নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৭ জুলাই, ২০২১
সব সময় সব কথা বলা যায় না। যখন যেটা প্রয়োজন তখন সেটা বলতে হবে। এরকম কথা তো সব সময় বলে মূল বিষয়টাকে বিতর্কিত করা বা অন্যদের কাছে অন্যভাবে যাবে উপস্থাপন না হয় সেটার দিকেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। পূনর্বাসনের বিষয়টা নিয়ে আমরা যদি এভাবে বিষয়টাকে বলি যে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মনটা অনেক উদার এবং বিশাল হৃদয়ের মানুষ। তিনি জাতির পিতার কন্যা। বঙ্গবন্ধু যেমন বিশাল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন, অসমসাহসী মানুষ ছিলেন তার কন্যা শেখ হাসিনা সব সময়ই আওয়ামী লীগের ঐক্যের জন্য ঐক্যের প্রতিক হিসেবে সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দেশে এসে কাজ শুরু করেন। তিনি ক্ষমা করে দিয়ে সবাইকে নিয়ে দলকে গোছানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি তাদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছেন। যাতে প্রতিদিন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে সেখানে আওয়ামী লীগের শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টিকে তিনি সব সময় গুরুত্ব দিয়েছেন। সেই বিবেচনায় তিনি সকলকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা। এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশালতা।
যারা একবার বিশ্বাস ভঙ্গ করে তারা বার বার বিশ্বাস ভঙ্গ করে। ইতিহাস এরকমই বলে। এই বিষয়টাকে যদি আমি বলি যারা বেঈমানী করে, সুযোগসন্ধানী যারা তারা বারবার বেঈমানী করে। সুযোগ পেলেই করে। সুযোগের অপেক্ষায় থাকে যারা তারা যেকোনো স্বার্থে দেশের স্বার্থের চেয়ে, মানুষের স্বার্থের চেয়ে, গণতন্ত্রের স্বার্থের চেয়ে নিজের স্বার্থকে যারা বেশি করে দেখে তারাই তো সব সময় অপরাজনীতির সাথে, অপকর্মের সাথে, সন্ত্রাসের সাথে সম্পৃক্ত হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এদেরকে মাফ করে দিয়েছিলেন কিন্তু তিনি কিন্তু বলেছেন, মাফ করে দিয়েছি, তার মানে এই নয় যে আমরা ভুলে গিয়েছি ব্যাপারটা এইরকম। আমাদের মনে রাখতে হবে, সেই বিষয়টিকেই আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। সে কারণেই গতকাল ১৬ জুলাই যে দিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সেই আলোচনায় আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই বর্ণচোড়াদের, ষড়যন্ত্রকারীদের স্বরূপ উদঘাটন হওয়া খুবই জরুরী। কারণ এদের সম্পর্কে সর্বস্তরের মানুষের জানা দরকার। এটা যদি অজানা থেকে যায় তাহলে হয়তো বা আগামী দিনে জাতি, দেশ আবারো হোচট না খায়। সে জন্য এই বিষয়গুলোকে নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
এটা প্রতিরোধের বিষয় না। এটা ব্যর্থতার বিষয়ও না। তবে আমি একটি জিনিষ বলতে পারি আমরা এদের ব্যাপারে সচেতন আছি। আমাদের দলের প্রন্তিক নেতাকর্মীরা সব সময়ই সজাগ আছে। যারা আওয়ামী লীগের ঐক্য নষ্ট করতে চেয়েছে অথবা আওয়ামী লীগকে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করে সেই ওয়ান ইলেভেনের অপশক্তিকে সমর্থন দিয়েছে, নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করেছে তারা কিন্তু ব্যর্থ। আওয়ামী লীগের লাখো নেতাকর্মী এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক, শ্রমিক, যুবক সর্বস্তরের গণমানুষ ওয়ান-ইলেভেন সকল উদ্যোগকে, সকল অপচেষ্টাকে রুখে দিয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয় নাই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যার্থ হয় নাই। অতিতেও যেমন হয় নাই, বর্তমানেও হচ্ছে না, ভবিষ্যতেও হবে না। কারণ ব্যার্থতার ইতিহাস আওয়ামী লীগের এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নেই। কোনো কোনো বেঈমানী সাম্প্রদায়িক শক্তি বেঈমানী করেছে, দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, আবার ঐক্য বিনষ্টের জন্য কাজ করেছে। তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে পর্যবসিত হয়েছে। তারা সামাজিক জীবনে, রাজনৈতিক জীবনের সর্বস্তরেই ঘৃণিত হয়ে আছে। তাদের কেউ খনির খেতাব পেয়েছে, কেউ ষড়যন্ত্রকারীর খেতাব পেয়েছে, কেউ সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেদেরকে সাম্প্রদায়িক শক্তিতে পরিণত করেছে। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আওয়ামী লীগ মানে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, আওয়ামী লীগ মানে গণতান্ত্রিক রাজনীতি। এখনো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দিকে এখনাে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সুতরাং আমাদের সফলতার দিক নিয়েই আমি কথা বলবো। যেগুলো অতিতে হয়েছে আমরা সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।