লিট ইনসাইড

দশটি বই পড়তে হবে এ বছরই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ০৪ জানুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

বইয়ের দুনিয়ার খবর যারা রাখেন তাদের কাছে হয়ত ‘হোয়াইট হাইজ’, ‘ফিল ফ্রি’ কিংবা ‘হ্যাপিনেস’ এর মতো বইয়ের নাম আগেই পৌঁছে গেছে। এরকম ১০টি বই ২০১৮ সালে না পড়লেই নয় বলে দাবি করে বিবিস। এমি ব্লুম, জেডি স্মিথ কিংবা অ্যমিনেটা ফর্নারের মতো লেখকরা এই সমস্ত বইয়ের লেখক। আর বইগুলোতে সামান্য একটি শহুরে শিয়ালকে কেন্দ্র করে যেমন দুর্দান্ত প্রেমের উপন্যাস লেখা হয়েছে, তেমনি পৃথিবীর ভয়ঙ্কর সব এলিয়েন নিয়ে গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো গল্পও আছে। আছে আমেরিকায় বিয়ের উৎসবের বর্ণনা কর রোমান্সের গল্প আবার আছে রবিবসন ক্রুসর আদতে লেখা শ্বাসরুদ্ধকর বই। বইগুলোর বিষয়বস্তু তুলে ধরা হলো:

এমি ব্লুমের ‘হোয়াইট হাউজ’

 

এমি ব্লুমের এই উপন্যাস মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের স্ত্রী তথা ফাস্ট লেডি এলিনর রুজভেল্ট এবং এপির তৎকালীন সাংবাদিক লরেনা হিক্কের মধ্যে সস্পর্কের মাত্রা নিয়ে লেখা হয়েছে। হিক গোপনে হোয়াইট হাউজে এলিনরের কক্ষের নিচে থাকতো। ব্লুম এই উপন্যাসটি হিকের অবস্থান বর্ণনা করে লিখেছেন। ফাস্ট লেডি এলিনরের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা উল্লেখ করেছেন। ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের পরে এলিনর এবং হিকের দেখা সাক্ষাতের কথা তুলে ধরে বইটি লিখেছেন।

জেডি স্মিথের ‘ফিল ফ্রি’

 

বিশ্বের অন্যতম সেলিব্রেটি ওপন্যাসিকের মধ্যে একজন স্মিথ। তাঁর নিরাপত্তাহীনতা, ভয়ঙ্কর সব প্রাণী, পৃথিবী, ভাষা এবং নিজের উপরে ডজন খানেক রচনা আছে। এছাড়া বারাক ওবামার সময়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে তাঁর ৩৫টার মতো লেখাও আছে। ‘ফিল ফ্রি’ বইয়ে এই নারী লেখক একমায়ের সঙ্গে মেয়ের দেখা করতে যাওয়া এবং গ্রিসের ধ্বংসের মুখে থাকা একটি গ্রন্থাগার অবলম্বনে লেখা হয়েছে। এছড়া ফেসবুককে একটি তালাবন্ধ সফটওয়ার উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক করে তাঁর একটি লেখা আছে।

অ্যমিনেটা ফর্নার ‘হ্যাপিনেস’

 

একটি ছোট পাতি শিয়াল প্রথম সকালের আলোয় ওয়াটার গেটের নিচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। ঘানার আতিলা নামের একজন জীববিজ্ঞানী একটি সম্মেলনে যাওয়ার পথে সেই শিয়াল নিয়ে গবেষণায় নেমে গেলেন। পরে ফর্নার সেই গবেষণাকে নিজে উপলব্ধি করে এবং পরিস্থিতিটা নিজের মধ্যে ধারণ করে এই উপন্যাসটি লিখেছেন। এটা কেবল একটি প্রেমরে উপন্যাস নয় বরং মানসিক অসুস্থতা যে মানুষকে স্থবির করে দিতে পারে তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

লরি মুরের ‘সি হোয়াট ক্যান বি ডান’

 

‘সি হোয়াট ক্যান বি ডান’ বইটি অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে লরি মুরকে লিখতে হয়েছে। নিউ ইয়র্ক রিভিউ অব বুকস এর এডিটর মুরকে বলেন কিছু একটা লিখে দেওয়ার জন্য। আর লেখার জন্য তিনি বেছে নেন পৃথিবীর ভয়ঙ্কর সব এলিয়েনকে। এই বইটি লিখে তিনি খ্যাতমান সব ফিকশন লেখকদের ছাড়িয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লউরেন গ্রফের ‘ফ্লোরিডা’

 

ফ্লোরিডা একটি দুঃস্বপ্নের রাত্রির কাহিনী নিয়ে লেখা। পরী নিয়ে খেলা। গল্পে একটি পরিত্যাক্ত দ্বীপে দুই বোনকে ছেড়ে আসার ঘটনা অবলম্বনে লেখা হয়েছে। অনেকটা রবিনসন ক্রুসর মতো। এই ফ্লোরিডা দ্বীপে চিতার হাত থেকে তাঁর সন্তানকে মা কি করে বাঁচাবে তাঁর শ্বাসরুদ্ধকর বর্ণনা দেওয়াহয়েছে এই বইয়ে।

ডেনিস জনসনের ‘দি লারজেস অব সি মেইডেন’

 

ক্রমাগত বাজারে মান কমতে থাকা একটি মোবাইল কোম্পানির বিজ্ঞাপনের কাহিনী অবলম্বনে এটি লেখা হয়েছে। এই বিজ্ঞাপন করতে গিয়ে অভিনেতার জীবনের বাঁকটায় যেন বদলে গেলো। তিনি প্রতিদিন অনুভব করতে লাগলেন জীবন তিক্ত হয়ে উঠছে। সেখান থেকে তিনি কিভাবে মুক্তি পেলেনকিভাবে জীবনের বাঁক পরিবর্তন করলেন তাঁর উপরে ভিত্তি করে লেখা এই বইটি।

থিয়েরি জোন্সের ‘এন আমেরিকান ম্যারিজ’

 

রয় নামের একজন নারী পড়ালেখা শেষ করার পরে কর্পোরেট খাতে ক্যারিয়ার শুরু করার চিন্তা করছে। এমন সময় তাঁর বাল্য বন্ধু আন্দে এবং মেরির সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। তাঁরা বেশ সুখেই জীবনযাপন করছে। কিন্তু তাঁদের সংসার জীবনে ফাঁটল ধরানোর অভিযোগে রয়কে আদলতে যেতে হলোএবং ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো। এই বইয়ের মধ্যে দিয়ে জোন্স আমেরিকার বিয়ে বর্ণবাদসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।

রো নো’র ‘ইনসেনডিয়ারিস’

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া নিয়ে লেখা বইটি। এখানে তিনজন অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন চীন হয়ে উত্তর কোরিয়ায় এসে হাজির হয়। সেখানে সে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা বাহিনীতে কাজ করে কিন্তু সহায়তা করে আমেরিকাকে। পরে সে উত্তর কোরিয়ার হাতে ধরা পড়ে। এমনই কাহিনী সাজিয়ে লেখা রো’র বইটি।

উইলিয়াম ভোলম্যানের ‘নো ইমিডিয়েট ডেঞ্জার’

 

ভোলম্যান এই বইটি বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে লিখেছেন। এখানে তিনি জাপানে পারমানবিক বোমার প্রভাব, সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং পারমানবিক দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ফুকুশিমায় করা তাঁর গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া তেল, গ্যাস, কয়লা, আনবিক শক্তিনিয়ে তাঁর বিশেষ গবেষণালব্ধ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

ক্রিস্টোফার ইয়েটসের ‘গ্রিস্ট মিল রোড’

 

অস্ত্র দিয়ে গুলি করে সহপাঠীকে হত্যা করার ঘটনা অবলম্বনে লেখা হয়েছে এই বইটি। নিউইয়র্ক সিটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে স্থান হিসেবে। উপন্যাসে প্যাট্রিক, হান্না এবং ম্যাথিও তিনজন বন্ধু। এদের মধ্যে হান্না প্যাট্রিককে বিয়ে করে। পরে ম্যাথিওয়ের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। এই তিনজনরে কাহিনীনিয়ে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব তৈরি করেছেন ক্রিস্টোফার।

বাংলা ইনসাইডার/এমএইচ/জেডএ



মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন