নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
চীনে কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে যখন বিজ্ঞানীরা প্রথম জানতে পারলো, তখন থেকেই বিভিন্ন নামকরা বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য রাত দিন কাজ করতে শুরু করে। কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য যে শর্টকাট পথটা গ্রহণ করা হয়, তা হলো পূর্বে বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণের প্রেক্ষিতে যেসব ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছিল, সেই টেকনোলজি থেকেই কোভিড- ১৯ এর ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সারা বিশ্বে ১৪০টির উপরে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তবে তার মধ্যে মানব দেহে প্রয়োগ শুরু করার মতো অবস্থানে আছে, ৮ থেকে ১৪টি ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যে রাশিয়া তাদের একটি ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে গেছে ঘোষণা দিয়ে সেটার বাজারজাতকরনও শুরু করেছে। তারা প্রাথমিক পর্যায়ে যে ৭৬ জন মানুষের উপরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালিয়েছিল, তার ফলাফল বিশ্বখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও এই ল্যানসেটে প্রকাশিত হওয়ার পরে বিশ্বের ৪৮ জন নামকরা বিজ্ঞানী সেই ভ্যাকসিনের কিছু দুর্বলতা তুলে ধরেছেন। কিন্তু সার্বিকভাবে এই রাশিয়ান ভ্যাকসিন সেভাবে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়নি। কারণ তাহলে ল্যানসেটকে তাদের নিবন্ধ প্রত্যাহার করতে হতো, যেমনটা অ্যান্টি ম্যালেরিয়াল ড্রাগের ক্ষেত্রে অতীতে ঘটেছিল।
অন্যদিকে চীনও তাদের একটি কোম্পানির ভ্যাকসিন বাজারজাত করছে, যেটার নাম হলো সাইনোভ্যাক। তাদের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বাংলাদেশেও খুব শীঘ্রই আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে। প্রায় ৩০ থেকে ৫০ হাজার লোকের ওপর এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে একজন ভ্যাকসিন গ্রহীতা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই অসুস্থতার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য মানুষকে জানানো হয়নি। তবে স্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর পরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল আবার শুরু হয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে দুশ্চিন্তার আর তেমন কোনো কারণ নেই।
ভ্যাকসিন মূলত দুই ভাবে তৈরি হয়। একটা হচ্ছে, মৃত ভাইরাস দ্বারা ভ্যাকসিন তৈরি করা, আরেকটি হচ্ছে কেমিক্যাল দ্বারা ভ্যাকসিন তৈরি করা। সব ভ্যাকসিনেরই লক্ষ্য হচ্ছে, সুস্থ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করা। এর কাজ হলো আমাদের টি সেল, যেটা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, সেই টি সেলকে শক্তিশালী করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করা।
ভ্যাকসিন যারা তৈরি করেন, তাদের জন্য এবং সাধারণ মানুষের জন্য দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে, ভ্যাকসিনটির কোনো সাইড ইফেক্ট আছে কিনা। অর্থাৎ এর মাধ্যমে মানুষের কোনো ক্ষতি হবে কিনা। দ্বিতীয়টা হচ্ছে, এর কার্যকারীতা। কার্যকারীতার সাথে সাথে প্রশ্ন ওঠে যে, কার্যকারীতা কতদিন থাকবে।
আমাদের জন্য সবচেয়ে আশার কথা হলো, বাংলাদেশে গ্লোব বায়োটেক নামে একটি ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ কোম্পানিও এই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। তারা আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে এই ভ্যাকিসিনটি বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) কাছে জমা দেবে বলে আমরা জেনেছি। আমাদের কাছে তাদের আবেদন এলে আমরা যাচাই বাছাই করে তাদের ভ্যাকসিনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। যদিও আমরা আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে আনঅফিসিয়ালি জানতে পেরেছি যে, গ্লোব বায়োটেক এনিমেল ট্রায়াল শেষ করেছে। তাদের ডাটা সম্পূর্ণ হলেই তারা আইসিডিডিআরবি’র কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন করবে। আন্তর্জাতিক জার্নালেও তারা এটা প্রকাশের জন্য দেবে। আইসিডিডিআরবি যদি মনে করে ভ্যাকসিনটি বিএমআরসি’র কাছে পাঠানোর মতো, তাহলে সেটা আমাদের কাছে পাঠাবে।
একটি বিষয় সবার মনে রাখা দরকার যে, যত সময় পর্যন্ত ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া না হয়, তত সময় পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিনই আলোর মুখ দেখে না। হাজার হাজার মানুষের মধ্যে ট্রায়াল চালানোর পরেও একটি রোগীর জন্য অক্সফোর্ডের ট্রায়ালটা বন্ধ রাখতে হলো। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে, ভ্যাকসিন কতটা স্পর্শকাতর একটি বিষয়। এখন পর্যন্ত যেসব ডাটা আমরা পাচ্ছি, তাতে এখন পর্যন্ত মানবদেহে বড় আকারে কোভিড-১৯ বা করোনা ঠেকাবার জন্য কোনো ভ্যাকসিন পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত নয়। রাশিয়া এবং চীন তাদের ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু করলেও সেটা এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায়নি।
যতদূর জানা যাচ্ছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের জুন মাসের দিকে সাধারণ মানুষের জন্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। আর ডিসেম্বর জানুয়ারি থেকে হয়তো নিয়ন্ত্রিতভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, যেকোনো ভাইরাসে বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর মতো একটি প্রানঘাতী ভাইরাসের ক্ষেত্রে যত সময় পর্যন্ত ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া যাবে, তত সময় পর্যন্ত এই রোগ থেকে আমাদের সার্বিকভাবে রক্ষার উপায় নাই। একমাত্র মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মানা, এবং সামাজিক দূরত্বের মাধ্যমে আমরা এটাকে প্রতিরোধ করতে পারি। আর ভ্যাকসিন যখন মানবদেহে প্রয়োগ শুরু হবে তখনও আমাদের এই নিয়মগুলো কিছুদিন পর্যন্ত মানতে হবে। অনেকে হয়তো মনে করেন যে, ভ্যাকসিন পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের আর মাস্ক পরা লাগবে না, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে না। এ ধারণা সঠিক নয়, কারণ ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধের সক্ষমতা অর্জন করতে একটা নির্দিষ্ট সময় লাগবে।
আরেকটি বিষয় হলো, বাংলাদেশের ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে অনেকেই নানা রকম প্রশ্ন তুলছেন। তবে আমি মনে করি, জননেত্রী শেখ হাসিনার কূটনীতির কারণে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাওয়ার দৌড়ে সঠিক পথেই আছে। বাংলাদেশ সঠিক সময়েই ভ্যাকসিন পাবে। এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
লেখক: প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিকল্প নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর