নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১২ জুলাই, ২০২০
জেকেজি আর রিজেন্ট হাসপাতাল এই দুইটায় ভুয়া করোনা রিপোর্ট ইস্যু আর স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন দপ্তরে বিশেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের দুর্নীতি নিয়ে দেশে বিদেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের কোন মন্ত্রণালয় আর তার অধীনস্থ সকল দপ্তরের প্রশাসনিক ও একাউন্টিং চীফ হচ্ছেন সচিব (RULES OF BUSINESS 1998 (Revised up to 2012 এর Chapter I, Rule no. 4 (iv) ও Rule no. 4 (v)) , মন্ত্রী নন। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর আওতাধীন মন্ত্রণালয় বাদে সব মন্ত্রণালয়ের ভালো মন্দের দায় ভার সেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবের। কিন্তু কিছু নষ্ট আমলা, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী নামধারী প্রতারকের সাথে কিছু নষ্ট মিডিয়া কর্মী আর ভ্রষ্ট রাজনীতিক মিলে কামিনী, কাঞ্চন আর নেশার ঘরে মাতাল হয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। আর এর সব দায় কৌশলে প্রশাসনের রাজনৈতিক অংশের উপর চাপানো হচ্ছে। কেউ কেউ তো আদালতের মত রায় দিয়ে দিচ্ছেন, এর জন্য সরকারের প্রশাসনের রাজনৈতিক অমুক, তমুক দায়ী। তাঁদের এটা করা উচিত, সেটা করা উচিত, ইত্যাদি, ইত্যাদি।
আসুন আমরা দেখে নিই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার কারণ কী, আর এই সব কারণের প্রতিকারে সরকারের দায় কতটুকু। কী করার ছিল সরকারের যা সরকারের রাজনৈতিক অংশ করেন নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালে নিম্নমানের সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের ফলে অনেক ডাক্তার আর মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের মৃত্যুর পরে তাঁদের পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তার রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টির অভাব, নিম্নমানের যন্ত্রপাতি আর রিএজেন্ট, অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনবলের অভাব, বেসরকারি হাসপাতালে গলাকাটা বিল, স্বাস্থ্য সেবা খাতে নিযুক্তদের বিশ্বে স্বাস্থ্য খাতের সর্বশেষ অগ্রগতির খবর না রাখা, দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে এই খাতের পরিসেবা নিয়ে আস্থার চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
১০ জুলাই তারিখের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত হাসপাতালগুলোর ৭২% শয্যা ও আইসিইউ ৬৫% ফাঁকা রয়ে গেছে। যার ফলে সরকারী হিসেবে প্রায় ২৩০০ কাছাকাছি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এই সংখ্যার প্রায় ৯৫% রোগী মারা গেছেন বাসায়, কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তির সীট খুঁজতে খুঁজতে অথবা মৃত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর বাইরে প্রায় সম পরিমাণ মানুষ সারা দেশে মারা গেছেন করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বলে বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে জানা গেছে। যদিও তাঁদের বিরাট অংশের অন্যান্য জটিল অসুখ ছিল।
বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে: নির্বাহী বিভাগ বা শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। এরা সবাই স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে বিচার বিভাগ এখন পুরোপুরি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা বিষয়ক নীতিটিকে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী এবং ১৯৭৯ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে একধরণের পরিবর্তন করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিচারকদের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনীতে ১১৬(ক) নামে একটি নতুন অনুচ্ছেদ সংযোজন করা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনীর ১১৬(ক) নামে এ নতুন অনুচ্ছেদটি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীগণকে বিচারকার্য পরিচালনার ক্ষেতে বিশেষ স্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বিচার বিভাগ স্বাধীনকরণের উদ্দেশ্যে ২০০৭-০৮ সময়ে ও পরে বেশকিছু আইন সংশোধন ও নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে অপরাধীর শাস্তি বিধান কে করবে? বিচার করবে কে? শাসন বিভাগ না আইন বিভাগ না বিচার বিভাগ? অবশ্যই বিচার বিভাগ। আইন বিভাগের কাজ নতুন আইন প্রয়োজন বা বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা। আর প্রশাসনে কাজ হচ্ছে অপরাধের মাত্রা ও গুরুত্ব অনুধাবন করে বড় জোর দ্রুত বিচার আইনে বিচারের জন্য বিচার বিভাগে অর্থাৎ আদালতে মামলা রজ্জু করা, রায় কার্যকর করা।
এর বাইরে আছে সংবিধানের মূল স্পিরিট দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এটি অন্য দেশের মত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান না হলেও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের কাজও অপরাধের তদন্ত করে বিচারের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করা।
দুর্নীতি বা অপরাধের বিচারে বা অপরাধীর শাস্তি বিধানে সরকার তথা প্রশাসনের কতটুকু ক্ষমতা আছে তা খতিয়ে দেখলে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া শুধু হতাশার চিত্র পাওয়া যায়। ফেনীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের শরীরে আগুন দিয়ে হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে করা মামলা ছাড়াও কিছু শিশু হত্যা বা ধর্ষণ মামলা মহামান্য আদালত দ্রুত নিষ্পত্তি করেছেন।
কিন্তু ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে। তাতে আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ প্রাণ হারান ২৪ জন। শেখ হাসিনা সহ বেশ কিছু নেতা কর্মী অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। দীর্ঘ ১৪ বছর পর আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়। কিন্তু রায় এখনো কার্যকর করা যায় নি।
বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ২০০৭-২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শুরু করা হয় দ্রুত বিচার আইনে। এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ারও কথা ছিল ৬০ কর্ম-দিবসের মধ্যেই। কিন্তু মামলাটির রায় আসতে সময় লেগেছে ১০ বছর। অর্থাৎ ৬০ কর্ম-দিবসের পরিবর্তে ২৬১ কর্ম-দিবস। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের চাইতে ২০১ দিন সময় বেশি লেগেছিল মামলাটি বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তি করতে। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এই বিচারিক আদালতের বাইরেও ১৩বার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে এবং মামলা বাতিলের দাবি জানিয়ে। এটা করেছেন এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার দলের আইনজীবীরা। ফলে এটা প্রমাণিত সত্য যে হত্যা বা দুর্নীতি মামলা বিলম্বিত করে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বাঁধা সৃষ্টি করেন রুমিন ফারহানার দল বিএনপি বা তাদের রাজনৈতিক জোটের পক্ষের আইনজীবীরা।
রুমানা ফারহানা তাঁর ফেসবুক পেজে বলেছেন, সরকার অনুমোদিত হাসপাতাল জেকেজি আর রিজেন্ট হাসপাতাল এই দুইটায় ভুয়া করোনা রিপোর্ট দিয়েছে ২১,০০০+। এছাড়াও তিনি একটা শিশুর বক্তব্যের ভিডিও দিয়েছেন যাতে জেকেজি আর রিজেন্ট হাসপাতাল অপকর্মের জন্য দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা না নেওয়ার দায় কৌশলে সরকারের রাজনৈতিক অংশের উপর চাপানোর জন্য শিশুর বক্তব্যকে ব্যবহার করেছেন। এর দায় সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা রুমিন ফারহানাদের অপকৌশল আর অপ-প্রচার। যার মাধ্যমে দেশের মানুষের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি করা যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনের অপরাধ।
দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ, দেশপ্রেমিক আমলা, দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী আর নাগরিক অধিকার ও নাগরিক দায়িত্ব সচেতন দেশের জনগণ ছাড়া কোন দেশের সার্বিক উন্নয়ন আশা করা যায় না। জানি না আমাদের সেই প্রত্যাশা কবে পূরণ হবে!
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
১৯৯৮ সাল। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকুরী করি। স্থানীয় চাইনিজ রেস্তোরাতে একটি সেমিনার হবে। ঢাকা থেকে ওষুধ কোম্পানির এক কর্মকর্তা এসেছেন। তিনি একই মেডিকেলে আমার এক বছরের সিনিয়র। বেশ খাতিরের বড় ভাই। তিনি তাঁর ব্যাগ থেকে একটি যন্ত্র বের করলেন। যন্ত্রটি অন করার পর দেখি সেটি একটি কম্পিউটার। কোন তার ছাড়া কম্পিউটার। জিজ্ঞেস করলাম, ভাই কি জিনিস এটা, নাম কি ? বললেন, ল্যাপটপ। জীবনে এই প্রথম আমার ল্যাপটপ দেখা। তবে নাম শুনেছি এর তিন বছর আগে, ১৯৯৫ সালে। যখন নাম শুনেছি, তখন বুঝিনি জিনিসটা কি ?
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।