নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ০৮ অগাস্ট, ২০২০
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তখন তিনি যে কাজগুলোতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করা। এ জন্য তিনি নিরন্তর কাজ করেছেন এবং করছেন। তিনি যে এ কাজে সফল হয়েছেন সেটা কারও অজানা নয়। সমগ্র বিশ্ব এর স্বীকৃতিও দিয়েছে। কিন্তু ২০০১ এ বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে, তখন দেশরত্ন শেখ হাসিনার নীতি থেকে উল্টো পথে চলতে শুরু করে। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার বদলে তারা আরও পিছিয়ে দেয়। তখনকার অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আলাপ করে একটি ফিলোসফি গ্রহণ করেন। সেটি হচ্ছে, দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে আছে, এটা আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ করা যাবে না। বরং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্দশাগ্রস্ত প্রমাণ করতে হবে। তা না হলে আমরা লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রি হিসেবে যেসব সুযোগ সুবিধা পাই সেগুলো থেকে বঞ্চিত হবো। অর্থাৎ বিএনপির ফিলোসফি ছিল তারা ভিক্ষা পেলেই হলো, দেশের মর্যাদা বাড়াবার কোনো প্রয়োজন নাই। দুর্ভাগ্যবশত করোনার এই সংকটে আমাদের কিছু আমলা ঠিক বিএনপি আমলের সেই ধ্যানধারণা নিয়ে চলছেন এবং দেশকে ফকির প্রমাণিত করার চেষ্টা করছেন।
আমরা লক্ষ্য করছি যে, আমাদের স্বাস্থ্য খাতের অনেকেই প্রয়োজনীয় কাজগুলো না করে অতিকথনে বেশ পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। একটি উদাহরণ দেই, আমি বাংলাদেশে মেডিকেল রিসার্স কাউন্সিলের (বিএমআরসি)র সভাপতি। আমরা বিএমআরসির পক্ষ থেকে চীনের একটি কোম্পানিকে তাদের ভ্যাকসিনের থার্ড ফেজের পরীক্ষা বাংলাদেশে চালানোর ব্যাপারে ইথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স দেই। ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার আগে আমরা বিএমআরসির পক্ষ থেকে সমস্ত বিষয় পুংখানুপুংখভাবে পড়ে দেখেছি। এমনকি স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিদের সাথে কথাও বলেছি। পররাষ্ট্র দপ্তরেও আমি কথা বলেছি। বিএমআরসি চলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে আইন করে দিয়েছিলেন সেই আইন অনুযায়ী। আমরা সেই আইন এবং রীতিনিতি মেনেই ট্রায়ালের অনুমতি দিলাম। কিন্তু এরপর দেখলাম স্বাস্থ্যখাতের কেউ কেউ এটা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছেন। এমনকি গণমাধ্যমে এসেও কয়েকজন ট্রায়ালের নিয়ম কানুন নিয়ে তাদের পান্ডিত্য জাহির করছেন।
আরেকটি বিষয় হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকল সময় চিকিৎসকদের খুব সম্মান করেন। আমরা অত্যন্ত ক্ষুদ্র মাপের চিকিৎসক হলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সহ সকলকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। তিনিই প্রথম চিকিৎসকদের সেকেন্ড ক্লাস থেকে ফার্স্ট ক্লাসে উন্নীত করেছিলেন। এরপর তার কন্যা নার্সদের সেকেন্ড ক্লাসে উন্নীত করলেন। এ থেকেই বোঝা যায় যে, জাতির পিতা এবং তার কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের কতটা গুরুত্ব দিয়েছেন। অথচ এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকারের কিছু কিছু আমলা উল্টো পথ ধরেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে হচ্ছে জাতির পিতার চেয়ে এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছেন।
আমরা লক্ষ্য করছি আমলারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে চিকিৎসকদের দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করছেন। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের পছন্দ করেন এটা হয়তো তাদের সহ্য হচ্ছে না। টাকা যাতে না নষ্ট হয়, সেটা দেখার দায়িত্ব তাদের। কিন্তু তারা দেখা যাচ্ছে ভিক্ষার ঝুলি মেলে ধরেছেন। চিকিৎসকদের থাকার ব্যবস্থা করাটা টাকার অপচয় বলে উল্লেখ করছেন তারা। এর বদলে চিকিৎসকদের টাকা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসকরা তো করোনার ডিউটির জন্য টাকা চায়নি। অনেকের ছোট বাচ্চা আছে, তারা যদি এই ডিউটি করে বাসায় যায়, তাহলে বাচ্চাদেরও করোনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাদের পরিবারও ঝুঁকিতে পড়ে যায়। কিন্তু যখন ভালো ভালো হোটেলের নাম শোনা গেল, তখন আমলারা পাগল হয়ে গেল। এই প্রয়োজন যদি কোনো আমলাদের হতো, এমনকি সবচেয়ে জুনিয়র আমলারও যদি থাকার জায়গার দরকার হতো তাহলে হোটেল খরচ কত এই প্রশ্ন উঠতো না। যেহেতু এটা চিকিৎসকদের ব্যাপার তাই এই কথাগুলো উঠছে।
আমি জীবনের শেষ প্রান্তে এসেছি। স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমলারা যদি চিকিৎসকদের এভাবে অসম্মান করেন তাহলে তাদেরও একইভাবে অসম্মানিত হয়ে তাদের জীবন শেষ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, কাউকে অসম্মান করে নিজে সম্মানিত হওয়া যায় না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার আকূল আবেদন থাকবে যে আপনি আমলাদের প্রতি আরও সতর্ক হোন। যদিও আমি ঢালাওভাবে সবার কথা বলছি না। অনেক সচিবই আছেন, যারা সত্যিকার অর্থে প্রধানমন্ত্রীর জন্য জীবন দিতে পারেন। কিন্তু এর পুরো বিপরীতটাও আমরা দেখতে পাচ্ছি।
লেখক: প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিকল্প নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
১৯৯৮ সাল। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকুরী করি। স্থানীয় চাইনিজ রেস্তোরাতে একটি সেমিনার হবে। ঢাকা থেকে ওষুধ কোম্পানির এক কর্মকর্তা এসেছেন। তিনি একই মেডিকেলে আমার এক বছরের সিনিয়র। বেশ খাতিরের বড় ভাই। তিনি তাঁর ব্যাগ থেকে একটি যন্ত্র বের করলেন। যন্ত্রটি অন করার পর দেখি সেটি একটি কম্পিউটার। কোন তার ছাড়া কম্পিউটার। জিজ্ঞেস করলাম, ভাই কি জিনিস এটা, নাম কি ? বললেন, ল্যাপটপ। জীবনে এই প্রথম আমার ল্যাপটপ দেখা। তবে নাম শুনেছি এর তিন বছর আগে, ১৯৯৫ সালে। যখন নাম শুনেছি, তখন বুঝিনি জিনিসটা কি ?
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।