নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
ভারতের দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির দুর্দান্ত বিজয়ের পরে রহস্যমানব-প্রশান্ত কিশোরের নাম উড়ছে ভারত ও তার আশেপাশের দেশ জুড়ে। এর হাওয়া বাইরে লেগেছে কি না তা পুরোপুরি জানা যায়নি। যা হউক এই পলিটিক্যাল কনসালটেন্সি বেশ জমে উঠেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক দলগুলোর মাঝে, যার গুরু হচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর।
বিরোধীর পাতা ফাঁদ এড়িয়ে, হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণের চক্রে না পড়ে, জাতীয় ইস্যুতে ছটফটানি না দেখিয়ে নাগরিক সেবার ওপর জোর দিয়ে কীভাবে নির্বাচনে জিততে হয় তার দেখিয়ে দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল কিন্তু পিছনে ছিলেন সেই প্রশান্ত কিশোর।
প্রশান্ত কিশোর যার পাশে আছেন তিনি জিতবেন, ভোট কেন্দ্রিক এমন বিশ্বাস তৈরি হয়েছে তাঁকে ঘিরে গোটা ভারত জুড়ে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার, কংগ্রেস-প্রধান রাহুল গান্ধী, পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা কাম মুখ্যমন্ত্রী অমেরেন্দ্র সিং আর হালের চমক অন্ধ্রের জগন (জগন মোহন রেড্ডি)—সবাই তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন। রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথা পুরোপুরি না শোনার ফলে পুরো ফল পাননি বলে বলা হয়।
২০১২ সালে মোদীর গুজরাট বিধানসভা ভোটের হাল ধরেন প্রশান্ত কিশোর। সবাইকে তাক লাগিয়ে জিতিয়ে দেন হারের প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা চিন্তিত মোদী আর তাঁর দল বিজেপিকে।
ইতিহাস বলছে, সত্যিকারের পলিটিক্যাল কন্সাল্ট্যান্ট বা রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা ক্যাম্পেইনস, ইনক ১৯৩০ - ১৯৫০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় রাজনৈতিক প্রচারে একচেটিয়া দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল। এর পরে অন্য দেশেও এমন রাজনৈতিক পরামর্শদাতার কাজ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের মত এতগুলো সাফল্যের পালক কারো প্রতিষ্ঠানের গায়ে লাগার খবর মিডিয়ায় আসতে দেখা যায়নি। বিলেতের পলিটিক্যাল কন্সাল্টিং প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ এনালিটিকা ২০১৩ সালে কাজ শুরু করলেও ২০১৮ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়।
রাজনৈতিক পরামর্শদাতারা রাজনৈতিক প্রার্থীদের নির্বাচনের প্রচারণায় কাজ করেন। তারা প্রার্থীদের মিডিয়া কৌশল বিকাশ করতে, জনগণের কাছে তাদের প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যাখ্যা করতে, বিজ্ঞাপন তৈরি করতে, বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া জানাতে বা তহবিল সংগ্রহে জড়িত হতে সহায়তা করতে পারে। অন্যান্য পরামর্শদাতারা গবেষণা বা পোলিংয়ে কাজ করতে পারেন। প্রাক্তন চাকরির ক্ষেত্রে, তারা প্রচারণা বা প্রার্থীর বিরোধী প্রধান সমস্যাগুলি তদন্ত করে থাকে, এবং পরবর্তী সময়ে তারা জনসাধারণকে জিজ্ঞাসা করে যে প্রার্থী সম্পর্কে তাদের কী অনুভূতি রয়েছে। একই দলের নির্বাচনী প্রচারণায় এলাকা ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে দেখা যেতে পারে।
বাংলাদেশে ভারতের বিহারের প্রশান্ত কিশোরের মত পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট বা ‘রাজনৈতিক কৌশল রচয়িতা’ এখনো দেখা পাওয়া না গেলেও প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক কৌশলের লোকাল ভার্সন করে নিয়েছে বাংলার বাঙ্গালিরা। কমিটি বাণিজ্য, পদ বাণিজ্য আর মনোনয়ন বাণিজ্য করে টাকা কামিয়েছেন বেশুমার। তার অভিযোগ সরকারী দলের চেয়ে বিরোধী দলের উপর কোন অংশেই কম না। তারেক রহমান ২০১৮ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ক্যামব্রিজ এনালিটিকার সাথে সহায়তার চুক্তি করলেও কাজ করতে পারেনি ক্যামব্রিজ এনালিটিকা।
নির্বাচন এলেই আমাদের দেশে টাকার হলি খেলা চলে। শেখ হাসিনার কারণে মনোনয়ন বাণিজ্যে সরকারী দলে খুব বেশি সুবিধা না করতে পারলেও খালেদা জিয়া জেলে থাকার কারণে তারেক জিয়ার `বাণিজ্যে লক্ষ্মী বসতি` গড়েছে। এখানে তারেক জিয়ার মনোপলি চলে। বিগত সিটি নির্বাচনেও তা দেখা গেছে, সামনের উপনির্বাচনেও তাঁর ব্যতিক্রম হবে না বলে অনেকে মনে করেন।
প্রশান্ত কিশোর ভারতের নানা রাজ্যে নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন। যার মূলে হচ্ছে সংগঠনের মাঠ পর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্যে, তাঁদের পরামর্শ, আর তাঁর বিশ্লেষণ করে নতুন সাংগঠনিক আর নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ। বঙ্গবন্ধুর এক দৌহিত্র সিআরআই নিয়ে কাজ করছেন, আরেকজনও নানা গবেষণা করে চলেছেন। তাঁরা দুজনেই মাঠ পর্যায় থেকে দলীয় কর্মকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহের জন্য মেইল নাম্বার দিয়েছেন, কর্মীদের। তাই এই দুইজনের কাজ দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন একজন প্রশান্ত কিশোরের খোঁজ করছেন। সময় বলবে কী হয়।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর