎসক তাঁর রাউন্ড শুরু করলেন। রাউন্ড শুরু করতেই দুজন সাংবাদিক আবার ক্যামেরা ধরে চিকিৎসকের সাথে কথা বলা শুরু করলেন। চিকিৎসক তাদের পরিচয় জানতে চাইলেন। বিনয়ের সাথে নিচু স্বরে একে একে ২০ বার (গুনে নিশ্চিত হয়েই বলছি) সাংবাদিকের নাম জিজ্ঞেস করলেন, পরিচয় জানতে চাইলেন। উক্ত সাংবাদিক নাম বলেননি, পরিচয় দেননি। বরং উচ্চস্বরে উল্টা পাল্টা কথা বলেছেন, পাল্টা প্রশ্ন করেছেন। অবশেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উর্ধতন কাউকে ফোন দেয়ার পর সাংবাদিক সাহেব তার নাম বলেছেন। এখানে দুটি প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।  প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, সাংবাদিক দুজন কি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাধর হয়ে গেছেন ? দ্বিতীয় প্রশ্ন, সাংবাদিক দুজনকে কেন নাম বলতে হবে ? নাম, পদবি, পরিচয় থাকবে তাদের বুকে বা কোমরে প্রদর্শিত আই ডি কার্ডে। এখন দেখার বিষয়,  প্রদর্শিত স্থানে আই ডি ছিল কিনা ? না থাকলে থাকবে না কেন?

সাংবাদিক ও চিকিৎসকবৃন্দ ঘটনার ভিডিও চিত্র সমূহ পৃথকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন। সব গুলো ভিডিও কয়েকবার দেখেছি, পর্যালোচনা করেছি। দায়িত্বরত চিকিৎসক কখনোই উচ্চস্বরে কথা বলেননি। তিনি যথেষ্ট ধৈর্য্য, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। পক্ষান্তরে সাংবাদিক দুজন বারবার উচ্চস্বরে কথা বলেছেন। তাদের কথা বলার ধরণ দেখে মনে হয়েছে, এটি একটি মগের মুল্লুক। কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়ার্ড রাউন্ড শুরু করার আগে প্রতি রোগীর সাথে একজন এটেন্ডেন্ট ব্যাতিরেকে সবাইকে বের হবার কথা বলেছেন। সবাই বেরিয়ে না গেলে তিনি চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। সেটাই নিয়ম।  সারা দুনিয়ায় সেটাই হয়ে থাকে। সাংবাদিকদ্বয় সেটি শুনতে নারাজ। এখানে তারা স্পষ্টতই সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন, যা আইনত দণ্ডনীয়।  

দিন শেষে বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেখলাম সাংবাদিকদের হেনস্থা করেছে ডাক্তার। অথচ ভিডিও গুলি পর্যালোচনা করলে যে কেউ বলবেন, ডাক্তারকে হেনস্থা করেছে সাংবাদিকরা। আসলেই মগের মুল্লুক। ঘটনা কি ? আর সংবাদ শিরোনাম কি? এসব মগের মুল্লুকের রাজত্ব  থেকে জাতিকে পরিত্রান দেয়া প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিএমএ, এফডিএসএর, বিডিএফ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দেয়া দরকার। কমিটি হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশে ও তাদের দায়িত্ব নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে। সে নীতিমালায় যাতে স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজে বাধা প্রদান না করা হয়, রোগীর অনুমতি ব্যাতিরেকে তাদের ছবি, ভিডিও বা রোগ সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রকাশ বা প্রচার না করা হয়, সেসব বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন। তা না হলে হাসপাতাল সমূহে এ ধরণের অরাজকতা হতেই থাকবে, বাড়তেই থাকবে।  

লেখকঃ প্রবাসী চিকিৎসক, কলামিস্ট।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

প্রথম আলোর পর কী ডেইলি স্টারও বিক্রি হবে?


Thumbnail

এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন।

প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে অনেকেরই  ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী লোক।

এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।

তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।

এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।

আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম। সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায় যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।

ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।

তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।

তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।


প্রথম আলো   ডেইলি স্টার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন