ইনসাইড ট্রেড

করোনাকালে প্রকৃতি প্রেমিক রবীন্দ্রনাথ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ০৮ মে, ২০২০


Thumbnail

করোনাকালেও রবীন্দ্রনাথকে স্বরণ করতে হবে। প্রকৃতির ওপর অত্যাচার অনাচারের যে তাণ্ডব, তার ফল হলো এই করোনা। করোনা প্রকৃতিরই প্রতিশোধ। আমরা এই করোনাকালে যতই রবীন্দ্রনাথকে স্বরণ করে তার সৃষ্টির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবো ততই প্রকৃতিকে ভালোবাসতে পারবো। প্রকৃতিকে ভালোবেসে করোনাকে দূর করতে পারবো আমরা।   

মানুষ যখন থেকে আধুনিক সভ্যতার সন্ধান পেয়েছে তখন থেকেই এক ধরনের অবিবেচনাপ্রসূত অরণ্য বিনাশের পথে ছোটাছুটি করছে। জ্বালানির জন্য গাছ কাটছে। কিন্তু এতে বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এবং মানবসভ্যতা ধ্বংসের পথে অগ্রসর হচ্ছে। এ সময়ে রবীন্দ্রনাথ আমাদের মনে করিয়ে দেন ‘একটি অদ্ভুত বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে। এখানকার সভ্যতা নগরের পরিবর্তে অরণ্যে বিকশিত হয়েছে, ভারতের প্রথম আশ্চর্যজনক বিকাশ দেখা গেছে যেখানে, যেখানে মানুষে জীবন ধারণের জন্য আবদ্ধ হয়নি। এসব জায়গায় প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসার সুযোগ ছিল।

মানুষের ওপর স্রষ্টার অর্পিত সৃষ্টিসংক্রান্ত দায়িত্ব মানুষের অনুধাবন করা উচিত। যেকোনো ধরনের আক্রমণ সমগ্র পরিমণ্ডলের জন্য দুর্যোগে পরিণত হবে। এটা উপলব্ধি করার সময় এসেছে যে মানুষ ও প্রকৃতির ভবিষ্যৎ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।’ (‘তপোবন’, রবীন্দ্ররচনাবলী সপ্তম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৬৯০)

আমরা যদি রবীন্দ্রনাথের এসব উৎসাহব্যঞ্জক কথা সংগ্রহ করে মানুষকে উৎসাহিত করি প্রকৃতিকে ভালোবাসার জন্য, তবে ধরনীর মুখে নিশ্চয়ই হাসি ফোটানো যাবে। তাঁর চিন্তার সৌন্দর্য ছিল এটাই যে তিনি সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের অভ্যন্তরে তাঁর চাওয়াগুলোকে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন গভীর এক আবেদনের মাধ্যমে। আর সে কারণেই তিনি আজও রয়েছেন আমাদের প্রতিটি নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিল্পচিন্তা ও চেতনায় প্রকৃতি অন্যতম এক অনুষঙ্গ। নানা কথামালায় তিনি বলেছেন প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা। সেই কথামালা প্রমাণ করে তিনি কত আগেই না বুঝেছিলেন প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা না করা গেলে মাটি ও মানুষের যে চিরন্তন সম্পর্ক সেটা আর টিকবে না। দীর্ঘ জীবনপ্রবাহে আর লেখনীতে তাই প্রকৃতির প্রতি মমত্ববোধ আর দায়বদ্ধতা প্রকাশ করেছেন। প্রকৃতি ও পরিবেশ ভাবনায় তিনি ছিলেন একজন অগ্রগামী চিন্তার মানুষ। তিনি নিরন্তর প্রকৃতি ও সংরক্ষণের মাধ্যমে সমন্বয় অন্বেষণ করেছেন। 

দেখা যায়, এক শতাব্দী আগেই পরিবেশদূষণ নিয়ে তিনি তাঁর মতামত প্রকাশ করেছিলেন। যে ভোগান্তিতে আজ আমরা ভুগছি। ১৯১৬ সালে জাপান যাওয়ার সময় সমুদ্রপথে তেল নিঃসরণের বিষয়টি দেখে তিনি প্রথম পরিবেশের ওপর মানুষের প্রভাব নিয়ে চিন্তান্বিত হন। সেটা পশ্চিমা বিশ্বের পরিবেশ আন্দোলন দানা বাঁধার কয়েক দশক আগের কথা। আমরা দেখতে পাই, সর্বদাই তিনি প্রকৃতির প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন সুনিপুণভাবে।

রবীন্দ্রনাথ কবিতা, নাটক, ছোটগল্প ও গানে আমাদের পৃথিবী ও প্রকৃতির সুরক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃতি পর্যায় নামে বিভিন্ন ভাগে কবিতার মতো করে গীতিকবিতা রচনা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ শুধু মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক নিয়ে বিস্তৃতভাবেই লেখেননি; তিনি শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করে তার বাস্তব রূপও দেখিয়েছিলেন। সব দিকে সবুজ বেষ্টনী দ্বারা শান্তিনিকেতন ঘেরা। পৃথিবীজুড়ে মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্কের বিরল উদাহরণ তিনি শান্তিনিকেতনের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন।

অন্তরে শান্তিনিকেতনের অরণ্যময় সবুজ পরিবেশ ও পূর্ব বাংলার সবুজ শ্যামল প্রকৃতিতে মাঝেমধ্যে বসবাস নৈসর্গিক পৃথিবীর প্রতি তাঁর প্রেমকে বেগবান করেছিল। তাঁর চারপাশের দর্শন সম্পর্কে জানতে আমাদের ফিরে যেতে হবে শান্তিনিকেতনের স্থাপত্য বিষয়ে তাঁর ভাবনা, শ্রীনিকেতনের অধিবাসীদের কল্যাণে তাঁর চিন্তা, প্রজা-চাষিদের প্রতি তাঁর দরদ, চাষ মৌসুমের শুরুতে অভিষেক অনুষ্ঠান, সমবায় বিষয়ে তাঁর ভাবনা, ‘অরণ্যদেবতা’ প্রবন্ধের রচয়িতা এবং সর্বোপরি গ্রামীণ মেলার অগ্রদূত রবীন্দ্রনাথের কাছে। ১৯২৭ সালে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী এক উৎসবের শুরু করেন। ওই উৎসবে তাঁর লেখা গান ও কবিতা ছাত্র-ছাত্রীরা গাইত এবং আবৃত্তি করতে পারত। এ ধরনের অগ্রসর চিন্তা তাঁর পরিবেশ প্রচারণার ক্ষেত্রে একটা ইতিবাচক ভাবের অবতারণা করেছিল। তাই এটা কোনো নেতিবাচক প্রচারণা ছিল না, যা মানুষের করা উচিত না বরং বৈচিত্র্যময় উদ্ভাবনী প্রকাশের এটা ছিল সুদক্ষ এক নাড়া। এই বিষয়টিই অসংখ্য মানুষকে তাঁর প্রচারণার সঙ্গে সংযুক্ত হতে সাহস জুগিয়েছিল। ‘পরিবেশ রক্ষায় তিনি চেয়েছিলেন অধিকতর সরকারি ও বেসরকারি প্রতিশ্রুতি’ (রবীন্দ্রনাথ ও ভারতবর্ষ, অমর্ত্য সেন, ভারতবিচিত্রা, জুলাই-ডিসেম্বর ১৯৯৭)। অমর্ত্য সেনের এই উক্তি থেকেই এটা পরিষ্কার হয় যে বৃক্ষের সুরক্ষায় রবীন্দ্রনাথের বিবেচনার ব্যাপ্তিটা কতটুকু।

হাল কর্ষণের প্রবর্তন করা হয় ১৯২৭ সালের জুলাই মাসে। এ রকম একটি উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘মরুবিজয়ের কেতন উড়াও শূন্যে’-যা ছিল আসলে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী বৃদ্ধিতে তাঁর উদাত্ত আহ্বান।

সারা বিশ্বে এই উৎসব এক অনন্য উদ্যোগ হিসেবে স্বীকৃত, যদিও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কল্পনাপ্রবণ-ভবঘুরে সময়ে বিশ্বদর্শনের অসংখ্য উদ্ভাস প্রতীয়মান হয়। সম্ভবত সারা বিশ্বে পরিবেশগত গণসচেতনতায় এটাই প্রথম কোনো সচেতন আন্দোলন।

রবীন্দ্রনাথের বিশুদ্ধ পানি ও গণস্বাস্থ্য নিয়ে ভাবনা তাঁর পরিবেশের প্রতি ভাবনাগুলো স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি চেয়েছিলেন তাঁর দাবিগুলোর মধ্য দিয়ে গ্রামের চাহিদাগুলো বাস্তবায়িত করতে, যা কিনা শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন অনুকরণীয় কাজের মাধ্যমে হবে। শান্তিনিকেতনে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসগুলো হতো গাছের ছায়ায়, যা ভাবতে আবেগতাড়িত মনে হলেও আসলে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগটা আরো বাড়ানোর জন্য এটাই সবচেয়ে সুচিন্তিত কাজ, যা তাদের অবচেতনভাবেই পরিবেশকে ভালোবাসতে শেখায়। তিনি শুকনো মৌসুমের শেষে বর্ষার আগমনকেও একটা উদ্যাপনের উপলক্ষ হিসেবে চালু করেন (‘বর্ষামঙ্গল’)।

মানুষের সর্বগ্রাসী লাভ ও লোভের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি শব্দমালা সাজিয়েছেন। ‘বনজ সম্পদকে মানুষের অতিরিক্ত লোভের কবল থেকে বাঁচানো একটি বৈশ্বিক সমস্যা।’ স্রষ্টা জীবন দিয়েছেন, জীবনকে সাজানোর উপাদানও চারদিকে দিয়ে দিয়েছেন; কিন্তু লোভী মানুষ মৃত্যুর কৌশলই সরবরাহ করেছে শুধু। মানবসমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্রষ্টার পরিকল্পনা অতিক্রম করে যাওয়ার জন্য, বন ধ্বংস করে লোভী মানুষজন নিজেদের বিনাশই ডেকে এনেছে। জমিকে উর্বর করে, বায়ুকে বিশুদ্ধ করে এমন সব গাছপালা, শাকসবজি নির্মূল করতে শুরু করেছে।...অনুভূতিহীন লোকজন প্রকৃতির উপহারসমূহ—তাদের কল্যাণ ধ্বংস করছে।’ (রবীন্দ্ররচনাবলী ১৪, পৃষ্ঠা-৩৭৩)

শতবর্ষেরও আগে আমাদেরই প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ এ বিষয়ে তাঁর সুগভীর চিন্তা ও উদ্যোগের নানা চিহ্ন রেখে গেছেন বাংলা সাহিত্যে ও কর্মে। আজ আমরা তাঁকে স্মরণের সময় গভীর বিস্ময়ে লক্ষ করি কতটা দূরদর্শী তিনি ছিলেন।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

সোনার দোকান উদ্বোধন করলেন পিবিআই প্রধান

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দুবাই এর স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার হোসেন এর ঢাকার নয়াপল্টনের রূপায়ন টাওয়ারে নব-প্রতিষ্ঠিত ‘হ্যালো পিওর গোল্ড’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার। 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে ঢাকার নয়াপল্টনের রূপায়ন টাওয়ারে নবপ্রতিষ্ঠিত এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার। 

এ সময় পিবিআই প্রধান বলেন, ভেজালের ভীড়ে খাঁটী জিনিস পাওয়া খুবই কঠিন। স্বর্ণ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কথাটি আরো বেশি প্রযোজ্য। তিনি আরো বলেন, সততাই ব্যবসায়ের মূলধন। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার  আনোয়ার সাহেব সততা নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবেন মর্মে পিবিআই প্রধান প্রত্যাশা করেন। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পিবিআই এর পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আখতার উল আলম, পুলিশ সুপার (লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া) মো. আবু ইউসুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. নাসিম মিয়াসহ অনেকে।


পিবিআই প্রধান   বনজ কুমার মজুমদার   হ্যালো পিওর গোল্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

ঢাকায় পেঁয়াজের বড় দরপতন

প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে এমন তথ্য মিলেছে। ঢাকার নর্দ্দা, নতুনবাজার, কারওয়ানবাজার, মগবাজারে দেখা যায়-এদিন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

নতুনবাজারের ব্যবসায়ী বিশারত আলি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো আছে। পাবনা ও ফরিদপুর থেকে পণ্যটি প্রচুর আসছে। তাই দর হ্রাস পেয়েছে। আগের সপ্তাহে সাধারণ মানের পেঁয়াজের দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এই সপ্তাহে সেটা বেচছি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। মাত্র ২/৩ টাকা লাভে তা বিক্রি করছি আমরা।

নর্দ্দা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রহিম মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম কমছে। এখন ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৬০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগেও যা ছিল ১০০ টাকা। তবে মূল্য কেন কমছে বা বাড়ছে-সেই সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। সাধারণত,  আমরা যেমন দামে কিনি, তেমন দামেই বিক্রি করি।

বাংলাদেশে পাঠাতে কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। সোমবার (১৮ মার্চ) দেশটির রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল) এমন তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম পড়বে ২৯ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। এই সংবাদেই রান্নাঘরের মুখ্য পণ্যটির দরপতন ঘটছে।

রাজধানী   পেঁয়াজের দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

মাছ-মাংসসহ ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিল সরকার

প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ১৫ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২৯টি পণ্যের মূল্য বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮-এর ৪(ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য কেনাবেচার জন্য অনুরোধ করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী মুগ ডালের পাইকারি বাজার মূল্য হবে ১৫৮ দশমিক ৫৭ টাকা ও খুচরা ১৬৫ দশমিক ৪১ টাকা।

এছাড়া মাসকলাইয়ের পাইকারি বাজার মূল্য ১৪৫ দশমিক ৩০ টাকা ও খুচরা ১৬৬ দশমিক ৪১, ছোলার (আমদানিকৃত) পাইকারি বাজার মূল্য ৯৩ দশমিক ৫০ টাকা ও খুচরা ৯৮ দশমিক ৩০, মসুরডাল (উন্নত) পাইকারি বাজার মূল্য ১২৫ দশমিক ৩৫ টাকা ও খুচরা ১৩০ দশমিক ৫০, মসুরডাল (মোটা) পাইকারি বাজার মূল্য ১০০ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ১০৫ দশমিক ৫০, খেসারিডাল পাইকারি বাজার মূল্য ৮৩ দশমিক ৮৩ টাকা ও খুচরা ৯২ দশমিক ৬১।

পাংগাস (চাষের মাছ) পাইকারি বাজার মূল্য ১৫৩ দশমিক ৩৫ টাকা ও খুচরা ১৮০ দশমিক ৮৭, কাতল (চাষের মাছ) পাইকারি বাজার মূল্য ৩০৩ দশমিক শূন্য ৯ টাকা ও খুচরা ৩৫৩ দশমিক ৫৯।

গরুর মাংস কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৬৩১ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ৬৬৪ দশমিক ৩৯, ছাগলের মাংস পাইকারি বাজার মূল্য ৯৫২ দশমিক ৫৮ টাকা ও খুচরা ১০০৩ দশমিক ৫৬, বয়লার মুরগী পাইকারি বাজার মূল্য ১৬২ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ১৭৫ দশমিক ৩০, সোনালী মুরগী পাইকারি বাজার মূল্য ২৫৬ দশমিক ১০ টাকা ও খুচরা ২৬২।

ডিম (পিস) পাইকারি বাজার মূল্য ৯ দশমিক ৬১ টাকা ও খুচরা ১০ দশমিক ৪৯।

দেশী পেঁয়াজ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৫৩ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ৬৫ দশমিক ৪০, দেশী রসুন কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৯৪ দশমিক ৬১ টাকা ও খুচরা ১২০ দশমিক ৮১, আদা আমদানিকৃত পাইকারি বাজার মূল্য ১২০ দশমিক ২৫ টাকা ও খুচরা ১৮০ দশমিক ২০, শুকনো মরিচ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৫৩ দশমিক ২৬ টাকা ও খুচরা ৩২৭ দশমিক ৩৪, কাঁচামরিচ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৪৫ দশমিক ৪০ টাকা ও খুচরা ৬০ দশমিক ২০।

বাঁধাকপি কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৩ দশমিক ৪৫ টাকা ও খুচরা ২৮ দশমিক ৩০, ফুলকপি কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৪ দশমিক ৫০ টাকা ও খুচরা ২৯ দশমিক ৬০, বেগুন কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৩৮ দশমিক ২৫ টাকা ও খুচরা ৪৯ দশমিক ৭৫, সিম কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৪০ দশমিক ৮২ টাকা ও খুচরা ৪৮, আলু কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৩ দশমিক ৩০ টাকা ও খুচরা ২৮ দশমিক ৫৫, টমোটো কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৩০ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ৪০ দশমিক ২০, মিষ্টি কুমড়া কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ১৬ দশমিক ৪৫ টাকা ও খুচরা ২৩ দশমিক ৩৮, খেঁজুর জাহিদী পাইকারি বাজার মূল্য ১৫৫ দশমিক ৫৩ টাকা ও খুচরা ১৮৫ দশমিক ০৭, মোটা চিড়া পাইকারি বাজার মূল্য ৫২ দশমিক ৭৫ টাকা ও খুচরা ৬০, সাগর কলা হালি পাইকারি বাজার মূল্য ২২ দশমিক ৬০ টাকা ও খুচরা ২৯ দশমিক ৭৮ ও বেসন পাইকারি বাজার মূল্য ৯৯ দশমিক ০২ টাকা ও খুচরা ১২১ দশমিক ৩০ টাকা।

মূল্য তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর   দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

রমজানের প্রথম দিনেই লেবুর হালি ৮০ টাকা!

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র রমজানে ইফতারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিপিস লেবুর বাজারে বিক্রি হয়েছে পাঁচ টাকায়। ২০ টাকা হালিতে পাওয়া গেছে লেবু। তবে রমজান শুরুর প্রথম দিনেই এক লাফেই লেবুর হালি ৮০ টাকা হয়ে গেছে। এছাড়া শসা বাজারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

সবজির দামও রাতারাতি বেড়েছে। একদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি বেগুনের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।

এদিকে শসা ও খিরা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। সবধরনের সবজির দামও বেড়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান মাস শুরু না হতেই বাজারে অস্বাভাবিক উত্তাপ ছড়িয়েছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। লেবু, শসা, পেঁয়াজ, আলু, বেগুনসহ সেহরি ও ইফতার সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের দাম যেন আকাশছোঁয়া। রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই শসা এবং লেবুর দাম বাড়তে শুরু করে অস্বাভাবিকভাবে। এক হালি লেবুর দাম সাইজ ভেদে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

রাজধানীর কুড়িল কুড়াতলী বাজারে লেবু কিনতে গিয়ে হতাশ কবিরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, রাস্তায় ঝাঁকা নিয়ে বসা লেবু বিক্রেতার কাছে দাম জানতে চাইলে বড় সাইজের লেবু ৮০ টাকা হালি চেয়েছেন, আর একটু ছোট সাইজটা ৬০ টাকা। মাত্র কয়েকদিন আগেও একই লেবু কিনেছি ৪০ টাকায়। 

এদিকে রাজধানীর ভাটার নতুনবাজার, বাড্ডা ও রামপুরার বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে ছোট সাইজের লেবু  ৬০-৭০ টাকা হালি, মাঝাড়ি সাইজ ৭০-৮০ টাকা এবং বড় সাইজ লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা হালিতে। দামাদামি করে সাধ্যের মধ্যে লেবু কিনছেন কেউ কেউ। 

রমজান   লেবুর দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

রমজানের আগে চিনির দাম বাড়লো কেজিতে ২০ টাকা

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।   

এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।


বিএসএফআইসি   মাহে রমজান   চিনি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন