লিট ইনসাইড

শওকত ওসমান: শোষকের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০১৮


Thumbnail

 

অসাম্প্রদায়িকতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী লেখক শওকত ওসমান। বাংলা কথাসাহিত্যে শওকত ওসমান বিংশ শতাব্দির আলোচিত বাংলা সাহিত্যিকদের একজন। মূলত গল্প ও উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠকের মনে বোধ সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের সাহিত্য ভুবনকে করেছেন সমৃদ্ধ। ১৯৮৮ সালের ১৪ মে না ফেরার দেশে চলে যান এই কীর্তিমান কথাসাহিত্যিক।

১৯১৭ সলের ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় জন্ম নেন শওকত ওসমান। পারিবারিকভাবে শেখ আজিজুর রহমান নাম রাখা হলেও পরবর্তীতে সাহিত্য ভুবনে শওকত ওসমান নামে পরিচিত হন।

১৯৪১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন শওকত ওসমান। কর্মজীবনে তিনি চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের প্রভাষক ও ঢাকা কলেজে সহকারী অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে নিয়মিত কথিকা পাঠ করেছেন।

সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদবিরোধী শওকত ওসমান আজন্ম শোষকের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন। লেখনীর মাধ্যমে বলেছেন শোষিতের কথা। শুধু তাই নয়, আজীবন সংগ্রাম করেছেন দেশদ্রোহী ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে। তার রচিত উপন্যাস ‘ক্রীতদাসের হাসি’ আজও যে কোন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে জনজাগরণের দিশারী। তার বহুল আলোচিত ও সমাদৃত ‘জননী’ উপন্যাসটি ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়ে ঠাঁই করে নিয়েছে বিশ্বসাহিত্যে।

শওকত ওসমান প্রধানত ঔপন্যাসিক ও গল্পকার হিসেবে খ্যাতি কুড়ান। তবে এর বাইরেও প্রবন্ধ, নাটক, রম্য রচনা, স্মৃতিকথা ও শিশুতোষ গ্রন্থ রচনায়ও রেখেছেন মুনশিয়ানার ছাপ। অনুবাদেও ছিলেন সিদ্ধহস্ত। বিভিন্ন ভাষার অসংখ্য উপন্যাস, গল্প ও নাটক অনুবাদ করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে জননী, ‘ক্রীতদাসের হাসি’, ‘সমাগম’, ‘চৌরসন্ধি’, ‘রাজা উপাখ্যান’, ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’, ‘রাজপুরুষ’, ‘নেকড়ে অরণ্য’, ‘আর্তনাদ’ ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘জুনু আপা ও অন্যান্য গল্প’, ‘মনিব ও তাহার কুকুর’, ‘ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী’ প্রভৃতি। এছাড়া অনেক স্মৃতিকথাও লিখেছেন তিনি। ‘স্বজন সংগ্রাম’, ‘অনেক কথন’, ‘গুডবাই জাস্টিস-মাসুদ’, ‘উত্তর পূর্ব’ ও ‘মুজিব নগর’ তাঁর স্মৃতিকথার মধ্যে অন্যতম।

শওকত ওসমানের লেখা নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘আমলার মামলা’ ও ‘পূর্ণ স্বাধীনতা চূর্ণ স্বাধীনতা।’ এছাড়া ‘শেখের সম্বরা’ তাঁর তুমুল জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ।

সাহিত্যকর্মে অসামান্য স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, আদমজী পুরস্কার, প্রেসিডেন্ট প্রাইড অব পারফরমেন্স পদক, নাসিরুদ্দিন স্বর্ণপদক, মুক্তধারা পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান।

বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি / জেডএ

 



মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন