নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২০
ডা: ফেরদৌস খন্দকার নিউ ইয়র্ক ও বাংলাদেশে হালের একজন চরম আলোচিত ব্যক্তি। ডা:ফেরদৌস খন্দকারকে নিয়ে অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে? ডা: ফেরদৌস নিজে যৌন চিকিৎসক হয়েও,বর্তমান বিশ্বের মহামারী করোনা ভাইরাস এর একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে সকাল, দুপুর, বিকেল ও রাত্রে অনেক বক্তব্য দিয়েছেন। আর এই বক্তব্যে আমেরিকাকে “হেয়” করে বাংলাদেশকে অনেক অনেক “হাইলাইট” করেছেন। কিন্তু কেন সেটা করেছেন আমেরিকা প্রবাসী বাঙ্গালীদের কাছে তা বোধগম্য নয়? মনে হয়েছিল তিনি যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার করোনা রোগীকে সুস্থতা দান করে বাংলাদেশকে করোনামুক্ত করতে গিয়েছিলেন? কিন্তু না তিনি বিশ্বের একজন প্রভাবশালী ডাক্তার হিসেবে বাংলাদেশে গিয়ে গোয়েন্দাদের হাতে অনেক বিড়ম্বনার স্বীকার হয়েছেন। এটা ওনার নিজের বক্তব্য। এদিকে তাকে নিয়ে আমেরিকার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিনিয়ত অনেক গোপন তথ্য প্রকাশ হচ্ছে।
১। প্রবাসের অত্যন্ত পরিচিত ও বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব নাজমুল আহসান তার পত্রিকার হেড লাইন লালকালিতে লিখেছেন-এক ডজনেরও অধিক নারী যৌন সমস্যায় ডা: ফেরদৌসের নিকট হয়রানির স্বীকার হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং তার লাইসেন্স Revoked.
২। বিশিষ্ট সাংবাদিক তাসের মাহমুদ ও দর্পণ কবির একই কথা লিখেছেন (আবার অনেক ভক্ত সাংবাদিকদের “সাংঘাতিক” বলে ও মন্তব্য করেছেন)।
৩। ডা: ফেরদৌস আসলে পাকিস্তানি আমেরিকান। পাকিস্তানের নাগরিকের প্রমাণ হিসেবে তার আমেরিকান পাসপোর্টের কপি আমেরিকায় ভাইরাল হয়েছে।
প্রশ্ন হল ডা: ফেরদৌস খন্দকার যেখানে সকাল, বিকাল, দুপুর, সন্ধ্যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতেন? তিনি এখন New Yorkএ তবুও কেন তিনি এই সমস্ত অপপ্রচারের (!) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন না? সত্য মিথ্যার উপর তার একটি প্রতিবেদন আসলে সব কিছু পরিষ্কার হতো বলে অনেকে মনে করেন। ডা: ফেরদৌসকে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অগ্নিঝরা বক্তব্য দিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি- নুর, চট্টগ্রাম এক ডাক্তার ও একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাদের এই বক্তব্যগুলি প্রতিহিংসা পরায়ণ ছিল বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন। আবার কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন (ডা: ফেরদৌসের ভক্তগণ) তাকে নিয়ে এত তামাশা কেন? আমরা সবাই জানি পাকিস্তান বাংলাদেশের একটি চির শক্র দেশ ও জঈীবাদের মদদ দাতা। তারা কখনই বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না। ডা: ফেরদৌস খন্দকার একজন পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়ে তার সত্যতা স্বীকার করে শপথের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন। সেটা কখন? বাংলাদেশের স্বাধীনতার অনেক পরে! ১৯৭১ এর পূর্বে হলেও কোন কথা ছিল না, এক্ষেত্রে তাকে কি বাংলাদেশের নাগরিক বলা যাবে? এটা অনেকের প্রশ্ন?
যারা বিদেশে অবস্থান করেন তাঁদের সকলের মুল পরিচিতি হল একটা পাসপোর্ট। সেই পাসপোর্টই একজন নাগরিকের সকল পরিচয় বহন করে। সেই পাসপোর্টে যদি পাকিস্তানি-আমেরিকান নাগরিকের একজনের হয়? আর তিনি যদি তার সাথে যদি ৮/১০টি লাগেজ থাকে? তখন গোয়েন্দা কর্মকর্তাগন কি করবেন? আমরা জানিনা তার এই পাসপোর্টের কপি সঠিক কিনা। যদি সঠিক হয় তা হলে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বা বাংলাদেশ সরকারের কি করনীয়? একই প্রশ্ন সকল ফেরদৌস ভক্তদের কাছে? পাসপোর্টের কপি সত্য না হলে তাঁরা প্রতিবাদ করেন না কেন?
এবার আসুন রাজনৈতিক নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক। ডা: ফেরদৌস নিজেও বলেছেন অন্যরা ও জোরাল বক্তব্য দিয়েছেন তিনি ছাত্রলীগ করতেন। তিনি যখন ছাত্রলীগ করতেন? তখন কি তিনি বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন, সেটা কেউ পরিষ্কার করে বলেন নি? কারণ সেই সময়টা ছিল পাকিস্তানপন্থী তাবেদার সরকারের সময়। তা হলে ডা: ফেরদৌস কেন জন্ম সনদ গোপন রেখেছিলেন? এখানে মেডিকেল কলেজও তাদের দায় এড়াতে পারেন না? তারাও কী জন্ম সনদ গোপন করেছেন? এখন প্রশ্ন হল তখনকার সরকার কি আওয়ামী লীগের ছিল না বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা সামরিক কায়দায় ক্ষমতায় ছিল তারা? এখানে কি প্রতীয়মান হয়না যে ফেরদৌস খন্দকার সব কিছু সজ্ঞানে সব কিছু গোপন রেখে ছাত্রলীগ করেছেন? যদি করে থাকেন তার রহস্য কি? এখানে আরো অনেক প্রশ্ন এসে যায়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন বসবাস করে কোন দিন আওয়ামী লীগের কোন মিছিল মিটিং এ না এসে হঠাৎ কি করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান? ড. সিদ্দিকুর রহমান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে কীভাবে একজন পাকিস্তানি নাগরিককে আওয়ামী লীগের কমিটিতে মনোনয়ন দেন এবং সরাসরি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন? আমেরিকায় জনশ্রুতি আছে ডা: ফেরদৌস সব কিছু গোপন রেখে ড. সিদ্দিককে ১০ বা ২০,০০০/- হাজার ডলার প্রদানের মাধ্যমে উপদেষ্টার পদ খরিদ করেছিলেন, কিন্তু ধরে রাখতে পারেন নি। আর ড. সিদ্দিকও সেটা বিক্রি করে ছিলেন। ড. সিদ্দিকের এই দোষ বা ডলারের নেশা সব সময়েই ছিল তা আমেরিকার বাঙ্গালী কমিউনিটির সবাই জানেন। গত কমিটি হওয়ার সময় অনেককে ফোন করে ড. সিদ্দিক বলেছিল তিনি আওয়ামী লীগের কোন পদে থাকতে চান কি না? কমিটিতে থাকতে হলে তার সাথে দেখা করতে হবে?
আমেরিকায় অনেকে আছেন যারা ১৯৬৬ সাল থেকে জাতির জনককে ভালবেসে আওয়ামী লীগ করেন। ১৯৬৯ এর গন-আন্দোলনে যারা ৩০২ ধারা মামলার আসামী হয়ে পলাতক ছিলেন। ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ করে বাড়ি ঘর হারিয়েছেন, এখনও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ঠিকানা পত্রিকায় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছেন অনেকেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের উপর সিডি বের করেছেন কলকাতা থেকে। তারা কি কারো বাসায় গিয়ে টাকা দিয়ে আওয়ামী লীগের পদ নেবেন! তাই বঙ্গবন্ধু প্রেমিক অনেকের নামই আওয়ামী লীগের কমিটিতে আসেনি। তাঁদের কোন দুঃখ নেই,, তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, তাঁদের বড় পদ ও পরিচয় হল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একজন গর্বিত সৈনিক! আওয়ামী লীগের রাজনীতি, ছাত্রলীগের রাজনীতি, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ ছাড়াই ড. সিদ্দিকদের মত মানুষেরা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি হন, পদ বাণিজ্যের মাধ্যমে দলকে, আদর্শকে বিতর্কিত করেন।
বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকেই মনে করেন, যেহেতু ডা: ফেরদৌস এখন যুক্তরাষ্ট্রে তাই তার পক্ষে এসব কথার বিরুদ্ধে টেলিভিশন বা ইউটিউব বা ফেসবুক লাইভে এসে তিনি তার সাঙ্গপাঙ্গরা, সমর্থকগণ নিয়ে এসব প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলবেন, সত্য প্রকাশিত হবে। পরিশেষে ডা: ফেরদৌস খোন্দকারের ভক্তদের উদ্দেশে একটা কথা হচ্ছে ডা. সাহেবের পাসপোর্টের জন্মসনদ পাকিস্তানের সেক্ষেত্রে যদি উনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে“ডুয়েল সিটিজেনশিপ”এর দরখাস্ত করেন তাহলে বা আদালতের মাধ্যমে এলেও তিনি আমেরিকার পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে পারেন অথবা তার পাসপোর্টে নো ভিসা রিকুয়ার্ড সীল পড়তে পারে।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর
‘এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।/তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে/ বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক/যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি/ অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক/ মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ অর্থাৎ ১৪৩১ বঙ্গাব্দে পুরাতন স্মৃতি মুছে যাক, দূরে চলে যাক ভুলে যাওয়া স্মৃতি, অশ্রুঝরার দিনও সুদূরে মিলাক। আমাদের জীবন থেকে বিগত বছরের ব্যর্থতার গ্লানি ও জরা মুছে যাক, ঘুচে যাক; নববর্ষে পুরাতন বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক। রমজান ও ঈদের পর দেশের মানুষের জীবনে আরো একটি উৎসবের ব্যস্ততা নতুন বছরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় উদ্ভাসিত।ফিলিস্তিনবাসীর উপর হামলা আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে এর মধ্যে মারা গেছেন অসংখ্য মানুষ।তবু মৃত্যুর মিছিলে জীবনের গান ফুল হয়ে ফুটেছে। যুদ্ধের সংকট আমাদের পরাস্ত করতে পারেনি কারণ পৃথিবীর মৃত্যু উপত্যকা পেরিয়ে এদেশে বৈশাখ এসেছে নতুন সাজে।