নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
একাত্তরে বাংলাদেশের ঘটনাবলী বিভিন্ন দেশের পত্র-পত্রিকা এবং বেতার প্রচারে ব্যাপকভাবে স্থান পায়। বস্তুত:পক্ষে প্রায় প্রতিদিনের খবরের কাগজে বাংলাদেশের বিভিন্ন ঘটনার রিপোর্ট বা সম্পাদকীয় মুদ্রিত হয়। প্রায় সব প্রকাশনাই ছিল বাংলাদেশের আন্দোলনের পক্ষে অথবা সেই সময় এই দেশের মানুষের অবর্ননীয় দু:খকেষ্টর ওপর রচিত নিবন্ধ।
একাত্তরের ডিসেম্বরের পত্র-পত্রিকার প্রতিবেদনে স্থান পায় স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন খবরাখবর। বিজয়ের সন্নিকটের একাত্তরে প্রকাশিত বিভিন্ন বিশ্বগণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোই তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা ইনসাইডার।
আজ থাকছে ১২ ডিসেম্বর প্রকাশিত কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন। এখানে উঠে এসেছে পাক বাহিনী অভিমুখে যৌথ বাহিনীর অগ্রযাত্রার কথা। প্রতিবেদনটি নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: চতুর্দশ খন্ড থেকে
দি অবজারভার
১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১
ঢাকা ডায়েরী
গেভিন ইয়ং
শুক্রবারঃ ঢাকাকে একটি মুক্ত শহরে রূপান্তর করার জন্য জাতিসংঘের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। মানবিক কারণে জাতিসংঘ এই অনুরোধ জানিয়েছিল। কলকাতা থেকে ঢাকায় সাহায্য বহন কারী বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেছে।
সানডে টাইমস
১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১
সাতকোটি মানুষের যুদ্ধ
মঞ্চে একটি ট্রাজেডির অভিনয় চলছে। যার শুরু হয়েছিলো ১৯৪৭ সালে দেশভাগের মধ্য দিয়ে।
নাটকের প্রথম পর্ব শুরু হয় ২৫ মার্চ, পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমন। আর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে ২২ নভেম্বর যখন ভারতীয় সেনা বাহিনী প্রকাশ্য ভাবে পূর্ব পাকিস্তানে মুক্তিবাহিনীর পক্ষে হস্তক্ষেপ শুরু করেছে।
আর তৃতীয় পর্ব হচ্ছে, দেশ দুটির সরাসরি যুদ্ধ। ৬৮৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ দুটি যা বিস্তৃত কারাকোরাম পর্বত থেকে গঙ্গার উর্বর সমভুমি পর্যন্ত।
অষ্টম দিনঃ শুক্রবার নাগাদ একটি রাজনৈতিক সমাধানের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আশা বিফল হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ঢাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঢাকার ওপর বিমান হামলা চলছে।
নবম দিন: গতকালই বঝা যাচ্ছিল নাটকের তৃতীয় পর্ব শেষ হতে চলেছে। পাকিস্তানি সেনারা বিভিন্ন জায়গায় আত্মসমর্পন শুরু করেছে। আর ঢাকার চতুর্দিকে আভ্রতীয় সেনা বাহিনীর অবরোধ আরও সুদৃর হয়েছে।
যশোরে শনিবার শেখ মুজিবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দীন আহমেদ বাংলাদেশ সরকারে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রির দায়িত্ব নিয়েছেন।
কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনীর জন্য এখনো পুর্ব পাকিস্তানে পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পন অথবা মৃত্যু মধ্যে গড়াতে পারে।
শনিবার রেডিও পাকিস্তানের দুর্বল সম্প্রচার শোনা যেতে যেতে মিলিয়ে গেলো। বাংলায় পাঞ্জাবি শাসনের কন্ঠ ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের স্রোতে হারিয়ে গেলো।
আনন্দবাজার পত্রিকা
১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১
পালাতে দেবোনা, হুঁশিয়ার
মানকেশ
বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্যদের পালাতে দেওয়া হবে না। তাদের পালাবার পথ বন্ধ করার জন্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থল বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল মানেকশ আজ এক বেতারে বাংলাদেশে দখলদার বাহিনীর সেনাপতিদের উদ্দেশ্যে এই হুঁশিয়ারি প্রচার করেছেন।
পাচতি জাহাজে করে জেনারেল রাও ফরমান আলীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনাদের ঢাকা থেকে সর্যে নেয়ার একটি পরিকল্পনার খবরের প্রেক্ষিতে মন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/কেএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।