নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০২০
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার মজনুকে নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে, পুলিশ বাহিনী তথা সরকারকে বিব্রত করতে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরু আর ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে কি নতুন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন! এমন প্রশ্ন এখন সামনে চলে এসেছে।
রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতাল এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু নিজেই র্যাবের কাছে একথা স্বীকার করেছে। কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র সারওয়ার বিন কাশেম জানান, কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের আগেও মজনু বেশ কয়েকজনকে ধর্ষণ করেছে। তিনি বলেন, মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। এর আগেও তিনি এই কাজ করেছেন। রাস্তায় প্রতিবন্ধী নারী, ভিক্ষুকদের ধর্ষণ করত মজনু।
র্যাবের এই মুখপাত্র বলেন, ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মজনু আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল ঘটনাস্থলে। মেয়েটিকে জোরপূর্বক সেখান থেকে ধরে নিয়ে যায় সে। এরপর ঝোপের এক পাশে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। এর আগেও একই জায়গায় কয়েকজন নারীকে ধর্ষণ করে সে।
তিনি বলেন, ছবি দেখিয়ে ভিকটিমের কাছ থেকে আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে। ভিকটিম বলেছে, সব চেহারা ভুলে গেলেও এই চেহারা তিনি কোনোদিন ভুলবেন না।
ভিকটিমের কাছ থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত সংস্থার কর্মীরা সন্দেহ করে তারা মজনুকে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করে। ভিকটিমের মোবাইল সেটের অবস্থান সনাক্ত করে তারা অপরাধীর কাছে পৌঁছান। এর পরে তদন্ত সংস্থার কর্মীরা অপরাধীর ছবি ভিকটিমকে দেখিয়ে সনাক্ত করে নিয়ে তার পরেই তাকে ধর্ষণ মামলায় আটক দেখান।
সিরিয়াল কিলার ও ধর্ষক রসু খা’র কথা অনেকের মনে আছে। সীম কার্ড ও টেলিফোন সেটের অবস্থান ট্র্যাকিং করেই রসু খা’কে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। রসু খাঁ হল বাংলাদেশের প্রথম ধারাবাহিক খুনি[ নারীদের হত্যা করার পূর্বে ধর্ষণ করত। সে ১১ জন নারীকে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল। রসু খাঁয়ের হত্যার শিকার নারীরা ছিলেন ১৭ থেকে ৩৫ বছর বয়সের পোশাক কর্মী। রসু মিয়ার আসল নাম রশিদ খাঁ। তার বাবা আবুল হোসেন ওরফে মনু খাঁ ছিলেন একজন খেতমজুর। রসু খাঁর বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামে। ২০১৫ সালে তার ফাঁসি আদেশ দেন মহামান্য আদালত। সেই রাশি খাঁ কি খুব শিক্ষিত সুদর্শন ছিল বা রাজনৈতিক কর্মী ছিল!
প্রথম আলো আর ডেইলি স্টারের মালিক ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি লতিফুর রহমানের মেয়ে ও স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী শাজনীন ধর্ষণ ও হত্যা করে লতিফুর রহমানের গৃহপরিচারক শহিদুল। ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানে লতিফুর রহমানের বাড়িতে খুন হয় শাজনীন।
ভাগ্যিস তখন নুরু ডাকসুর ভিপি ছিলেন না। থাকলে হয়তো বলত স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী শাজনীনকে কেন শহিদুল ধর্ষণ করলো! কেন কোন সুদর্শন কোন পুরুষ বা রাজনৈতিক কোন কর্মী তাঁকে ধর্ষণ আর হত্যা করলো না।
নুরু এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না সাহেব ধর্ষক মজনুর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তলার ইঙ্গিত দিয়েছেন। মানুষের মাঝে সন্দেহের বীজ বপনের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে, মাদক নিলে ‘অমানুষদের’ মানসিক ও শারীরিক শক্তি ভিন্ন মাত্রায় বেড়ে যায়। আমরা দেখেছি যে, ক্যাপ্টাগন ও অ্যাম্ফিটামিন নামের বড়ি উচ্চ ক্ষমতার নেশায় আসক্ত হয়েই আইএস জঙ্গিরা বিবেক বিবেচনা বর্জিত নানা নৃশংসতায় মেতে উঠছে। হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সারা দুনিয়া জুড়ে। এত শক্তি আর সাহসের মূলে ছিল ক্যাপ্টাগন ও অ্যাম্ফিটামিন নামের ওষুধের বড়ি, তা কি নুরু আর মান্না সাহেবরা ভুলে গেছেন না ভুলে থাকার ভান করছেন!
অনেকে মন্তব্য করেছেন যে, ডাকসুতে ঘটানো বিভিন্ন অপকর্মে তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ঠিকাদারের কাজ পাইয়ে দেবার তদ্বির, তথাকথিত আন্টির কাছে টাকা নিয়ে গাড়ি কেনার কথা ছাড়াও টাকা আয়ের নানা ধান্দা, এক লাখ টাকার উপরের ভাড়ায় নিজের জন্য ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা আর তারেক জিয়ার সাথে তার আলাপের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল নামে চারটি আইডির গ্রুপ চ্যাটের কিছু স্ক্রিনশট পায়া গেছে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট গ্রুপটির নাম `টিম ফোর`। এগুলোর মত নানা কেলেঙ্কারির ঘটনা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য কি ভিপি নুরু এগুলো করছেন
জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। বিশ্বজুড়ে চলা `হ্যাশট্যাগ মিটু’তে মান্নার যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছেন দেশি কিছু প্রাক্তন জাসদ-বাসদ কর্মী। একজন প্রাক্তন নারী জাসদ কর্মী বলেছেন, ‘মান্না ভাই এত লম্বা লম্বা নীতি বাক্য দিচ্ছেন। তিনি কি এটা একবার আয়নায় দেখেছেন। এই মিষ্টি কথার আড়ালে যে লুকিয়ে আছে একজন হিংস্র দানব, তা কি নতুন প্রজন্ম জানে?’
ঐ নারী কর্মীর বক্তব্যের সূত্র ধরে এক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জাসদ থেকে বেরিয়ে আ. ফ. ম মাহাবুবুল হকের নেতৃত্বে গঠিত হয় বাসদ। মাহমুদুর রহমান মান্না, আখতারুজ্জামান, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, আলী রিয়াজের মতো তুখোড় ছাত্রনেতারা জাসদ ছেড়ে বাসদে চলে যান। বলা হয়েছিল, ‘ জাসদ সমাজতান্ত্রিক শ্রেণি চরিত্র হারিয়েছে।’
জানা গেছে, বাসদ কোনো আদর্শিক কারণে নয়, স্রেফ মান্নার পরকীয়া এবং লাম্পট্যের কারণে ভেঙেছে। বাসদের আহ্বায়ক প্রয়াত আ.ফ.ম মাহাবুবুল হকের স্ত্রী কামরুন্নাহার বেবীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মান্না। এই সম্পর্কে হাতেনাতে ধরাও পড়েন তিনি। এ সময় নীতি নৈতিকতার প্রশ্নটি সামনে আসে। দলের দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টার নীতি নির্ধারণী সভায় বেরিয়ে আসে মান্নার বিরুদ্ধে একাধিক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ , তাঁর লাম্পট্য। এ সময় মান্নার ‘অরাজনৈতিক সুলভ’ আচরণের জন্য বাসদ ভেঙে বেরিয়ে যান কমরেড খালেকুজ্জামান। ঐ ১৮ ঘণ্টার বৈঠকের বিবরণীতে পাওয়া যায়, মান্নার বিরুদ্ধে ৮ জন নারী ‘অশোভন’ এবং ‘অশ্লীল’ আচরণের অভিযোগে বাসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
পুলিশ বাহিনীর ইমেজ সংকটকে পুঁজি করে, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সমর্থক আইনজীবীদের নানা কারসাজীতে আদালতে মামলার দীর্ঘসূত্রিতায় সৃষ্ট জনমনের ক্ষোভকে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাজে লাগাতে সরকারকে চাপে ফেলে কিছু ‘মালপানি’ আমদানির জন্য নুরু, মান্নারা এগুলো করছেন কি না তা বুঝা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।