লিট ইনসাইড

খাঁটি কথাই বটে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

স্কুল থেকে ১২ বছর পার হয়ে গেলো বের হয়েছি। পৃথিবীতে মানুষের একটা সমীকরণ মিলে যাওয়াটা খুব কঠিন, সেটা হলো মানুষের চাওয়া পাওয়া। না...না...কোন ভারি কথা না! আমি কঠিন কেউ না যাতে আমার প্রতি শব্দ তত্ত্ব হয়ে যাবে, তাই ঘাবড়ানোর কারণ নেই। আমি আজকে যা বলার চেষ্টা করছি খুব সহজ। বিষয়টা একটু পরিষ্কার করে বলা যাক।

আমি যখন স্কুলে ছিলাম তখন একটাই চাওয়া ছিল যে, কবে স্কুল থেকে বের হবো! আর আজ যখন স্কুল থেকে অনেক দূরে আছি তখন মনের মধ্যে একটাই পাওয়ার আশা, কবে আবার স্কুলে যাবো। এই হল চাওয়া-পাওয়ার সমীকরণ! জীবনের পেছনে ছুটতে ছুটতে আমার স্কুলটাকে অনেক পেছনে ফেলে এসেছি, আর তাই ফেলে আসা স্কুল জীবনের অনেকের কাছে থেকে শোনা কিছু খাঁটি কথা নিয়ে আমার আজকের এই লেখা। চাওয়া পাওয়ার মধ্যেই যত কথা। আমার আজকের লেখাটা কথা নিয়েই।

মানুষের শিক্ষা জীবনের দীর্ঘ একটা সময় যায় স্কুলে। শেখার সময় সবচেয়ে বেশি স্কুল জীবনে। তাই অনেকের কাছেই অনেক কথা শুনতে হয় এমনকি স্কুলের দেয়ালটাও বাদ যায়না। স্কুলের দেয়ালটাও তার গায়ে লেখা কথাটা সব সময় মনে রাখতে বলে, আর গুরুজনদের কথাতো আছেই!!! তাই তেমন কিছু স্মরণীয় কিছু কথার কথা বলি।

কথা-১: শেখার জন্য এসো, সেবার জন্য বেরিয়ে যাও

স্কুলের ফটকের পাশে মূল ভবনের দেয়ালে লেখাটা ছিল। লেখাপড়া শিখে সবাই বড় হবে, টাকা পয়সা রোজগার করবে এটাই স্বাভাবিক।

লেখাটা হতে পারত শেখার জন্য এসো, উপার্জন করার জন্য বেরিয়ে যাও।

কেন এমন লেখাটা ছিল সেটা স্কুল জীবনে বুঝতে না পারলেও এখন বুঝতে পারছি যে, মানুষের জীবনের সব তৃপ্তি সেবা করাতে। হোক সেটা দেশের বা মানুষের। দেশ ও দশের সেবা করাতেই গড়ে উঠে মনুষ্যত্বের মানুষ, তাই বোধয় লেখাটা লেখা হয়েছিলো।

কথা-২: এই ছেলেরা একটা করে হলেও গাছ লাগাও, এখন না বুঝলেও ভবিষ্যতে বুঝবে

এই কথাটি আমাদের স্কুলের প্রভাতি শাখার একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের, যিনি গাছ খুব ভালবাসতেন। ছোটবেলায় যখন স্যার এর কাছে এই কথাটা শুনতাম, তখন ভাবতাম কি যে বলে না স্যার! যে জিনিসের মূল্য এখনি বোঝা যায়না, সেটা আবার ভবিষ্যতে কি বুঝব?

কিন্তু এখন বুঝতে পারছি। সামান্য কয় পা হেঁটে গরমের চোটে ক্লান্ত হয়ে গাছের ছায়া না পেয়ে যখন একটু ঠাণ্ডা বাতাসের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মার্কেটে দৌড়াই, তখন স্যার এর কথা বেশ মনে পড়ে। স্যারকে বলতে ইচ্ছা করে, জ্বী স্যার এখন বুঝতে পারছি, গাছের কি উপকার। ইশহহহ...আর কটা যদি বেশি গাছ লাগাতাম কি ভালই না হতো!

কথা-৩ বিয়ে নাকি করবি শুনলাম, তা পা দুটো শক্ত না করলে তো বিয়ে হবেনা!

আমার এক বন্ধু ক্লাস সিক্স এ মজা করে বলেছিল ক্লাস ক্যাপ্টেন এর কাছে, অবশ্য এই মজা খুব বেশিক্ষণ ছিলনা তার, যখন ক্যাপ্টেন স্যার এর কানে কথাটা দিয়ে দেয়। অতঃপর আমার বন্ধুটির টেবিলে এর নিচে মাথা দিয়ে স্যার এর পক্ষ থেকে তাকে নিজের পা যুগলে কিছু বেত্রাঘাত সহ্য করতে হয়েছিল। বেত্রাঘাতের সময় বন্ধুটির উদ্দেশ্যে স্যার কথাটি বলেছিলেন। ক্লাস এর সবাই শুনে বেশ হেসেছিল আমার মনে আছে কিন্তু কথাটি শুনে আমি খুব একটা হাসতে পারি নাই। তখন ভেবেছিলাম যে, এ আবার কেমন কথা! বিয়ে করার জন্য পা শক্ত করতে হবে কেন?

কিন্তু আজকে আমার নিজের পা দুটো শক্ত না হবার অজুহাতে আমি যেমন এখনো ব্যাচেলর, এখন আমি বুঝতে পারছি স্যার কি মূল্যবান কথাটাই না বলেছিলেন। স্যার আপনাকে ধন্যবাদ পা দুটো শক্ত করার উপদেশ দেবার জন্য, যার মানেটা হলো একটি নতুন দায়িত্ব নেবার জন্য নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলা।

কথা-৪ যোগ ব্যায়াম কর, এইটার উপরে ওষুধ নাই

কথাটি বলেছিলেন আমাদের একজন স্যার, যিনি পড়া না পারলেই বেত্রাঘাতের পরিবর্তে যোগ ব্যায়াম করতে দিতেন। আমার নিজেরও যোগব্যায়াম করার সুযোগ হয়েছে স্যার এর সামনে। কিন্তু বুঝতে পারতাম না স্যার এর কথা যে যোগ ব্যায়াম ওষুধ কীভাবে হয়? মাথায় খটকাটা লেগেই ছিল।

যেটা এখন আমি বুঝতে পারি কিভাবে যোগ ব্যায়াম ওষুধ হয়ে উঠে মানুষের জন্য। জীবনে সব কিছু থাকা সত্ত্বেও একটু সুস্থভাবে চলা ফেরার জন্য যখন মানুষ ব্যায়ামাগারে বা মেডিটেশন সেন্টার যায়, তখন আমি বুঝতে পারলাম যোগ ব্যায়ামও মানুষের জন্য একটা ওষুধ। শুধুমাত্র যোগব্যায়াম নামক এই ওষুধটির জন্য একজন মানুষ যাপন করতে পারে তার সুস্থ, জীবন এটা বোধয় এখন সবারই জানা।

এই যা ভুলেই গেছি...আমার লেখাটা তো আর বড় করা যাবেনা, সম্পাদনা টেবিল আছে যার কথা মনে না করলেই নয়! যাই হোক কথায় কথা বাড়ে, আর আমার বেলায় কথায় লেখা বাড়ে। আমরা সবাই শুনেছি, কথায় ক্ষয় আবার কথাতেই জয়। কথার পেছনেই লুকিয়ে থাকে অনেক কথা, কিছুটা আমি বের করে এনেছি, বাকিটা আপনিও বের করতে পারেন। দেখবেন আপনার খোঁজা কোন একটি খাঁটি কথাতে পেয়ে যেতে পারেন আপনার আনন্দের আলোকিত জীবন......।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন