নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৮ জানুয়ারী, ২০২০
২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে। তখন বাংলাদেশ হবে ২৪ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ২০১৮ সালে অর্থনীতিবিদগনের ভাষ্য ছিল যে, ২০৩৩ সালে আমাদের পেছনে থাকবে মালয়েশিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ। আগামী ১৫ বছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি গড়ে ৭ শতাংশ বা তার উপরে থাকবে।
এমন বাস্তবতায়, বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ করে সরকারের উন্নয়নকে ব্যাহত করার প্রাণান্ত চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ পিছিয়ে গেলে যাদের লাভ তাঁরাই সরকার আর সরকারী পদক্ষেপ সমূহকে বিতর্কিত করার জন্য জানবাজি চেষ্টা চালাচ্ছে। আশু পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ বিরোধীরা বাংলাদেশ চলমান সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে বেছে নিয়ে সরকার বিরোধীদের মদদ দিচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবরে জানা গেছে যে, অতীতে বিএনপি বা অন্য দল করতেন এমন কিছু আওয়ামী লীগ নেতা যাদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ দুর্নীতির অভিযোগে তাঁরা নিজে বা নিজের লোকেরা দলীয় মনোনয়ন পাননি এমন সব নেতারা নিজেদের মধ্য যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯টিতে ৬৭ জন এবং উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩১টিতে ৩৬ জন বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে অনেককেই টাকা দিয়ে মাঠে সক্রিয় রাখার কৌশল নিয়েছেন।
দল থেকে বারবার সতর্ক করার পরও শতাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী এখনো নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। এর কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল অনুসন্ধান করে দেখেছে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা যারা অন্যদল থেকে আওয়ামী লীগে এসেছে বা যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা দুর্নীতিতে প্রশ্রয়ের অভিযোগ আছে তাঁরা বিদ্রোহীদের ইন্ধন দিচ্ছেন। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত একাধিক নেতা দেশে ফেরার পরেও তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এখনো না দেখতে পাওয়ায় অনেক দুর্নীতিবাজ নেতা উৎসাহিত হয়েছেন বলে জনমনে এই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাঁরা মনে করেন যে, টাকা দিয়ে এসব সন্দেহভাজন কিছু নেতাকে ম্যানেজ করে তাঁদের অবস্থান ঠিক করে নিয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের সম্পাদক-মণ্ডলীর বৈঠকে বিদ্রোহী ও তাদের ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁরা এটাও বলেছেন যে, গত কয়েক বছরে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তেমন কোন কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে সংগঠন বিরোধী কাজে এখনো অনেকে লিপ্ত আছেন। তাই পুরাতন কৌশলে তারা মাফ পাওয়ার চিন্তায় বিভোর। কারণ, অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। সংগঠনের সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নেওয়াদের বহিষ্কারের মত কঠোর পদক্ষেপের কথা বলা হলেও দলের পক্ষ থেকে শেষ পর্যন্ত তা করা হয়নি। বরং পদ বাণিজ্যের মাধ্যমে তাঁরা আরও শক্তিশালী হয়েছেন।
সরস্বতী পূজার দিনে নির্বাচনের নিয়েও অনেক খেলা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগ বিরোধী মনোভাবাপন্ন কর্তাগণ এখন বাঘের মত হুংকার দিচ্ছেন, আইনের দোহাই তুলে। তাঁরা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে কিন্তু এসব কিছুই বলেন নি। ভোটকেন্দ্রও সাধারণত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই হয়। ঢাকার দুই সিটিতে ভোটকেন্দ্র দুই হাজার ২০০টি। এর মধ্যে ৫৪টি প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছরই পূজার আয়োজন করা হয়। ফলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ অনেক কেন্দ্রে এক শ্রেণির ধর্ম বিশ্বাসীদের মনে আঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত এর পরবর্তী বক্তব্য অনেকাংশেই সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। অনেকে ভাবতে শুরু করেছেন যে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিতর্কিত তারিখ ঘোষণার ফলে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এর পিছনে কোন ষড়যন্ত্র আছে কি না বা কারা কাজ করছেন তা নিয়ে এখন গোয়েন্দারা কাজ করছেন। ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যারা চট্টগ্রাম -৮ আসনের উপনির্বাচনে তেমন সুবিধা করতে পারেনি নি, তারা এবার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে রাজনীতির মাঠ ঘোলা করার পাঁয়তারা করছে। এখানে টাকার কোন খেলা আছে কি না তাও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পূজার দিনে সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ, ইভিএমএর ব্যবহার, বিএনপি মনোনীত দক্ষিণের মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা এবং সবশেষে নির্বাচনের দিন এজেন্টের স্বল্পতার কারণে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভয় ভীতি দেখানোর মিথ্যা অজুহাত কিংবা টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কমিশনার প্রার্থীদের দিয়ে শেষ মুহূর্তে ভোট কেন্দ্রে গোলমাল বাঁধিয়ে গতবারের মত নির্বাচনের দিন মাঝ দুপুরে নির্বাচন বয়কটের মত ঘোষণা আসবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। এদিকে গ্রেফতারী পরোয়ানা পেয়ে দেশের একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকের সম্পাদক ও তার সহযোগীদের নিয়ে আওয়ামী বিরোধী বুদ্ধিজীবীগণ বিবৃতির প্লাটফরমে এক হয়েছেন। তাঁদের কারো কারো সাথে স্বাধীনতা বিরোধী আর লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতার যোগাযোগ অনেক পুরাতন, যা চাঙ্গা হবার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। অবস্থা বুঝে বিএনপি’র লন্ডনে পলাতক নেতা এই সুযোগ লুফে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। কারণ লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতার মনোনয়ন বাণিজ্য যা হবার তা হয়ে গেছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জয়লাভ করলেও সরকার পতনের কোন সম্ভাবনা নেই। সিটি নির্বাচনে কয়েকটি কমিশনার পদে জয়লাভ করা ছাড়া বিএনপি’র হাতে তেমন ভালো কোন ফল আসার সম্ভাবনা নেই তা সহজেই অনুমান করা যায়। তাই নির্বাচন বয়কট করে আন্তর্জাতিক দেশে পরিমণ্ডলে সরকারকে বিব্রত করে উন্নয়ন যাত্রাকে ব্যাহত করার নীল নক্সা চূড়ান্ত হবার তথ্য পাওয়া গেছে। নীল নকশা বাস্তবায়নে ষড়যন্ত্রকারীরা কতটুকু সফল হয় তা দেখতে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
১৯৯৮ সাল। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকুরী করি। স্থানীয় চাইনিজ রেস্তোরাতে একটি সেমিনার হবে। ঢাকা থেকে ওষুধ কোম্পানির এক কর্মকর্তা এসেছেন। তিনি একই মেডিকেলে আমার এক বছরের সিনিয়র। বেশ খাতিরের বড় ভাই। তিনি তাঁর ব্যাগ থেকে একটি যন্ত্র বের করলেন। যন্ত্রটি অন করার পর দেখি সেটি একটি কম্পিউটার। কোন তার ছাড়া কম্পিউটার। জিজ্ঞেস করলাম, ভাই কি জিনিস এটা, নাম কি ? বললেন, ল্যাপটপ। জীবনে এই প্রথম আমার ল্যাপটপ দেখা। তবে নাম শুনেছি এর তিন বছর আগে, ১৯৯৫ সালে। যখন নাম শুনেছি, তখন বুঝিনি জিনিসটা কি ?
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।