ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বিতীয়বারে আগ্রহী আবদুল হামিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দ্বিতীয় মেয়াদেও রাষ্ট্রপতি থাকতে আগ্রহী। রাষ্ট্রপতি নিজের অভিপ্রায়ের কথা তাঁর ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এখনো নতুন রাষ্ট্রপতির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তবে রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের ব্যাপারে আগামী নির্বাচনের হিসেব-নিকেশ অন্যতম মূখ্য ভূমিকা পালন করছে বলে জানা গেছে।

আইন ও বিচারমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছেন, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন বিদ্যমান জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্যদের ভোটে। তাই আওয়ামী লীগ যাঁকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত করবে, তিনিই রাষ্ট্রপতি হবেন। নির্বাচন কমিশন আগামী ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে প্রথম বৈঠক করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, শুধু আওয়ামী লীগই প্রার্থী দেবে এবং দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।

প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী তিনটি বিষয় বিবেচনা করছেন। প্রথমত, নতুন রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে সংকট, বিএনপির নির্বাচন বর্জন ও হুমকি সর্বোপরি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা হবে অভিভাবকের। তাই, প্রধানমন্ত্রী এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি পদে চান যিনি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন আবার আওয়ামী লীগের স্বার্থ দেখবেন। বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের মতো ডিগবাজি দেবেন না।

দ্বিতীয় বিবেচনার বিষয় হলো, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী। এবার যিনি রাষ্ট্রপতি হবেন, তার অভিভাবকত্বতে বাংলাদেশ জাতিরপিতার জন্মশত বার্ষিকী পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা হলো, বছরব্যাপী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কর্মসূচির মাধ্যমে জাতির পিতার জন্মদিন পালন।

এজন্য প্রধানমন্ত্রী এমন একজন রাষ্ট্রপতি চান যিনি এই সময়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে রং ছড়াতে পারবেন।

তৃতীয় বিবেচনার বিষয় হলো, বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী পালিত হবে ২০২১ সালে। নতুন রাষ্ট্রপতির অভিভাবকত্বে। আন্তর্জাতিক ভাবে একটি মর্যাদার বার্তা দিতে চায় এবছর বাংলাদেশ। এজন্য এমন একজন রাষ্ট্রপতি চান প্রধানমন্ত্রী যিনি বিশ্ব সভায় বাংলাদেশকে আলোকিত করতে পারবেন।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এই তিন বিবেচনার পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হওয়া নিশ্চিত নয়। আবার তিনি বিবেচনার বাইরেও নন। রাষ্টপতির পদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শুরু করেছেন। এসব আলোচনায় আবদুল হামিদের পাশাপাশি আরও অন্তত তিনটি নাম এসেছে। এগুলো হলো, প্রধানমন্ত্রীর আন্তুর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভি, স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন, এবং জন প্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তবে রাষ্টপতির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলছেন প্রধানমন্ত্রী হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়েই রেখেছেন, এখন তিনি যাচাই-বাছাই করছেন। বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর সিদ্ধান্ত পরখ করছেন।

Read in English- http://bit.ly/2DqXOdr

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সঙ্গে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‌‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।


বঙ্গবন্ধু   রাষ্ট্রপতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর অংশগ্রহণকারী সব খেলোয়াড়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন। তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্য সামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করছে। আমরা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছি। প্রধান শিক্ষকের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল উন্নীত করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে সরাসরি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করছি। এ ছাড়া, স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি আরও অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিশুদের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তঃবিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’

প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ টুর্নামেন্ট দুইটির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুতুবদিয়ায় সাংবাদিক মিজানের উপর হামলা


Thumbnail

কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিন এরর কুতুবদিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা গেইটে ঈদ পূণর্মিলনী সভা করে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাংবাদিক মিজান অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবরের নির্দেশে তার ভাই, ভাতিজা সহ অন্তত ৮/১০ জন যুবক সাংবাদিক মিজানের ওপর হামলে পড়ে বলে প্রত্যরক্ষদর্শীরা জানান।

গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কারণে চিকিৎসক তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া পরামর্শ দেন।

আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমানের থেকে জানা যায়, উপজেলা আ'লীগের সভাপতির নেতৃত্বে একটি অসহায় পরিবারে জায়গা দখলের একটি  ভিডিও ফেসবুকে প্রচারে জেরে তার ওপর হামলা হয়।  পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হঠাৎ কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর এর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেন নি।

সাংবাদিক আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, হঠাৎ মিজানুর রহমানের উপর হামলা হচ্ছে দেখে আমরা কয়েক জন মিলে তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই।

কুতুবদিয়া থানার ওসি মো গোলাম কবির বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম এরশাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিন উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ বেলাল, অর্থ সম্পাদক জাহেদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম শ্রাবণ,পাঠাগার সম্পাদক রমজান আলী সিকদার, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমিন মুন্নী নির্বাহী সদস্য শাকের বিন ফয়েজ।  ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের  যথাযত আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহন করা হবে।

এদিকে সাংবাদিক মিজানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক। তারা এই ন্যা ক্কারজনক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যীবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।


কক্সবাজার   কুতুবদিয়ায়   সাংবাদিক   মিজান   হামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘মধ্যপ্রাচ্যে শেখ হাসিনার মতো নেত্রী থাকলে গাজায় এমন পরিস্থিতি হতো না’

প্রকাশ: ১০:০৪ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যে যদি শেখ হাসিনার মতো কেউ থাকত তাহলে গাজায় চলমান পরিস্থিতি তৈরি হতো না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অডিটোরিয়ামে কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন- ‘আমরা যদি আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা পেতাম তাহলে আজ গাজায় যুদ্ধ হতো না।’


তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক যে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে তিনি থাকেন সেখানকার মধ্যমণি। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব সারাবিশ্বে বিরল।

‘শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, এখন বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। বিদেশি নেতারা তার প্রশংসা করে চলেছেন।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক শেখ হাসিনাকে বলেছেন- আপনি শুধু আমারই নয় আমার পরিবারেরও অনুপ্রেরণা। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছে, আমরা যদি আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা পেতাম তাহলে আজ গাজায় যুদ্ধ হতো না।’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’র অহমিয়া ভাষায় রূপান্তরিত সংস্করণ আসামের কবি ও গবেষক ড. রীতা চৌধুরী রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘জিরো আওয়ার’ একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ রচিত ‘ভুবন জোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ গ্রন্থ উন্মোচন করা হয়।

মাধ্যপ্রাচ্য   শেখ হাসিনা   ফিলিস্তিন   রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় নিজ নামের সড়ক ও পার্ক উদ্বোধন করবেন কাতারের আমির

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকায় একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হচ্ছে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্ত্বর থেকে কালসী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি আমিরের নামে নামকরণ করা হবে।  

আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ৩টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এই দু’টি স্থাপনা উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কাতার বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এ সম্পর্ক এবং আমিরের এ সফরকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে তার নামে এই পার্ক ও রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্ক’র কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ কামাল আতাতুর্কের নামে রাজধানীর বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও তুরস্কে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক জনসভায় কালশী এলাকার বালুর মাঠে বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জন্য উপহার হিসেবে ১৬ বিঘা জমি খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য বরাদ্দ দেন।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মাঠ ও বিনোদন পার্কটিতে যুবকদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাঁটার ব্যবস্থা এবং শিশুদের খেলাধুলার জায়গা থাকবে।

আগামী মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়ক ও পার্কের নামফলক উন্মোচন করবেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি আগামী সোমবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন।

কাতারের আমির   আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন