নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২২ জানুয়ারী, ২০১৮
বিএনপিতে এখন বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়ার সবচেয়ে আস্থাভাজন ব্যক্তির নাম রুহুল কবির রিজভী। রিজভী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। জিয়া পরিবার মনে করছে, বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হলে অনেক সিনিয়র নেতা ডিগবাজী দিতে পারে, কিন্তু রিজভী দেবেন না। আবার একটি ওয়ান-ইলেভেনের মতো পরিস্থিতি হলে, রিজভীই হবেন খন্দকার দেলোয়ার, এমনটাই মনে করছেন বেগম জিয়া। বেগম জিয়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন আশঙ্কা করছেন, একটি ‘প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে’ তাঁকে দন্ডিত করা হবে। গত রোববার রাতে তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে তিনি দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি একজন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেছেন, ‘রায় টায় সাজানো নাটক। অপরাধী না হলেও আমাকে সাজা দেওয়া হবে। রায় লেখা হয়ে গেছে।’ তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে উচ্চতর আদালতে কীভাবে দ্রুত মামলাটি নেওয়া যায়, কীভাবে দ্রুত জামিন নেওয়া যায়- সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। বেগম জিয়া মনে করেন, এবার গ্রেপ্তার করলে খুব দ্রুত তাঁকে মুক্তি নাও দেওয়া হতে পারে। বরং সরকার তাঁর শক্তি এবং ক্ষমতা দেখাতে চাইবে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এখনো একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে, এছাড়া ১৪ টি মামলা সরকার সচল করেছে। বেগম জিয়া তাঁর আইনজীবীদের বলেন, দীর্ঘমেয়াদী জেলে রাখার ষড়যন্ত্রে অংশ হিসেবেই মামলাগুলো সচল করা হয়েছে। এজন্য হাইকোর্টে দ্রুত মামলাগুলোর জামিনের ব্যবস্থার জন্য তিনি আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে বেগম জিয়ার ঘনিষ্টরা বলছেন, মামলার আইনগত দিকের পাশাপাশি তিনি সাংগঠনিক কর্মকান্ডও ঠিক করছেন। বেগম জিয়ার ঘনিষ্টরা বলছেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের ধারণা তাঁকে জেলে রেখে বিএনপিকে ভাঙ্গতে চায় সরকার। বেগম জিয়া মনে করছেন, এই ভাঙ্গন প্রক্রিয়ায় অনেক সিনিয়র নেতাই সরকারের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। একারণেই দণ্ডিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি দলের সাংগঠনিক ব্যাপারে নাটকীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বেগম জিয়া তাঁর একজন ব্যক্তিগত স্টাফকে বলেছেন, আমার খন্দকার দেলোয়ার সাহেবের মতো একজন মানুষ দরকার। প্রয়াত এই নেতা ওয়ান ইলেভেনের সময় একাই স্রোতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। বিএনপির তৎকালীন এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বেগম জিয়ার পক্ষে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছিলেন। ওই সময় দলের মহাসচিব প্রয়াত আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া সংস্কারপন্থী হয়ে নেতৃত্বের পরিবর্তন চেয়েছিলেন।
এবারও যে মহাসচিব দলের দু:সময়ের হাল ধরবেন না- সে ব্যাপারে বেগম জিয়া ও দলের তারেক জিয়াপন্থী নেতারা মোটামুটি নিশ্চিত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব হলেও বেগম জিয়া খুব কম বিষয়ই তাঁর সঙ্গে শেয়ার করেন। বরং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীই তার বেশি বিশ্বস্ত। বিএনপির অনেকেরই ধারণা, বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে বিএনপিতে ভাঙ্গনের প্রক্রিয়া শুরু হলে রিজভীই হবেন খন্দকার দেলোয়ার। দল রক্ষায় রিজভীর ওপরই বেশি আস্থাশীল বেগম জিয়া। অবশ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা।
Read In English: http://bit.ly/2mWv850
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মাধ্যপ্রাচ্য শেখ হাসিনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিট এলার্ট জারি
মন্তব্য করুন
নাটোর সিংড়া উপজেলা পরিষদ ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি জুনায়েদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন