নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
সাম্প্রতিকালে দেশে -বিদেশে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো মনকে খুবই উতালা করে দিয়েছে।সেসব ভুলতে নানা চেষ্টা করছি।আর তাই খুব সকালে-বিকেলে মুক্ত বাতাসে একটু হাঁটা, রাতের চাঁদ দেখা, আকাশের তারা গোনা, আপনজনদের খবর নেয়া। কিন্তু ঘুরে ফিরে মন কেবল হিসেবের খাতা খুলে বসে। কি পেলাম -কি দিলাম , কেন পেলাম না বিষয়গুলো ঘুরপাক খায়। এই কি ও কেন সারাক্ষণ তাড়া করে আমাদেরকে। যুক্তি ও আবেগের খেলা। এরই মাঝে সকাল বেলা টিভির পর্দায় দেখলাম - " Sex scandal in [অস্ট্রেলিয়া] Parliament house worsens"- অপেক্ষায় থাকলাম এবং এর পরেই এলো আরেক পার্লামেন্ট স্টাফের অভিযোগ -ওই একই ব্যক্তির দ্বারা তিনিও নিপীড়ণের শিকার হয়েছিলেন! মন্ত্রী পার্লামেন্টে জবাব দিতে গিয়ে কাঁদছেন আর প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলছেন - তিনি জানেন না। তিনি যেভাবে বলছেন তা আরও কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে নিপীড়িত তরুণীকে।তিনি নতুন তথ্য দিয়েছেন।
যে বিষয়টি নিয়ে লিখছি সেটা প্রায় দু`বছর আগে অস্ট্রেলিয়া পার্লামেন্ট ভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর অফিসে একটি কদাকার অমানুষ কতৃক তরুণ সহকর্মীকে ধর্ষণ করবার ঘটনা। ২৪ বছরের এই তরুণীর নাম ব্রিটনি হিগ্গিন্স। অনেক স্বপ্ন নিয়ে তিনি পার্লামেন্টে চাকরি নিয়েছিলেন। পুরোন ছবিতে দেখা যায় তিনি প্রধানমন্ত্রী খুব কাছেই ছিলেন।আলোর পাশেই অন্ধকার।
ব্রিটনি হিগ্গিন্সকে সেই জঘন্য ঘটনা মিডিয়াকে বলতে হলো বিচার পাবার আশায়।এক অবিশ্বাস্য ঘটনা - দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অফিসে এমন ঘটনা ! আরো অবিশ্বাস্য বিষয় হলো মন্ত্রী এই ঘটনাকে চাপা দিতে চেষ্টা করেছেন নির্বাচন ভরাডুবির আশংকায় । এমনকি ফেডারেল পুলিশ জেনেও এগিয়ে আসেনি।এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মন্ত্রী তার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও শেয়ার করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।কিন্তু ব্রিটনি হিগ্গিন্সএর টেক্সট মেসেজ প্রমান করছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস বিষয়টি ৭ দিনের মধ্যেই জেনেছেন। ক্ষমতা- নাকি ক্ষমতাহীনতা - নাকি ক্ষমতার লোভ- বিবেচনার বিষয়। শুনেছি ক্ষমতার মোহে নাকি মানুষ অন্ধ হয়ে যায়। এই তো ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগে ওই দেশের ক্যাপিটল হিল কিভাবে সমর্থকদের দিয়ে তছনছ করালেন। আরেক মহা শক্তি রাশিয়া কিভাবে বিরোধী মতের মানুষদেরকে মোকাবেলা করছেন তা আমাদেরকে ভাবনায় ফেলে দেয়।আমরা এই একাবিংশ শতাব্দীতে আসলে আমরা কতটুকু উন্নত হয়েছি বা কতটুকু সভ্য হয়েছি সেই প্রশ্ন করা যায় কি?
একদিকে বেলারুশ এর জনগণ তাদের সরকার প্রধানের পদত্যাগ চাইছে -অপরদিকে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পরে যখন জার্মান চ্যান্সেলার এঞ্জেলা মার্কেল বিদায় নিতে চাইছেন তখন দেশবাসী কাঁদছে। সুচিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য মায়ানমার এর জনগণ আন্দোলন করছে। সেই ক্ষমতার কাছে সারেন্ডার এখন বিশ্বব্যাপী প্রকট।কোভিড মহামারীর যেন ক্ষমতার কাড়াকাড়ির বিষয়টিকে উসকে দিয়েছে।ঠিক সেই সময়ে রাজ্ পরিবার ছেড়ে হ্যারি ও মেগান ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে রাজপরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন।পৃথিবীর এই ভাঙা গড়ার খেলা চিরন্তন কি ?
ক্ষমতার ইতিহাস বড় নির্মম। পৃথিবীর মানুষ জেনেও সেই মায়াবী আগুনের পেছনে ছোটে।চাই চাই যেন শেষই হয় না।অনেকে টাকাকে ক্ষমতা মনে করে। আর তাই টাকা বানানোর পেছনে ছোটে অনেকে।সেই ক্ষমতার তাড়না আমাদের সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে দিচ্ছে। আমরা যে আর নিতে পারছি না ? কিভাবে মনকে ফেরানো যায় প্রতিদিনকে খবরের শিরোনাম থেকে? এভাবে যদি দিনের পর দিন চলতে থাকে মানুষতো মানসিক রোগী হয়ে যাবে? একদিকে চরম অবিচার অপরদিকে ক্ষমতার চরম অপব্যবহার পৃথিবীকে ওরা দিন দিন পাপ ও দীর্ঘশ্বাসে ভরে দিচ্ছে। করোনা ভাইরাস যেমন আমরা দেখিনা, তেমনি এই অবিচার -অন্যায়কে আমার দেখিনা।তাই দেখিনা মানুষের দীর্ঘশ্বাস।
সম্প্রতি বাংলাদেশ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন - আপনারা আমাদেরকে পিয়নদের হাতে সপে দিয়ে প্রাইভেট প্রাকটিস করুন। কতটা ক্ষোভের কথা এই মাননীয় বিচারকদের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো! ওনারা সমাজে আরও অনেক অসঙ্গতি দেখতে পান। কিন্তু সেগুলো নিয়ে কথা বলতে পারেন না হয়তো। যদি পারতেন তবে আরও অনেক অসঙ্গতি, অসত্য জাতি জানতে পারতো বৈকি! আজকাল কোনো কোনো মাননীয় বিচারক পত্রিকার খবর দেখে আমলে নিয়ে বিচার করেন। বিচারিক এই ক্ষমতা আমাদেরকে বিমোহিত করে। ইস - আমরা কেন এমন একজন বিচারক পেলাম না যিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রায় দিতেন ইনডিমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল। এই অধ্যাদেশ বাতিলের জন্য কতনা সংগ্রাম করতে হয়েছে।কতনা রক্ত ঝরেছে।আমাদের বিচার ব্যবস্থা কবে এমন সাহসী হবে জানিনা - তবে আশার আলো দেখতে পাই। একদিন হয়তো আসবে - কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় কথাটি পরম সত্য। গতকাল মঙ্গল গ্রহে একটি যান অবতরণ করেছে ৭ মাস আকাশ ভ্ৰমণ করে। পরেরটি আরো ৫-৬ বছর পরে যাবে। আমরা আশায় থাকি।
সম্প্রতিকালের একটি সংবাদ - সরকার নাকি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের কথা ভাবছে। আজ যে সত্য আমরা প্রকাশ করতে পারছিনা , যে প্রশ্ন করতে পারছিনা , যে স্বাধীনতা আমরা ভোগ করতে পারছিনা - ওই সংশোধন যদি সেটা করতে সার্থক হয় তবে সেটি আনন্দের হবে বৈকি ! একটি আনন্দের সংবাদে যেন লক্ষ ফুল ফুঁটে উঠুক। ভারী হয়ে উঠেছে বাংলার আকাশ-বাতাস। সকলে আনন্দের সংবাদের অপেক্ষায়! কেউ কি সেই আনন্দের সংবাদ দিবেন কি এই স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে।
পদ্মা ব্রিজের ৪১ তম স্প্যান লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে বাংলার ঘরে ঘরে আনন্দ বার্তা ছড়িয়ে ছিল সেরকম আনন্দর সংবাদ বুকটাকে হালকা করতে পারে। শুদ্ধ চেতনার জাগরণের অপেক্ষায় জাতি। মহান ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষা বিজয়কে স্মরণ করিয়ে দেয়, পদ্মা ব্রিজ যেমন আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তিকে স্মরণ করিয়ে দেয় - সেভাবে আমরা আগামী দিনগুলোকে অনুভব করতে পারি - আনন্দ ও সুখের কান্নায়। আমার বঙ্গবন্ধু আমাদের যে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছেন সেই মুক্তি কবে আসবে ?
এই লেখা যখন লিখছি তখন আমার প্রিয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। কোরোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ। ছাত্ররা আশে পাশে মেস কষ্ট করে থাকে। তাঁরা এক নিরাপত্তাহীনতার মাঝে আছে, গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিপতিত হয়েছে।আলজাজিরার ষড়যন্ত্র আর সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যর্থতা জাতিকে কুর কুরে খাচ্ছে। সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা কিংবা মিথ্যাকে সত্য বানানোর অবিরাম চেষ্টা চলছে। তখন চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে মন মাঝি তোর বৈঠা নে রে আমরা আর সইতে পারছিনা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
১৯৯৮ সাল। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকুরী করি। স্থানীয় চাইনিজ রেস্তোরাতে একটি সেমিনার হবে। ঢাকা থেকে ওষুধ কোম্পানির এক কর্মকর্তা এসেছেন। তিনি একই মেডিকেলে আমার এক বছরের সিনিয়র। বেশ খাতিরের বড় ভাই। তিনি তাঁর ব্যাগ থেকে একটি যন্ত্র বের করলেন। যন্ত্রটি অন করার পর দেখি সেটি একটি কম্পিউটার। কোন তার ছাড়া কম্পিউটার। জিজ্ঞেস করলাম, ভাই কি জিনিস এটা, নাম কি ? বললেন, ল্যাপটপ। জীবনে এই প্রথম আমার ল্যাপটপ দেখা। তবে নাম শুনেছি এর তিন বছর আগে, ১৯৯৫ সালে। যখন নাম শুনেছি, তখন বুঝিনি জিনিসটা কি ?
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।