নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪০ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২০
৩৭ দফা মেয়র প্রার্থীর থাকতে পারে , কিন্তু একজন ভোটার বা রাজধানীবাসি হিসেবে মেয়রদের কাছে আমার দাবি একদফা। আর সেটা হচ্ছে ‘‘নাগরিক সেবা’’। কথাটা বলতেই হলো সিটি নির্বাচনে ঢাকার উত্তরের মেয়র র্প্রাথী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী ইশতেহার পেয়ে। আতিকুল ইসলামের নয় মাস সিটি করপোরেশন চালানোর অভিজ্ঞতা আছে। অবিভক্ত ঢাকার সরাসরি নির্বাচনে জয়ী হয়ে যে দুজন মেয়র দায়িত্ব পালন করে প্রয়াত হয়েছেন সেই মোহাম্মদ হানিফ ও সাদেক হোসেন খোকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই বলা যায় , তারা দুজন দুটি করে দলীয় সরকারের আমলে মেয়াদের থেকে বেশি সময় মেয়র থেকেও রাজধানীবাসীর সকল নাগরিক সেবা নিশ্চি করতে পারেন নি। এখন পর্যন্ত মেয়র হিসেবে আমরা প্রয়াত আনিসুল হকের কথাই বলি। কিন্তু সেই উদাহরন অনুসরন করে এবারের নির্বাচনে জয়ী হয়ে যে দুজন দায়িত্ব নিবেন ‘খণ্ডিত নগরপিতা’ হিসেবে তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
রবিবার উত্তরে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম তার নির্বাচনী ইশতে হারে ৩৭ দফার কথা বলেছেন। আর এই দফাগুলোর মধ্যে মোটা দাগে আছে তিনটি বিষয়। ক. সচল ঢাকা খ. সুস্থ ঢাকা এবং গ. আধুনিক ঢাকা। সচল ঢাকা নির্মাণের জন্য ১৪টি , একটি সুস্থ ঢাকার জন্য ১৩টি এবং আধূনিক ঢাকার জন্য ১০টি মিলিয়ে মোট ৩৭টি প্রতিশ্রুতি। নিশ্চিত হয়ে বলা যায় এই ৩৭টি দফার প্রতিটি বাস্তবায়নই এক একটি চ্যালেঞ্জ। ‘‘নগর সরকারের’’ বহুল উচ্চারিত,আলোচিত এবং ক্ষমতাসীনদের কাছে উপেক্ষিত বিষয়টিকে সামনে আনতে চাই না। কিন্তু ঢাকার দুই মেয়রের পক্ষে যানজট নিরসন সম্ভব কি না , বিরাট প্রশ্ন। যানজট নিরসনের দায়িত্ব প্রাপ্ত DMP ,BRTA , DTCA, DSCC এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে যত সমন্বয়ের কথাই বলা হোক না কেন, বাস্তবে তা প্রায় অসম্ভব যদি না সরকারের শীর্ষমহল যানজট নিরসনে আন্তরিক না হয় । আর এখন মেট্রোরেলের যে মূলা রাজধানীবাসীর সামনে ঝুলছে তার সুফল পেতে ২০২০ সালে নির্বাচিত মেয়দের মেয়াদ শেষ হবে , কিন্তু যানজট নিরসন হবে না। বাসরুটের ফ্রাঞ্চচাইজির তত্ব প্রয়াত মেযর আনিসুল হক সামনে এনেছিলেন , তা তার প্রয়ানের সাথে সাথে প্রয়াত না হলেও খুব বেশিদুর যে আগায়নি তাতো স্পষ্ট। এই প্রক্রিয়ার কাছে জড়িত একজন বিশেষজ্ঞের কাছে প্রশ্ন ছিল ঐ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে ঢাকায় কয়েকহাজার বাস চলাচল কমাতে হবে , মালিকপক্ষ কি তাতে রাজী হবে? একজন মালিকের উপিস্থতেই সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। আতিকুল ইসলাম বলেছেন রাজধানী ঢাকায় তিনি আলাদা সাইকেল লেন ও সাইকেলের পার্কিং তৈরী করতে চান। হয়তো তিনি সিরিয়াস ,কারন আতিকুল ইসলামকে সাইকেল চালিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে দেখেছে ভোটাররা। কিন্তু একটি প্রায় অসম্ভব বিষয় , যদি এটাতে আংশিকভাবেও তিনি সফল হন , তাহলে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের পরিবেশবাদীদের কাছে প্রশংসিত হবেন। কিন্তু ৩৭ দফায় যে অবৈধ রিক্সার কোনো উল্লেখ নাই , তার কি হবে?
সচল ঢাকা রাজধানীর হকারদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের কথা আছে আতিকুল ইসলামের ইশতেহারে , খুবই কঠিন কাজ। অনেক হুংকার দিয়েও দক্ষিণ সিটির বিদায়ী মেয়র সাঈদ খোকন কিছুই করতে পারেন নাই। আমরা মেয়র আতিক জয়ী হলে খুব করে চেপে ধরবো এই প্রতিশ্রুতিটি দ্রুত বাস্তবায়নে। হকার লীগ তখন তার সাথে থাকবে কি না সে সম্পর্কে সন্দেহ রেখেই দিলাম। বায়ুদুষনে রেকর্ডতম প্রথম স্থান অধিকারী একটি মহানগরের মেয়র প্রার্থী যখন বায়ুদূষনরোধে ইলেকট্রিক বাস সার্ভিস চালু করতে চান, তখন আমরা আশাবাদী হতে চাই। ‘‘সবার ঢাকা’’ নামের এ্যাপস দিয়ে নাগরিকদের অভিযোগ গ্রহন ও সার্বক্ষণিক তদারকিসহসব নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা, যেখানে মেয়রের সঙ্গে নাগরিকদের সরাসরি যোগাযোগ থাকবে বলে আতিকুল ইসলাম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা তার বাস্তবায়ন চাইবো। কিন্তু তার আগে বলবো গান গেয়ে, চা বানিয়ে খাইয়ে, ক্রিকেট খেলে,সাইকেল চালিয়ে ভোটের প্রচার যত সহজ, তার থেকে কঠিন বিজয়ী হওয়া । আর তারও চেয়ে শতগুন কঠিন মেয়র হিসেবে সফল হওয়া। তারপরও শুভকামনা রইলো আতিকুল ইসলামের জন্য।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
১৯৯৮ সাল। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকুরী করি। স্থানীয় চাইনিজ রেস্তোরাতে একটি সেমিনার হবে। ঢাকা থেকে ওষুধ কোম্পানির এক কর্মকর্তা এসেছেন। তিনি একই মেডিকেলে আমার এক বছরের সিনিয়র। বেশ খাতিরের বড় ভাই। তিনি তাঁর ব্যাগ থেকে একটি যন্ত্র বের করলেন। যন্ত্রটি অন করার পর দেখি সেটি একটি কম্পিউটার। কোন তার ছাড়া কম্পিউটার। জিজ্ঞেস করলাম, ভাই কি জিনিস এটা, নাম কি ? বললেন, ল্যাপটপ। জীবনে এই প্রথম আমার ল্যাপটপ দেখা। তবে নাম শুনেছি এর তিন বছর আগে, ১৯৯৫ সালে। যখন নাম শুনেছি, তখন বুঝিনি জিনিসটা কি ?
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।