লিট ইনসাইড

বয়স ভেদে পড়তে পারেন যে সকল বই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৮ এএম, ১৬ জুন, ২০২০


Thumbnail

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের এই সময়ে করে নিতে পারেন বই পড়ার অভ্যাস। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অনেকেই এখন গৃহবন্দী সময় পাড় করছেন। মানসিক চাপ ও উৎকণ্ঠা এখন সবার মধ্যেই। কিন্তু বই পড়লে আপনার মানসিক চাপ অনেকাংশে কেটে যেতে পারে। তাই করোনার এই সময়ে সময় কাটানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হতে পারে বই। আর তাই যেহেতু আরও দীর্ঘ সময় আপনাকে এভাবে থাকতে হচ্ছে তাই বই পড়ার অভ্যাস শুরু করে দিন এখন থেকেই। সেইসাথে ঠিক করে নিন আপনার পছন্দের সব বই। আমরা অনেক সময় পরিচিত জনদের কাছ থেকে ভালো বই সম্পর্কে তথ্য নিয়ে থাকি। কিন্তু অনেকেই এটাকে খুব ভালো অভ্যাস হিসেবে বিবেচনা করে না। এতে করে বই পছন্দের ক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব স্বকীয়তা কাজ করে না। আপনি অন্যের পছন্দের বই পড়ছেন। বইটি ভালো হতে পারে কিন্তু, তা আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। তাই নিজেই ঠিক করুণ নিজের পছন্দের বই। এর জন্য আপনাকে একটু কষ্ট করে বেশি বই পড়তে হবে। এই আর কি। কিন্তু একটা সময় পর আপনার ভালোলাগা কাজ করবে।

তবেই বই পছন্দের ক্ষেত্রে বয়স একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই নিজে বই পড়ার ক্ষেত্রে কিংবা নিজের পরিচিতজনদের কখনো সাজেস্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বয়স বিবেচনা করে বই পড়তে বলুন। কেননা আপনি যদি স্কুল পড়ুয়া কাউকে আহমদ ছফার প্রবন্ধ কিংবা আহমদ শরীফের মতো কোন লেখকদের বই পড়তে বলেন, কিংবা পড়তে বলেন প্লেটোর রিপাবলিক বা দর্শন বিষয়ক কোন বই। তবে তার ক্ষেত্রে বই পড়ার চেয়ে বইয়ের প্রতি অনাগ্রহই তৈরি হবে বেশি। তাই বই নির্বাচনের ক্ষেত্রে বয়স একটা গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে রুচির পরিবর্তন হয়। তাই বয়সভেদে পাঠকের পাঠাভ্যাস পরিবর্তন হয়। অল্প বয়সে জটিল বিষয়ের বই ভালো লাগে না। তখন মন বেশ নরম থাকে। রোমান্টিক ও কবিতার বই পড়তে ভালো লাগে। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জটিল বিষয়ের বইয়ের সঙ্গে অভ্যস্ত হন পাঠক।

অনেকের আবার ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি বা ইতিহাস বিষয়ক বইয়ের প্রতি দুর্বলতা কাজ করে। উপন্যাস কিংবা আবেগী বই তাদের টানতে পারে না। তবে এদেরকে অনেকটাই ব্যতিক্রম বলা চলে। সাধারণত বয়স বাড়লে আগের পড়া বইগুলো কম ভালো লাগে। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে একই বই বিভিন্ন বার পড়লে অনুভূতির হেরফেরও হয়। শিশু বয়সে রূপকথা, কৈশোরে কিশোর উপন্যাস, গোয়েন্দা বই, সায়েন্স ফিকশন ও সাহিত্য এবং সামাজিক, রোমান্টিক ও ননফিকশন পড়তে পাঠকের ভালো লাগে। মধ্য বয়সে একই পাঠক আবার জটিল বিষয় পড়তে পছন্দ করেন। যেমন প্রবন্ধ, ইতিহাস, দর্শন, আত্মজীবনী ও ভ্রমণকাহিনি-সম্পর্কিত বই। আবার যাদের নাটক, চলচ্চিত্রের প্রতি ঝোঁক রয়েছে, তাঁরা সত্যজিৎসহ এ বিষয়ের নানান বই পড়েন।

পাঠকদের পাঠাভ্যাস নিয়ে যুক্তরাজ্যে এক জরিপ চালায় বই পড়তে পাঠকদের আগ্রহী করার দাতব্য প্রতিষ্ঠান বুকট্রাস্ট। বয়স ও জীবনের সঙ্গে বই পড়ার যোগসূত্র রয়েছে তারা উল্লেখ করেন। ফলাফলে জানা যায়, নিজের আগ্রহের পাশাপাশি মা বাবা, স্কুলের উৎসাহের ওপর নির্ভর করে অল্প বয়সে কেমন বই পড়বে। বুকট্রাস্টের এই গবেষণায় চারটি বিষয়কে তুলে ধরা হয়। প্রথমত, পাঠক এমন বই পড়তে চান, যেটা তাঁকে আরও আনন্দ দেবে। দ্বিতীয়ত, বইয়ের বিষয়বস্তু এমন চান, যেটি নিজের জীবনের সঙ্গে মেলে। তৃতীয়ত, অনেকে বই পড়ে তাঁদের জীবনে উন্নতি ঘটাতে চান। চতুর্থত, সেই বই-ই পড়তে চান, যেটা তাঁকে অণুপ্রেরণা দেবে।



মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন