নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০২০
এদেশে আইন বিশারদদের মধ্যে মহীরুপে যিনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন সেই ব্যারিস্টার রফিকুল উল হক আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। ব্যাক্তিগতভাবে এই অতুলনীয় গুণের অধিকারী এবং দানবীরের সাথে আমার পরিচয় বেশ কিছু দিনের।
ব্যারিস্টার রফিকুল হকের সাথে আমার বেশি ঘনিষ্ঠতা হয় ২০০৯ সালে। যখন তিনি চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশন হিসেবে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
সেই প্রতিষ্ঠানের একটি চেক। সম্ভবত ৩৯ কোটি টাকার একটি চেকের অর্থ ছাড়ে আমি আপত্তি জানাই। এবং এই অর্গানাইজেশনের সঙ্গে কারা কারা যুক্ত আছেন সেটা অনুসন্ধানের নির্দেশ দেই।
আমি তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত ছিলাম। বিশেষকরে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী জামাতের আলী আহসান মুজাহিদের ঘনিষ্ঠ কিছু লোক সে সময় পর্যন্ত কিছু অর্গানাইজেশনের সঙ্গে জড়িত ছিলো। সেজন্য চেকটির অর্থ ছাড় না করার জন্য আমি তৎকালীন সমাজকল্যাণ সচিবকে নির্দেশ দেই।
আমি তখনো জানতাম না এই চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশনের সঙ্গে ব্যারিস্টার রফিকুল উল হক জড়িত আছেন। ব্যারিস্টার রফিকুল উল হক সাহেব এবং আমার শিক্ষক ডা: এম আর খান সাহেব দুইজনই আমার সঙ্গে এসে একদিন দেখা করেন।
ডা: এম আর খান এবং ব্যারিস্টার রফিকুল উল হক সাহেবের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও খুব ভালো সম্পর্ক এটা আমি জানতাম।
ওনারা আসার পর আমি সোজাসোজি বললাম আমি তো এই কারণে চেকের অর্থ ছাড়ে আপত্তি জানিয়েছি। তখন তারা বললেন আমরা এই অর্গানাইজেশনের সাথে আছি। তখন আমি ওই অর্গানাইজেশনের কিছু কর্মকর্তার বিষয়ে আমার আপত্তির কথা জানালাম।
তখন তিনি বললেন ঠিক আছে আমি ওই কর্মকর্তাদের পরিবর্তন করলে পরে তুমি চেকটা পাস করে দিও। তখন আমি বললাম ‘স্যার এটা আপনাদের সাথে বেয়াদবী করা হয় । আপনারা চেক নিয়ে যান।’ উনি তার একদিন পরেই বিতর্কিত লোকদের ওই অর্গানাইজেশন থেকে বাদ দেন।
ব্যারিস্টার রফিকুল উল হককে সবসময় আমি দুলাভাই বলে ডাকতাম। কারণ ওনার সহধর্মিণী শুধু একজন চিকিৎসক নন তিনি গবেষণা ক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখেছেন। আমি চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। প্রথমবার যখন আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই তখন আমার নির্বাচন করতে হয়েছে।
আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অধ্যাপক তাহের সাহেব। তিনি খুবই ভালো মানুষ এবং সবার কাছে খুব প্রিয়। আমি তাকে বললাম ‘আপনি যদি আমার সাথে নির্বাচন করেন তবে আমার জেতার সম্ভাবনা তো কমে যাবে’। তিনি বললেন আমি তো নির্বাচনে হারি নাই তুমি বরং প্রত্যাহার করো।
তখন আমার জেদ চাপলো। তখন আমি বললাম ‘আমিও নির্বাচনে হারি না’। তাহলে দেখা যাক কে জেতে। আপনি বড় ভাই বড় ভাইয়ের জায়গায় থাকেন। ওই নির্বাচনে আমি মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করি। ব্যারিস্টার রফিকুল উল হক সাহেবের সহধর্মিণী ওখানে ভোটার ছিলেন। আগে থেকেই তাকে আমি বড় বোনের মতো শ্রদ্ধা করতাম।
আমি যখন ভোট চাইতে গেলাম তখন উনি বললেন ‘তুমি আমাকে খুব বিপদে ফেললে। তুমি যদি এখন ভোট চাইতে আসতে আমি সোজা না বলতাম। কিন্তু তুমি দীর্ঘদিন ধরে আমাকে বড় বোনের মতো সম্মান করো। যে তোমার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে সেও আমার অত্যন্ত কাছের লোক। আমি এখন একটা কাজ করতে পারি। ভোট দানে বিরত থাকতে পারি।’
আমি বললাম ‘আপা আপনি ভোট দিতে যান এবং যাকে যোগ্য মনে করেন তাকেই ভোট দিয়েন।’ আমি জানি ভোট দিতে গেলে তিনি আমাকেই ভোট দিবেন। এরপর আমি এক ভোটের ব্যবধানে জিতি। সেজন্য আরও কৃতজ্ঞ ছিলাম। ব্যারিস্টার রফিকুল উল হককে দুলাভাই বলে ডাকলেই উনি স্বভাবসুলভ একটা হাসি দিতেন।
ব্যারিস্টার রফিকুল উল হক সাহেব বঙ্গবন্ধুর আইনজ্ঞ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এক এগারোর কঠিন সময়ে তিনি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। একই সাথে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষেও দাঁড়িয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সময়ে যেহেতু তিনি জুনিয়র আইনজীবী ছিলেন তাই অনেকেই তার নাম মনে করতে পারেন না।
কিন্তু এই মানুষের জীবনের ব্যাপ্তী এবং অবদান অস্বীকার করা যায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে আমি যত প্রতিষ্ঠানে গিয়েছি; কমপক্ষে ১৪-১৫টি অর্গানাইজেশনে আমি শুনেছি ব্যারিস্টার রফিকুল উল হক সাহেব কম করে হলেও সেখানে পাঁচ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। উনি খুব নীরবে দান করতেন।
ব্যারিস্টার রফিকুল উল হক খুব বেশি ফি নিতেন এটা লোকে জানতো কিন্তু ওনার আয়ের বেশিরভাগ অর্থ উনি মানব কল্যানে ব্যয় করে গেছেন।
তার মতো একজন মানব হিতৈষি আইনজ্ঞ আর কবে আমরা পাবো জানি না। ব্যারিস্টার রফিকুল উল হক সাহেবের মৃত্যু সংবাদে আমি অত্যন্ত ভারাক্রান্ত। ব্যাক্তিগতভাবে আমি একজন আমার সুহৃদ হারালাম। আর দেশ হারালো একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক।
সাধারণ মানুষের মধ্যে তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
লেখক: প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর
‘এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।/তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে/ বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক/যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি/ অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক/ মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ অর্থাৎ ১৪৩১ বঙ্গাব্দে পুরাতন স্মৃতি মুছে যাক, দূরে চলে যাক ভুলে যাওয়া স্মৃতি, অশ্রুঝরার দিনও সুদূরে মিলাক। আমাদের জীবন থেকে বিগত বছরের ব্যর্থতার গ্লানি ও জরা মুছে যাক, ঘুচে যাক; নববর্ষে পুরাতন বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক। রমজান ও ঈদের পর দেশের মানুষের জীবনে আরো একটি উৎসবের ব্যস্ততা নতুন বছরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় উদ্ভাসিত।ফিলিস্তিনবাসীর উপর হামলা আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে এর মধ্যে মারা গেছেন অসংখ্য মানুষ।তবু মৃত্যুর মিছিলে জীবনের গান ফুল হয়ে ফুটেছে। যুদ্ধের সংকট আমাদের পরাস্ত করতে পারেনি কারণ পৃথিবীর মৃত্যু উপত্যকা পেরিয়ে এদেশে বৈশাখ এসেছে নতুন সাজে।