নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২১
বাংলা ইনসাইডারের যারা নিয়মিত পাঠক তাদের হয়তো মনে থাকবে আমি এই লেখাসহ তিন থেকে চারবার একই বিষয় লিখে চলেছি এই জাতীয় শোকের মাসে। কিন্তু এতে কোন সফলতা আমি অর্জন করতে পারিনি এবং যতদিন সফলতা অর্জন না করি আর আল্লাহ আমাকে জীবিত রাখেন অবশ্যই আমি এই বিষয়টি নিয়ে প্রতি জাতীয় শোকের মাসে একই কথা বারবার লোককে জানানো আমার নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করবো। সেই সাথে এই দায়িত্ব পালন করে যাবো। আমি ভূমিকায় বলতে চাই যে, এই যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যেটা শুরু করেছিলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, তার এই বিচার কার্যতা কিন্তু প্রসার লাভ করে। একটি দেশব্যাপী আন্দোলনে রূপান্তর করার পেছনে, পেছন থেকে নিজের নাম না চেয়েও যে মহীয়সীর অবদান আছে এবং আমি জেনেই বলছি তিনি হচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তেমনিভাবে যখন শাহবাগে ছাত্র যুবক সকলে মিলে আন্দোলন গড়ে তুলে সেই আন্দোলনেও কিন্তু পেছন থেকে শক্তি যুগিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। স্বাভাবিক কারণেই তাই আমার এই লেখায় প্রধান উদ্দেশ্য হবে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এখন মূল বিষয়ে আসি, জননেত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টার সফলেই দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী জাতির পিতা সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার এবং তার নিকটাত্মীয়দের হত্যার বিচার করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও কিছু আসামী এখনো বিদেশে পালিয়ে আছে এবং তাদের দেশে এনে বিচারের রায় যাতে কার্যকর হয় সেই প্রচেষ্টা চলছে। তবে আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে যে হত্যা করা হলো এর পেছনে ষড়যন্ত্রকারী কারা, সেটা বের করা। অন্ততপক্ষে তাদের এখনো কিছু লোক জীবিত আছে, যার বিভিন্ন উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করতে পারে। এই কাজটিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা পেছন থেকে সাহস যোগালে এ কাজটি সম্ভব হবে। আমি কোন রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলছিনা, আমি ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং আমার হাতেও কিছু প্রমাণসহ বলছি যে, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে যুদ্ধকালীন সময়ে একজন পাকিস্তানি কর্নেল চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন যে, জিয়াউর রহমান সাহেব খুব ভাল কাজ করছেন। সেই চিঠির কপি যদি কোন কমিটি হয় আমি সেই কমিটির হাতে অর্পণ করতে পারবো। এদেশের অন্যতম সবচেয়ে বুদ্বিভিত্তিক সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবীর তার একটা লেখায় এটি উল্লেখ করেছেন। সুতরাং এটি একটি উদাহরণ।
আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে যে, এটা ইতিহাসের অংশ যে জাসদ যখন গঠন হয় তখন জাসদ প্রথম সভায় প্রকাশ্যে বলে তাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সরকারের পতন ঘটানো। অর্থাৎ তারা প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেয় যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তার সরকারকে পতন ঘটাতে হবে। কেননা যারা জাসদ গঠন করেছিলেন তাদের উপরের দিকের প্রায় সকলেই বঙ্গবন্ধুর সাথে কাজ করেছিলেন এবং তারা এতদিন বঙ্গবন্ধুর শিষ্য হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। সুতরাং তারা জানতেন যে বঙ্গবন্ধুর সরকারকে পতন ঘটাতে হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এমনকি এটা প্রমাণিত সত্য যে, সর্বহারা পার্টি বঙ্গবন্ধু সরকারের অনেক নেতাকেই হত্যা করেছে এবং বঙ্গবন্ধুকেও হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সর্বহারা পার্টির যারা নেতা ছিলেন তাদের সাথে সিরাজুল আলম খান, যিনি ষাটের দশকের আন্দোলনের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। তিনিও তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন। একটি বিষয়ে আমরা তখন হয়তো অন্ধ ছিলাম বা বুদ্ধি ছিলনা তাই বুঝতে সক্ষম হইনি যে, সিরাজুল আলম খান সাপের মুখেও চুম খেতেন এবং ব্যাঙের মুখেও চুমো খেতেন। তার বড় প্রমাণ হচ্ছে সে সময়ে সকলে জেলে গেলেও তিনি কিন্তু কোন না কোন ভাবে জেলের বাহিরে থাকতেন। তখন আমরা এই দৃষ্টিতে সিরাজুল আলম খানকে মূল্যায়ন করতাম যে, তিনি জেলের বাহিরে থাকার কারণেই আমাদের আন্দোলনের সফলতা আসছে, আমরা মনের জোর পাচ্ছি এবং তার নির্দেশে অনেক কাজ করতে পারছি। তিনি অনেক সময় আওয়ামীলীগের নামে প্রেস চিঠি লিখে আমাদের দিয়ে পাঠিয়ে দিতেন তখনকার আওয়ামীলীগের অফিস সেক্রেটারি তার সই নিয়ে। সুতরাং তখন অবশ্যই তার অবদান ছিল। কিন্তু তিনি কিছুদিনের মধ্যেই যখন ছাত্রলীগে গুরুত্ব পান সাথে সাথেই উপদলীয় রাজনীতিকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সুসংগঠিত করেন, যা আর কোন ছাত্রনেতা করেননি। তিনি প্রথমেই তার তথাকথিত নিউক্লিয়াস যেটা বলেন সেটা আসলে একটা সম্পূর্ণ বাকোয়াস। এটা হলো তার গ্রুপিং যে ধাপ, সেটিরই অংশ। কারণ, জনগণ এই নিউক্লিয়াসের কথা শোনা শুরু করলো একাত্তর বাহাত্তর সালে, আর তারা নিউক্লিয়াস করলেন বাষট্টি সালে।
একষট্টি সালে আমিও ছাত্রলীগে ছিলাম। উনারা বলেন, যাদেরকে বলা হয়নি তারা জানবে কিভাবে? আরে, ছাত্রলীগের বড় বড় নেতারা কেউই জানলো না তাহলে ওরা কয়েকজন কিভাবে জানবেন! অর্থাৎ তারা যাদের নিয়ে উপদল করতেন, গ্রুপিং করতেন, সেই গ্রুপিংয়ের কয়েকজন শুধুমাত্র জানতেন। কিন্তু এই আন্দোলনের সাথে সাথে তার গ্রুপিং স্ফীত হতে থাকে এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সময়েও তাদের তিনি গ্রুপিং থেকে আলাদা হননি। পেছন থেকে গ্রুপিং অর্গানাইজড করেছেন এবং সেই গ্রুপিংকারীদের নিয়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধুকে শেষ করে দেওয়ার জন্য তারা দল গঠন করে। গণতান্ত্রিক ভাবে দল গঠন করে গণতান্ত্রিক ভাবে সরকার পরিবর্তনের কোন চেষ্টাই প্রথম থেকে করেনি। তাদের বক্তব্য, কার্যক্রম এবং আরো মনে রাখতে হবে যে, সেই সিরাজ শিকদারের সাথে কর্নেল তাহেরেরও যোগাযোগ ছিল, মেজর ডালিমের যোগাযোগ ছিল এবং এদের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের যোগাযোগ ছিল। তাহলে এদের সাথে আর সিরাজুল আলম তো নিজেই সিরাজ শিকদারের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তিনি এখনো জীবিত আছেন। যা মোস্তফা মহসীন মন্টু তিনি নিজেই জানেন। এভাবে বিভিন্ন জন এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন, যারা এই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পেছনে যে ষড়যন্ত্র করেছেন, এই ষড়যন্ত্র কারা কারা করেছে, সিভিলিয়ান কারা ছিল, আর্মির কারা ছিল। যদিও এমনকি কিছু কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে, ডেপুটি হাই কমিশনার হোসেন আলী মুক্তিযুদ্ধের প্রথমে বাংলাদেশের সমর্থন করে মনোবল বাড়িয়ে আমাদের অনেক উপকার করেছেন। তিনিও পরবর্তীতে তার কার্যকলাপে অনেক প্রমাণ আছে যেখানে প্রমাণিত হয় তিনি বঙ্গবন্ধুর আর শুভাঙ্কাখী ছিলেন না। এইভাবে আমরা কারো ক্যারেক্টার এসাসিনেশন করতে বলছি না, কারও ক্যারেক্টার হরণ করতে বলছিনা। কিন্তু অবশ্যই একটি কমিটি গঠন করতে হবে যেখানে যারা নির্মোহ-ভাবে এই বিষয়গুলোকে তুলে ধরবেন এবং তার পরবর্তীতে সরকারকে দিবেন। সরকার সেটাকে কিভাবে ব্যবস্থা নিবেন সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যে, আমাদের জীবদ্দশায় যেভাবে চতুর্দিকে করোনায় মৃত্যু এবং একের পর এক বিপদের সম্মুখীন হচ্ছি তাতে আমাদের জীবিতকালে এটা দেখে যেতে পারব কিনা সেটা নিয়ে আমার মনেও সন্দেহ হয়েছে। একথা তো অস্বীকার করার উপায় নেই যে, যদি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এ বিষয়ে মনোযোগী হয়ে তার বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তিত্বের দ্বারা এই কাজটি শুরু না করেন তাহলে বাংলার মাটিতে কোনদিনও যারা পেছন থেকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তারা চিরকাল অধরাই থাকবে এবং ইতিহাসেও তারা তাদের মনগড়া ইতিহাস রচনা করে যাবে। শোকের মাসের প্রথমেই আবার মনে করিয়ে দিতে চাই কারা পেছনে থেকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে অবশ্যই এদের নাম প্রকাশ্যে আশা উচিৎ প্রমাণসহ। যারা এই কাজটি সঠিক ভাবে করতে পারবেন তারা কিন্তু একে একে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এখনো যারা আছেন তাদের দিয়েই কাজ হবে, এটা অবশ্যই দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের চেয়ে ভালভাবে অবহিত। কেননা তিনি প্রত্যেকটি কাজেই এমনকি এই কঠিন করোনার সময়েও তার একক চেষ্টায় আমরা এই ঝড়ঝাপটা সহ বিরাট দুর্যোগপূর্ণ সমুদ্রও পাড়ি দিতে সক্ষম হচ্ছি। সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে যারা রয়েছে তাদেরকেও উন্মোচিত করতে পারবো।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।