নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৯ এএম, ১৫ অক্টোবর, ২০২০
‘মাংস খেলে মাংস বাড়ে
ডিমে বাড়ে বল,
দুধ খেলে বুদ্ধি বাড়ে
শাকে বাড়ে মল্।
দুধ প্রকৃতির একটি শ্রেষ্ঠ পানীয়। মেধা ও স্বাস্থ্য গঠনে দুধের ভূমিকা অত্যাবশকীয়। শুধুমাত্র ভিটামিন সি এর কিছুটা ঘাটতি ছাড়া দুধে খাদ্যের সকল উপাদান সুষয় অবস্থায় বিরাজ করায় এটিকে আদর্শ খাদ্য হিসাবে সারা বিশ্বে বিবেচনা করা হয়। শিশু, তরুণ-তরুণী, বয়স্ক, নারী-পুরুষ সকলের জন্যই এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পানীয়। সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন-যাপনের জন্য একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ২৫০মিলি দুধ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
শিশুদের জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নাই। বয়সের সাথে সাথে বেড়ে উঠা শিশুর পরিপূরক খাদ্য হিসাবে ও যেখানে মাতৃদুগ্ধের অভাব রয়েছে সেখানে এবং সেই সাথে পুর্নাঙ্গ মানবজীবনের চাহিদায় গরু, মহিষ, ভেড়া, ছাগলসহ ও অন্যান্য প্রাণীর দুগ্ধ প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে। দুধে রয়েছে প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ উপাদান ল্যাকটোজ যা শিশুর মস্তিষ্ক বর্ধনে সহায়তা করে। দুধ ছাড়া অন্য কোন খাদ্যে ল্যাকটোজ নাই। জন্মের পর ছয়/সাত বছরের মধ্যেই মানব শিশুর মস্তিষ্কের প্রায় ৯০% বর্ধন শেষ হয়ে যায়। তাই এই বর্ধনকালে দুধের প্রয়োজনীয়তা বেশী। তাছাড়া দুধে রয়েছে উন্নতমানের আমিষ যার মধ্যে সকল প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড বিদ্যমান থাকায় যে কোন আমিষের তুলনায় এটিকে শ্রেষ্ঠ আমিষ বলা হয়। দুধের চর্বিতে ৪০% অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড এবং প্রচুর পরিমানে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড বিদ্যমান থাকায় এটি গরু, মহিষ, ভেড়া, ছাগলসহ ও অন্যান্য প্রাণীর চর্বির তুলনায় নিরাপদ। তাছাড়া দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, মেগনেশিয়ামসহ অন্যান্য খনিজ পদার্থ। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি অস্থিগঠনে সহায়ক। রাত্রে ঘুমের আগে এক গ্লাস দুধ পান করলে ভাল ঘুম হয় এবং হাইপারটেনশন কমাতে সাহায্য করে। দুধে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন ধরনের বায়োএকটিভ উপাদান ও কনজুগেটিড লিনোলেনিক এসিড যা শরীরে ক্যান্সার প্রতিরেধ করতে সহায়তা করে।
দুধের খাদ্যগুণ, পুষ্টিগুণ ও ভেষজগুণ বর্ণনাতীত। দেড় হাজার বছর আগে বিজ্ঞান যখন অন্ধকারে তখন নবীজী (সাঃ) দুধ সম্পর্কে বলেন, দুধ হার্টের জন্য ভালো। দুধ পানে মেরুদন্ড সবল হয়, মস্তিষ্ক সুগঠিত হয় এবং দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়।
প্রানীসম্পদ অধিদপ্তরের ডাটা অনুযায়ী বাংলাদেশের ১৬ কোটি ৬৬ লক্ষ মানুষের (১ জুলাই ২০১৯ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী) জন্য প্রতিবছর চাহিদাকৃত তরল দুধের পরিমান ১৫২.০২ লক্ষ মেট্রিক টন। দেশের চাহিদা মেটাতে গত ১০ বছরে তরল দুধ উৎপাদন প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি করে বাৎসরিক উৎপাদন ২৩.৭০ মেট্রিক টন থেকে মোট ১০৬.৮ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নিত করা হয়েছে, যাহা চাহিদার তুলনায় এখনও কম। দুধ উৎপাদনে দেশকে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করতে হলে এখনই কিছু বাস্তব মুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী প্রয়োজন। যদিও অনেক আগে থেকেই আমাদের প্রতিবেশী দেশ সমুহ যেমন ; ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ দক্ষিণ-পূ্র্ব এশিয়ার দেশ গুলি হাই-টেক ডেইরি খামার স্থাপন করে দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জন করছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির কারণে দেশের জনগনের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে পুষ্টিকর খাদ্য বিশেষ করে প্রাণীজ আমিষ ( প্রোটিন ) যেমন- দুধ, মাংস , ডিম গ্রহণের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। একই কারনে প্রতিবছরেই দুধের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দুধের ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ সরকার তরল দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা সত্বেও চাহিদাপূরণ হয়নি। দেশে বর্তমানে দুধের ঘাটতি বছরে ৪৫.২২ লাখ মেট্রিক টন এবং অতীতে দুধের এই ঘাটতি আরও প্রকোট ছিল। এই ঘাটতি পূরণে বিদেশ থেকে গুড়া দুধ ও ক্রিম আমদানী করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে ২,৬২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১,৩৮,০০০ মেট্রিক টন গুড়া দুধ আমদানী করা হয়েছে। যাতে একদিকে যেমন দেশের ডেইরী শিল্পের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে। আমদানি করা এসব দুধের মাণ নিয়ে জনমনে সংশয় আছে। তাই, কৃ্ষি নির্ভর আমাদের এই দেশে প্রটিনের চাহিদা মিটাতে অধিক পরিমাণে দুধ ও মাংস উৎপাদন সময়ের দাবী ।
২০১৯ সালের ২২ জুন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বিদেশ থেকে যে সব দুধ আমদানি করা হচ্ছে সেগুলো ভ্যাজিটেবল ফ্যাট মিশ্রিত। এসব দুধ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।’ নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘জাতীয় বাজেটে গুঁড়া দুধের আমদানি শুল্কের যে মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা কোনো অবস্থাতেই পর্যাপ্ত নয়। এটা দেশের স্থানীয় খামারিদের জন্য কোনো উপকারেই আসবে না, বরং দেশের দুগ্ধ শিল্পের জন্য এটি হুমকিস্বরূপ।’
প্রানীসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে দৈনিক ২৯,২৬০,০০০ লিটার (২৯,২৬০ মেট্রিক টন) তরল দুধ উৎপাদিত হয়। তন্মধ্যে ১৪,৬৩,০০০লিটার (৫%) প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করা হয়। ২৩,৭০০,০০০ লিটার (৮১%) তরল দুধ সাধারন মিষ্টির দোকানে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ৪০,৯৭,০০০ লিটার (১৪%) বাড়ি বাড়ি গ্রাহকরা ক্রয় করে ব্যবহার করে থাকে। অর্থ্যাৎ মোট উৎপাদিত তরল দুধের চারপঞ্চমাংশেরও বেশী পরিমান মিষ্টির দোকানে বিক্রয় হয়। ফলে বেশীরভাগ দুগ্ধ খামারীদের ব্যবসা, বিনিয়োগ, বিপনন মিষ্টির দোকানদারদের মর্জির উপর নির্ভরশীল। প্রাকৃতিক পরিবেশ বা সামাজিক অস্থিরতার কারনে বা যে কোন কারনে মিষ্টির দোকানদাররা দুধ ক্রয় না করলে খামারীরা বিপাকে পরে যায়।
২০১৫ সালে টানা অবরোধ-হরতালে পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার দুগ্ধ খামারিরা চরম বিপাকে পড়েছিলেন। ক্রয়কেন্দ্রগুলো নিয়মিত দুধ না কেনায় ৫০ টাকা দরের প্রতি লিটার দুধ বিক্রি করতে হয়েছিল ১২ থেকে ১৫ টাকায়। ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিক্ষুব্ধ খামারিরা প্রায় দুই হাজার লিটার দুধ সড়কে ঢেলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে হাইকোর্ট মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক ও সীসার উপস্থিতির প্রেক্ষিতে বিএসটিআই’র অনুমোদনপ্রাপ্ত ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিপণনে পাঁচ সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা জারি করায় চারটি প্রতিষ্ঠান খামারিদের কাছ থেকে দুধ নেওয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলায় রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ করেছেন দুগ্ধ খামারিরা।
এমনি বাস্তবতায় বর্তমানে দেশের দুধের চাহিদা মিটানোর জন্য গাভী পালন একটি লাভজনক ব্যবসা হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে দুগ্ধশিল্প অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এখনো দেশের বিরাট জনসংখ্যা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সাধারণত কৃষকেরাই দুগ্ধশিল্পের সঙ্গে জড়িত। দুগ্ধ খামার ব্যবসা বাংলাদেশের কৃষি ব্যবসাগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশে দুগ্ধ খামারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, দেশে লাখ লাখ বেকার যুবক সাবলম্বী হয়ে উঠছে। দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমাদের দেশে স্বাধীনতাপূর্ব কাল থেকে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে গাভীর জাত উন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যহত আছে, তথাপি উন্নত জাতের গাভী দ্বারা খামার স্থাপনের পরিকল্পনা করলে এক সাথে দুই-একশত গাভী দেশের কোন এক বা একাধিক অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা যায় না ।
বর্তমান বিশ্বে বহুল প্রচলিত এবং ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ার দেশ সমূহ এবং মধ্যপ্রাচ্য , মিশর, সৌদি আরব ইত্যাদি দেশের অনুসরণে উন্নত প্রযুক্তির সমন্বিত হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেইরি ফার্ম স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা ও তা’ বাস্থবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আগ্রহী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এ জন্য দেশি-বিদেশী কারিগরি পরামর্শ নিয়ে যথাযত উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে অধিক উৎপাদনশীল জাতের পিউর ব্রীড গাভী লালন পালন করা জরুরী।
বাংলাদেশে দুধ উৎপাদন বৃ্দ্ধিতে উন্নত জাতের অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদি পশু পালনের বিকল্প নাই । তাই, বাংলাদেশের আব-হাওয়ায় উন্নত জাতের পিঊর ব্রীড গবাদিপ্রাণি লালন পালনের অন্তরায় সমুহ দূর করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য দেশীয় খামারীদের উৎপাদিত দুধ বিপননের নিশ্চয়তা ও আর্থিক প্রনোদনা প্রদান করা প্রয়োজন। এছাড়া প্রান্তিকভাবে প্রতিষ্ঠিত দুগ্ধ খামারীদের নিকট থেকে দুধ সংগ্রহ করে, প্রক্রিয়াজাত করে বিপনন করা প্রয়োজন। দেশের চাহিদা মোতাবেক খাঁটি তরল দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করে অতিরিক্ত তরল দুধ থেকে গুড়া দুধ উৎপাদনে শিল্পোদোক্তাদের উৎসাহিত করা উচিত। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, গ্রাহক নির্ভেজাল গুড়াদুধের নিশ্চয়তা পাবে, কর্মসংস্থান হবে এবং দেশীয় দুগ্ধশিল্প আরও সম্প্রসারিত হবে।
গুড়া দুধ আমদানী বন্ধ করে স্থানীয় খামারিদের সরকারি সাহায্য ও প্রণোদনার মাধ্যমে দুগ্ধ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা জরুরী। যদি গুড়াদুধ আমদানী নিরুৎসাহিত করা এবং দেশীয় খামারিদের প্রণোদনা ও সরকারি সাহায্য প্রদান না করা হয়, তাহলে দেশের দুগ্ধখামার শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা যদি দুগ্ধশিল্পের উন্নয়ন করতে পারি তাহলে এ খাতে আরও কর্মসংস্থান হবে, একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর